উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন

in hive-107931 •  2 years ago 

****

মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি একটি সামাজিক সংগঠন। ১৮৬৩ সালে নওয়াব আবদুল লতিফ কর্তৃক কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত। সোসাইটির সেক্রেটারি আবদুল লতিফের কলকাতার ১৬ নং তালতলার বাসভবনে সোসাইটির সদর দপ্তর ছিল। আবদুল লতিফ এর ভাষায় ‘মুসলমানদের ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং সামাজিক আচরণ ও আদান-প্রদানে শিক্ষিত হিন্দু ও ইংরেজদের সমকক্ষ করে তোলাই ছিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্যে তিনি বিজ্ঞান, কলা ও চলমান সমস্যা সংক্রান্ত এবং মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের উপায় উদ্ভাবনের জন্য আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সোসাইটি মুসলমানদের ক্ষয়িষ্ণু আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা, আধুনিক শিক্ষা প্রবর্তন ও বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার দ্বারা সমাজ উন্নয়নের নতুন ধারার প্রবর্তনা এবং এভাবে শাসক ও শাসিতের মধ্যে এক নির্ভরশীল সেতু স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মুসলমানদের এই ধরনের সর্বপ্রথম সংগঠন হিসেবে মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি কালক্রমে মুসলমানদের প্রভূত কল্যাণ সাধন করে।


YYA0041595_The-British-Neptune-riding-Triumphant-or-the-Carmignols-Dancing-to-the-Tune-of-Rule-Britannia.jpg

নবাব আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর ২৩ বছর বয়সে ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজ উদ দৌলা সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হন।

১৬৫১ সালে ইংরেজগণ হুগলিতে বাণিজ্য কুঠি নির্মাণ করেন, ১৬৬৮ সালে ফরাসীরা সুরাটে প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে, ১৬৯৬-১৭০২ সালে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মাণ করা হয়।

image.png

লর্ড রিপন ‘বেঙ্গল মিউনিসিপাল আইন’ (Bengal Municipal Act) প্রণয়ন করে ভারতে প্রথম স্থানীয় শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। তিনি ‘সংবাদপত্র আইন (Vernacular Press Act)’ রহিত করেন।

সাম্রাজ্য বিস্তারের পাশাপাশি ডালহৌসি ভারতে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তিনি রেলগাড়ি, টেলিগ্রাফ ও ডাক টিকেট ব্যবস্থা চালু করেন।

পাকিস্তান শাসনামলে ভূমি আইনের উপর যে সব গুরুত্বপূর্ণ বিধিবদ্ধ আইন প্রণীত হয়, তন্মধ্যে ১৯৫০ সালের জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন (Estate Acquisition and Tenancy Act 1950) উল্লেখযোগ্য। ১৯৫০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এই আইনটি পূর্ব বাংলার আইনসভা কর্তৃক গৃহীত হয় এবং ঐ সালের ১৬ মে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেলের সম্মতিক্রমে আইনের মর্যাদা লাভ করে। এ আইনে ১৫২টি ধারা রয়েছে, যা পাঁচটি অংশ ও ১৯টি অধ্যায়ে বিভক্ত।

মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ইংরেজ ইউরোপীয় বণিক গোষ্ঠী ভারতীয় উপমহাদেশে আসে। সম্রাট জাহাঙ্গীর (১৬০৫-১৬২৭) সাল পর্যন্ত দিল্লীর সিংহাসনে আসীন ছিলেন। ইংরেজগণ ১৬০৮ সালে বাণিজ্য কুঠি করার আবেদন করে। ১৬১২ সালে প্রথম কুঠি নির্মাণ করে।

