আসসালামু-আলাইকুম!!
- **আজ সোমবার **,
- ** ৩১ মে, ২০২১**.
আশা করি সবাই ভাল আছেন। অত্যন্ত সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন বা কনটেস্ট দিয়েছেন bangladesh.com সতর্কতা বা cautionary ।
ধন্যবাদ @Best-Of-Bangladesh কে, আমাকে সেই সুযোগ করে দেওয়া জন্য। চলুন শুরু করা যাক.....
দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সর্তকতা অবলম্বন না করা উচিত। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি স্থানে সতর্কতা অবলম্বন করে চলা বুদ্ধিমানের কাজ।দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।না হলে আমাদের অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
সতর্কতা অবলম্বন করুন হতে পারে আপনার অসতর্কতা আপনার মৃত্যুর কারণ।
বিশেষভাবে বিবেচনা করার পর আমি দুইটি ক্ষেত্র পেয়েছি যেটিতে বিশেষ ভাবে সর্তকতা অবলম্বন করা আমাদের উত্তম।
১.যানবাহন এর ক্ষেত্রে।
২.আর্থিক লেনদেন বা ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে।
চলুন আমি আপনাদের দুইটি ক্ষেত্রেকে পৃথকভাবে আলোচনা করে দেখাচ্ছি।...
যানবাহন এর ক্ষেত্রে
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে চলাচল করতে হয়, যানবাহন চালাতেও হয়,
তাই আমাদের এই দুটি ক্ষেত্রে যানবাহন চলাচল এবং যানবাহন চালাতে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়।
যানবাহন চলাচলঃ-
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি তাই অবশ্যই যানবাহনে চড়তে এবং নামতে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। ব্যস্ততার সাথে রাস্তা পারাপার উচিত নয়। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট এর কিছু নির্দিষ্ট যানবাহন চলাচলের সাইন আছে। যে গুলো অবশ্যই আমাদেরকে মেনে চলতে হবে বা সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
যানবাহন চালানোর সময় অবশ্যই এই সাইন বা দিকনির্দেশনা গুলো মেনে চলতে হবে। তা না হলে ঘটে যেতে পারে অনেক বড় বিপদ বা এক্সিডেন্ট। হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ। তাই যানবাহন চালানোর সময় অবশ্যই সবরকম সেফটি ব্যবহার করা উচিত। সর্বোত্তম কথা হচ্ছে সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
চলুন দেখে আসি কিছু সাইনঃ-
রাস্তা পারাপারে ফ্লাইওভার ব্যবহার করা। অথবা নির্দিষ্ট জংশনে রাস্তা পার করা। রাস্তা পার করার সময় অবশ্যই যদি বাচ্চা থাকে বাচ্চাদের হাত ধরে পার করতে হবে।
আর্থিক লেনদেন বা ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে
সবকিছু মুলে রয়েছে টাকা, টাকা ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না ।
তাই উপার্জিত টাকা গুলো ব্যাংকে জমা রেখে আমরা নিশ্চিন্তে থাকি। যে যেভাবে উপার্জন করে না কেন, সবার টাকা আমারা ব্যাংকেই রাখি। ব্যাংকে টাকা রাখার কারণ হচ্ছে গচ্ছিত রাখা। যাতে বিভিন্ন প্রয়োজনে সেখান থেকে আমরা টাকা উত্তোলন করে আমাদের প্রয়োজন মেটাতে পারি।
কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার ব্যাংকের গচ্ছিত টাকাগুলো কতটা নিরাপদ?
আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যুগে হ্যাকিং এক আতঙ্কের নাম। হ্যাকিং এর ফাঁদে পড়ে তারা তাদের সর্বস্ব হারিয়েছেন। অনেকে হয়েছেন বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত।
তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের যতটা সুবিধা দিয়েছে, তার চাইতে একটু অসতর্ক হলেই অনেক বেশী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ।
আমরা বিভিন্ন একাউন্ট খুলে থাকি এই ব্যাংকগুলোতে যখন আমরা টাকা রাখি অবশ্যই আমরা টাকা জমা দিয়ে জমা রিসিভ গ্রহণ করে তারপর ব্যাংক ত্যাগ করবো। টাকা জমার এসএমএস আপনার মোবাইলে পৌঁছেছে কিনা অবশ্যই সেটা চেক করে নেবেন।
এবং আমরা বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট খুলেই বিভিন্ন ধরনের কার্ড গ্রহণ করি।কার্ডের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জায়গায় থেকে বিল পে করি টাকা উত্তোলন করি। অবশ্যই টাকা উত্তোলন করার সময় আপনার নিজস্ব গোপন পিন নম্বরটি কাউকে বলা যাবে না। ব্যাংকের সাথে সকল লেনদেন গুলো অবশ্যই সঠিক ভাবে যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিতকরন করে ব্যাংক ত্যাগ করবেন।
আপনার মোবাইল ব্যাংক এর পিন নাম্বার কখনোই কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না। আপনার গোপন পিন নাম্বারটা যদি একবার কেউ জেনে যায় আপনার একাউন্টের সকল টাকা হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
আপনি একটু অসতর্ক হলেই আপনার জীবনের সকল গচ্ছিত অর্থ গুলো চলে যাবে হ্যাকারের কাছে।
তাই ,
শেষ কথা এটাই বলতে চাই বাস্তব জিবনে সতর্কতা অবলম্বন এর ভূমিকা অপরিশীম।
আশা করি এই পোষ্ট থেকে একটু হলেও উপকৃত হয়েছেন