ভগবান / ঈশ্বর সম্পর্কে গ্রন্থগুলিতে হিন্দু গ্রন্থগুলিতে ভগবানের উল্লেখ বিভিন্ন রূপে করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মে কয়েকটি গ্রন্থ এবং পুরাণে ভগবানের সিদ্ধান্ত, মানবতার জন্য মার্গনির্দেশ এবং ধার্মিক আদর্শ বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে কিছু প্রধান হিন্দু গ্রন্থ এবং পুরাণে ভগবানের উল্লেখের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে:
- বেদ: বেদ হিন্দু ধর্মের প্রাচীনতম এবং প্রধান গ্রন্থ। বেদে ভগবানের বিভিন্ন রূপ এবং শক্তিগুলির বর্ণনা করা হয়েছে। অতীত ঈশ্বরের উল্লেখও আছে।
- উপনিষদ: উপনিষদ বেদের শেষাংশ এবং এতে আধ্যাত্মিক তত্ত্বগুলির গভীর আলোচনা করা হয়েছে। এখানেও ভগবানের সিদ্ধান্তের বর্ণনা হয়।
- ভগবদ গীতা: ভগবদ গীতা মহাভারতের ভীষ্ম পর্বে আসে এবং এখানে ভগবান কৃষ্ণ দ্বারা অর্জুনকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং ধর্মের পথ উপদেশ দেওয়া হয়।
হিন্দু গ্রন্থগুলিতে প্রায়শই স্পষ্টভাবে বলা হয় যে ঈশ্বর এক এবং সবার মালিক।
"একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদন্তি" - এই বাক্যের অর্থ হলো যে যিনি এক, তিনি বিভিন্ন পাণ্ডিত লোকে জানেন। এই বাক্যটি ঋগবেদে পাওয়া যায় এবং এটি ঈশ্বরের একতা নির্দেশ করে। "ঈশ্বর এক, অন্যটি নেই" - এই বাক্যটি উপনিষদ এবং বেদান্ত গ্রন্থগুলিতে পাওয়া যায়। এর মানে ঈশ্বর একমাত্র এবং কোনও অন্যটি তার সমান নয়।
হিন্দু গ্রন্থগুলিতে "ঈশ্বর এক, সবার মালিক" এটি একটি প্রধান ধার্মিক ধারণা। এটি প্রতিষ্ঠান ধার্মিক বৈশিষ্ট্য, মানবিকতা, এবং ধার্মিক লক্ষ্যের গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লিখ করে। এটি বিচারপ্রিয়তা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যতা উৎসর্গ করে। এই ধারণাটির মৌলিক ভাবনা হল যে ঈশ্বর এক এবং সব জীবনয়ন্ত্রণাদাতা, পালনকারী এবং মালিক। এটি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ এবং অন্যান্য ধার্মিক গ্রন্থগুলিতে প্রকাশিত হয়। উপনিষদে, "ঈশাবাস্যমিদং সর্বং যত্কিঞ্চ জগত্যাং জগত্" এই শ্লোক পাওয়া যায়, যার অর্থ হল "যা কিছু এই জগতে আছে, সব ঈশ্বরের মধ্যে বসছে"। চান্দোগ্যোপনিষদে একটি শ্লোক আছে, "সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম", যার অর্থ হল "সব কিছু ব্রহ্ম হল"। এই উপনিষদগুলি এবং পুরাণগুলি, হিন্দু ধর্মে "ঈশ্বর এক এবং সবার মালিক" এই ধারণা সামর্থ্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করাতে। এই গ্রন্থগুলির মাধ্যমে সম্পূর্ণ জীবনয়ন্ত্রণাদাতা, পালনকারী এবং মালিক যে একটি ঈশ্বর আছে, সে যে সবার মালিক তা প্রকাশ্য হয়, যা সবাইর সাথে তাদের সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক দায়িত্ব চিহ্নিত করে।