১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়। বঙ্গভঙ্গ রদের সময় ব্রিটেনের রাজা ছিলেন ৫ম জর্জ, তিনি বঙ্গবঙ্গ রদ ঘোষণা করেন। তৎকালিন ভাইসরয় ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। তিনি ১৯১২ সালে রাজধানী দিল্লীতে হস্তান্তর করেন।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার ১ম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বঙ্গীয় প্রজাসত্ব আইন, ঋণ সালিশি বোর্ড প্রভৃতি গঠনের মাধ্যমে বাংলার কৃষকদের নিকট স্মরণীয় হয়ে আছেন। বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইন, ১৯২৮ নিমস্বত্ব রায়তদের (Under Raiyots) দাবির প্রেক্ষাপটে বঙ্গীয় আইন পরিষদ কর্তৃক প্রণীত একটি সংশোধনী আইন। ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন স্থায়ী রায়তদের অধিকারসমূহ স্পষ্টভাবে সজ্ঞায়িত হলেও নিমস্বত্ব রায়তদের অধিকার (তাদের দখলে থাকা ভূমির ওপর) সংজ্ঞায়িত হয় নি। আইনে অস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল মাত্র। এ আইনের অধীনে একজন নিমস্বত্ব রায়ত কোন নির্দিষ্ট জমি ক্রমাগত বারো বছর ভোগ দখল করে থাকলে প্রতিযোগিতামূলক হারে নিয়মিত রাজস্ব প্রদানের ভিত্তিতে সেই জমির ওপর সে অধিকার লাভ করে। এই রায়তদের রাজস্ব বৃদ্ধি করার এবং রাজস্ব না দেওয়ার জন্য তাদের উৎখাত করার অধিকার জমিদারদের হাতে সংরক্ষিত থাকে। এর ফলে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইন, ১৯২৮ নিমস্বত্ব রায়তদের বাস্তব সুবিধা প্রদান করতে পারেনি, তবে কাগজে-কলমে এটি একটি রাজনৈতিক দলিল হিসেবেই থেকে যায়। এ.কে ফজলুল হক এর মন্ত্রিসভা ১৯৩৮ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইন পাস করে আইনটির দুর্বলতা দূর করার চেষ্টা করে।

অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলনের জনক ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। অসহযোগ আন্দোলনের সময়কাল ১৯২০ – ১৯২২ সাল পর্যন্ত।

১৭৫৭ সালে সংঘটিত পলাশী যুদ্ধের পরবর্তী নবাব মীর জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মীর কাসিমকে ক্ষমতায় বসায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকায় মীর জাফর ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে সচেষ্ট হন। ব্রিটিশরা ডাচদের ক্রমেই পরাজিত করে এবং মীর জাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করে মীর কাসিমকে ক্ষমতায় বসায়। পরবর্তীতে ইংরেজদের সাথে সামরিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন নবাব মীর কাসিম এবং ১৭৬৪ সালের বক্সারের যুদ্ধে তিনি ইংরেজদের হাতে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন। উল্লেখ্য, পলাশীযুদ্ধের মাধ্যমে কোম্পানি শাসনের সূচনা হলেও এই যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য চিরতের অস্তমিত হয় এবং ইংরেজদের একচেটিয়া আধিপত্য সুদৃঢ় হয়।

সতীদাহ প্রথা হলো সহমরণ বিষয়ক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এক বিশেষ প্রথা। স্বামীর মৃত্যু হলে স্বামীর চিতায় স্ত্রীকে জীবন্ত দাহ করা হতো। রাজা রামমোহন রায়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ১৮২৯ সালে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক ‘সতীদাহ প্রথা’ রহিত করেন।

পূর্ববঙ্গ ও আসাম ছিল ব্রিটিশ ভারতের একটি স্বল্পকাল স্থায়ী প্রদেশ। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর এই প্রদেশ গঠিত হয়।
পূর্ববঙ্গ ও আসাম: ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিভাগ এবং আসাম নিয়ে গঠিত এ প্রদেশের রাজধানী ছিল ঢাকা। ১৯০৫ সালে নবগঠিত প্রদেশ পূর্ববঙ্গ ও আসামের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন ব্যামফিল্ড ফুলার।

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড (অমৃতসর হত্যাকাণ্ড) ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কুখ্যাত গণহত্যা। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল তারিখে অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসর শহরে জালিয়ানওয়ালাবাগে রাওলাট আইনের বিরদ্ধে জনগণের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা ও প্রতিবাদ চলার সময় জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে সেনাবাহিনী সমবেত জনগণের উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ করে। এই হত্যাকাণ্ড জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।

