রাত দুটো। সুনসান ঢাকা। মাঝে মাঝে রোবটিক্স ক্লিনার গাড়িগুলোর ডাক শোনা যায়। সলিম সাহেবের চেহারা পুরোপুরি বিপর্যস্ত। গত তিন ঘন্টায় নিকটতম সবগুলো গ্যালাক্সির সবগুলো গ্রহের সাথে যোগাযোগ হয়েছে। সবাই একই কথা বলছে। তারা পাঠায় নি। তারা বেগের কথা শুনে অবাক হচ্ছে। কেউ কেউ মজাও করছে। সলিম সাহেব এবার সত্যিই ভয় পাচ্ছেন। তাহলে মহাজাগতিক ভূতরা কী সত্যই আছে? নিজের চিন্তার উপর নিজেই রেগে গেলেন তিনি। নিজের মনেই বললেন এইসব ভূত টূত কিছু নাই। আবার কম্পিউটারের সামনে বসলেন। ওয়েভ লেংথ, বেগ থেকে দূরত্ব বের করার চেষ্টা করতে লাগলেন। এতে যদি উৎস সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়।
সলিম সাহেবের জানা মতে, এস্ট্রোনমির এমন কোন ফর্মুলা নাই, যা তিনি প্রয়োগ করেননি। এমনকি হেনিবকাবের "আল্ট্রা ডিসটেন্স" সূত্রও প্রয়োগ করলেন। এ সূত্র এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির একজন বিজ্ঞানীর। সলিম সাহেব বিরক্ত হলেন। বললেন-শালা হেনিবকাবের! দূরত্ব বের করা সম্ভব হলো না তার। এবার তিনি দেখলেন, মহাজাগতিক স্যাটেলাইট। কোথাও টেরেস্টিয়াল ঝড় টড় হচ্ছে কিনা। হয়ত সেখান হতে এ রেডিওওয়েভের জন্ম। মুখে বিরক্তিসূচক শব্দ করলেন সলিম। তার মানে কোথাও কোন মহাজাগতিক ঝঞ্জাট নেই! তাহলে এটা কোন প্লানেটের হুমকি নয় তো? এ ধারণাও বেশিক্ষণ টিকলো না তার মাথায়। কেননা, এত দ্রুতগতির রেডিও ওয়েভ কোন প্লানেটের প্রাণীর কাছে থাকা সম্ভব নয়। এবার সত্যিই ভয় পেতে শুরু করলেন ড. সলিম। তার গা ঘামতে শুরু করেছে। তিনি প্রচণ্ড পিপাসা অনুভব করছেন।
ভোর হয়ে এল বলে। সলিম সাহেব কয়েকবার বমি করলেন। বমি করার পর কিছুটা রিলাক্স লাগছে তার। সলিম সাহেব কম্পিউটারের সামনে বসলেন। আবার রেডিও ওয়েভগুলো দেখলেন। তিনি দেখলেন প্রতিটা রেডিও ওয়েভ দশ মিলি সিকেন্ড করে রেকর্ড করা। তিনি রেডিও ওয়েভগুলোর একটা গ্রাফ তৈরি করে সময়ের বিপরীতে ওয়েভ লেংথ রাখলেন। ফলে একটা আঁকাবাঁকা রেখা পাওয়া গেল । এ রেখার পরিবর্তন আলফাবেটিক্যালি সাজালেন। স্ক্রিনে যা লেখা উঠল, তা দেখে তিনি রীতিমত শিউরে উঠলেন (চলবে....)