অবিভক্ত বাংলার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৭ সালে। প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচনের ফলাফল– মুসলিম লীগ ৪০টি, কৃষক–প্রজা পার্টি ৩৫টি, স্বতন্ত্র মুসলমান ৪১টি এবং স্বতন্ত্র হিন্দু ১৪টি আসন পায়।

১৮৮৫ সালে ভারতের প্রাচীনতম (উপমহাদেশের প্রথম) রাজনৈতিক সংগঠন ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস’ (Indian National Congress) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজ সিভিলিয়ান অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম।

লর্ড ডালহৌসি ১৮৫০ সালে কলকাতা হতে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত উপমহাদেশের প্রথম টেলিগ্রাফ লাইন চালু করেন। তিনি ১৮৫৩ সালে উপমহাদেশে এবং ১৮৫৪ সালে বাংলায় সর্বপ্রথম রেল যোগাযোগ চালু করেন।

কৃষক প্রজা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এ. কে. ফজলুল হক। প্রজা পার্টি ছিল ব্রিটিশ ভারতে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল। প্রথমদিকে একে কাউন্সিল প্রজা পার্টি বা বঙ্গীয় প্রজা পার্টি বলা হত। পরে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি ও আরো পরে কৃষক প্রজা পার্টি নাম দেয়া হয়। ১৯২৯ সালের জুলাই মাসে এই দল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তা টিকে ছিল। পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানে কৃষক শ্রমিক প্রজা পার্টি নামে দল পুনপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৯ সালে বঙ্গীয় আইন পরিষদের ১৮ সদস্য নিখিলবঙ্গ প্রজা সমিতি (অল বেঙ্গল টেন্যান্টস অ্যাসোসিয়েশন) গঠন করেন, যা প্রজা পার্টি নামে পরিচিতি লাভ করে।

হান্টার কমিশন সরকারিভাবে ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিশন (১৮৮২) নামে পরিচিত। এটি ছিল আধুনিক ভারতের ইতিহাসে প্রথম শিক্ষা কমিশন। লর্ড রিপন ভারতীয় জনগণকে আধুনিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে ‘হান্টার কমিশন’ গঠন করেন।

১৮৬১ সালে ভারতীয় পুলিশ আইন পাসের মাধ্যমে লর্ড ক্যার্নিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম পুলিশ ব্যবস্থা চালু করেন। ১৭৯৩ সালে ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ ব্যবস্থার প্রবর্তক হলেন লর্ড কর্নওয়ালিস। দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত লর্ড ক্লাইভ। ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথা রহিত ঘোষণা করার জন্য লর্ড বেন্টিঙ্ক নামটি সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিকট প্রশংসিত।

সিপাহি বিদ্রোহ বা সৈনিক বিদ্রোহ ১৮৫৭ সালে মিরাট শহরে শুরু হওয়া ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর সিপাহিদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ। সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ, মহাবিদ্রোহ, ভারতীয় বিদ্রোহ, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ ও ১৮৫৮ সালের গণ-অভ্যুত্থান নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

কোম্পানির গঠনতান্ত্রিক সমস্যা এবং প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনের জন্য তদানীন্তন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লর্ড নর্থ ১৭৭৩ সালে নিয়ামক আইন প্রণয়ন করেন। লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস তৎকালীন সময়ে উপমহাদেশের গর্ভনর জেনারেল ছিলেন।

লর্ড হেস্টিংস ১৭৭২-১৭৭৪ পর্যন্ত ভারতের গভর্নর ছিলেন। পরবর্তীতে ১৭৭৪ সালে তিনি ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৭৭২ সালে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা বাতিল করেন। ওয়ারেন হেস্টিংস উপমহাদেশে প্রথম রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন।

১৯৩০ সালে গান্ধীজী আইন অমান্য কর্মসূচি ঘোষণা করলে বিপ্লবীদের কার্যক্রম বহুমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। মাস্টারদা সূর্য সেন চট্টগ্রামকে ব্রিটিশ সরকারের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য তার দলবল সহ সরকারের অস্ত্রভাণ্ডার লুণ্ঠন করে সরকারের বিরুদ্ধে যু্দ্ধ ঘোষণা করেন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনাধীন পরাধীন ভারতের স্বাধীনতাকামী অসীম সাহসী বিপ্লবীরা। এই বিপ্লবীদের নেতৃত্বে ছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন।

ফকির মজনু শাহ ছিলেন ফকির ও সন্ন্যাসী আন্দোলনের নেতা। চাকমা বিদ্রোহের নেতা ছিলেন– জোয়ান বক্স খাঁ। ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা ছিলেন– হাজী শরিয়ত উল্লাহ।

খাজনা আদায়ের জন্য জমিদারদের অত্যাচার রোধকল্পে দুদু মিয়া জমির উপর আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ উক্তি করেন। হাজী শরীয়তউল্লাহর একমাত্র পুত্র দুদু মিয়া পিতার মৃত্যুর পর ‘ফরায়েজী আন্দোলনের’ নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।

নীলচাষ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয় এবং দ্রুত সমগ্র বাংলায় এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহের পিছনে কাজ করে অর্ধ-শতাব্দী ধরে নীল চাষীদের উপরে নির্মম নিপীড়ন ও নীল চাষ আইন প্রণয়ন। ভারত উপমহাদেশের মাটি নীল চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়ায় ব্রিটিশ নীলকরেরা নীলচাষে বিপুল পুঁজি বিনিয়োগ করে। নদীয়া, যশোর, বগুড়া, রংপুর প্রভৃতি জেলায় নীলচাষ শুরু হয়। নীল বিদ্রোহ দমন করার জন্য ইংরেজ সরকার ১৮৬০ সালে 'নীল কমিশন' গঠন করে। এই কমিশন সরেজমিনে তদন্ত করে চাষিদের অভিযোগ যথার্থ বলে অভিমত দেয়। ফলে সরকার নীলচাষের ওপর একটি আইন পাস করেন। এতে ১৮৬২ সালে নীল বিদ্রোহের অবসান হয়। ১৯০০ সালের মাঝে নিশ্চিন্তপুরের নীলকুঠি উঠে যাওয়ার মাধ্যমে বাংলায় সম্পূর্ণভাবে নীলচাষের অবসান ঘটে।

আল্লামা ইকবাল পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা ও বিখ্যাত কবি। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ– পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল। খিলাফত আন্দোলন যা ভারতীয় মুসলিম আন্দোলন (১৯১৯-১৯২৪) নামেও পরিচিত, ইসলামী খেলাফত পুনরুদ্ধার করতে ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানরা শওকত আলী, মোহাম্মদ আলী জওহর ও আবুল কালাম আজাদ এর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি সর্ব-ইসলামবাদ রাজনৈতিক প্রতিবাদ অভিযান পরিচালনা করে।

● স্যার ফ্রেডরিক জন ব্যারোজ – অবিভক্ত বাংলার শেষ গভর্নর।
● লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন- উপমহাদেশের সর্বশেষ ভাইসরয় ।
● সোহরাওয়ার্দী- অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী।
● ভাইসরয় র‌্যাডক্লিফ- ভারত-পাকিস্তানের সীমানা নির্ধারণ করেন।

বঙ্গভঙ্গের ফলে স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা হয়। স্বদেশী আদর্শে উদ্বুদ্ধ এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিকভাবে ব্রিটিশ শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদসাধন এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নতিসাধন। স্বদেশী আন্দোলনের উৎস ছিল ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী গণজাগরণ। এটি ১৯১১ সাল পর্যন্ত চলেছিলো।

লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৮২৯ সালে ‘সতীদাহ প্রথা’ রহিত হয়। এই কাজে তাকে ব্যাপক সহযোগিতা করেন রাজা রামমোহন রায় ও প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।

নিয়ামক আইন ১৭৭৩ সালে। মর্লি মিন্টো সংস্কার আইন ১৯০৯। এই আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। রাওলাট আইন ১৯১৮। মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার আইন ১৯১৯।

****

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!