যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সহজে চলাচল করতে পারে তাকে বিদ্যুৎ সুপরিবাহী বলে। বিদ্যুৎ পরিবহনের এ ধর্মকে বিদ্যুৎ পরিবাহিতা বলে। তামা, সোনা, রূপা ইত্যাদি বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। তবে যার রোধ যত কম তার বিদ্যুৎ পরিবাহিতা তত বেশি। এক্ষেত্রে রূপার রোধ সবচেয়ে কম বলে এর বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি।
ধাতুর নাম | শিখার বর্ণ | ধাতুর নাম | শিখার বর্ণ |
---|---|---|---|
লিথিয়াম (Li) | উজ্জ্বল লাল বর্ণ | সিজিয়াম (Cs) | নীল |
সোডিয়াম (Na) | উজ্জ্বল সোনালি হলুদ | ক্যালসিয়াম (Ca) | ইটের মতো লাল বর্ণ |
পটাশিয়াম (K) | বেগুনি | স্ট্রনসিয়াম (Sr) | উজ্জ্বল লাল বর্ণ |
রুবিডিয়াম (Rb) | লালচে বেগুনি | বেরিয়াম (Ba) | হলুদাভ সবুজ |
বিজ্ঞানী জেমস চ্যাডউইক সর্বপ্রথম ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে নিউট্রন সম্বন্ধে ধারণা দেন এবং বলেন, হাইড্রোজেন 1 ব্যতীত অন্য যে কোনো পরমাণুর অভ্যন্তরে নিউট্রন বিদ্যমান। নিউট্রনের ভর 1.675×10−24g। এটি চার্জ নিরপেক্ষ। এটি পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থান করে। ভোল্টা অষ্টাদশ শতকে প্রথম ব্যাটারী বা বিদ্যুৎ কোষ আবিষ্কার করেন।
মৌলিক কণা দুই ধরনের-
১. অস্থায়ী মৌলিক কণিকা: নিউট্রিনো, অ্যান্টিনিউট্রিনো, পজিট্রন এবং মেসন ইত্যাদি।
২. স্থায়ী মৌলিক কণিকা : ১. ইলেকট্রন, ২. প্রোটন, ৩. নিউট্রন।
আলফা রশ্মি (α): আলফা রশ্মি বা আলফা কণা আসলে একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস এর বিকিরণ।
বিটা রশ্মি (β): এই রশ্মি অতি উচ্চ গতি সম্পন্ন ইলেকট্রন প্রবাহ।
গামা রশ্মি (γ): গামা রশ্মি আসলে শক্তিশালী তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ। কাজেই এর কোনো চার্জ নেই।
ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস হলো আইসোটোপ। যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন তাকে আইসোটোপ বলে। ক্যান্সার চিকিৎসায় সাধারণত কোবাল্ট 60(60Co) আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
স্থিতিস্থাপকতা সেই বস্তুর বেশি যার উপর বল প্রয়োগ বা পীড়নে বিকৃতি কম হয়। একই মানের বল, দুটি ভিন্ন উপাদানে তৈরি বস্তুর সমান ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হলে যার বিকৃতি কম হবে তার স্থিতিস্থাপকতা বেশি হবে। ইস্পাত, রাবার, তামা ও লোহার মধ্যে ইস্পাতের বিকৃতি কম হয়। তাই ইস্পাতের স্থিতিস্থাপকতা বেশি।
যে ধাতুর গলনাংক সবচেয়ে কম - পারদ (Hg)।সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ধাতু- লোহা (Fe)।প্রকৃতিতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় যে ধাতু- অ্যালুমিনিয়াম (Al)।যে ধাতুর উপর আঘাত করলে শব্দ হয় না- অ্যান্টিমনি (Antimony)।
অর্ধপরিবাহী হলো সেই বস্তু যার পরিবাহকত্ব অন্তরকের চেয়ে বেশি কিন্তু পরিবাহকের তুলনায় কম। তড়িৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অর্ধপরিবাহী পদার্থের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সিলিকন, জার্মেনিয়াম, গ্যালিয়াম ইত্যাদি অর্ধপরিবাহী। লোহা অর্ধপরিবাহী নয়। লোহা তড়িৎ পরিবাহক।
সাইক্লোহেক্সেন যৌগটি অ্যালিফ্যাটিক ও অ্যারোমেটিক উভয়ধর্ম প্রদর্শন করে। সাইক্লোহেক্সেন এর সংকেত হল C6H12.
অ্যামোনিয়া (NH3): বরফ তৈরিতে এবং পচনশীল দ্রব্য সংরক্ষণে অ্যামোনিয়া (NH3) ব্যবহৃত হয়। মূত্র থেকে যে গন্ধ নির্গত হয়, তার জন্য অ্যামোনিয়া দায়ী।
MgO (ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড) একটি ক্ষারকীয় অক্সাইড। কারণ Mg একটি মৃৎক্ষার ধাতু যার অক্সাইড এটি এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
লোহা (Fe) বা লোহার জিনিসপত্র বহুদিন আর্দ্র বাতাসে থাকলে বাতাসের অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্পের বিক্রিয়ায় পানিযুক্ত ফেরিক অক্সাইড উৎপন্ন হয় এবং বাদামি বা লালচে রঙের আবরণ তৈরি করে। একে মরিচা বা জং বলে। এর ফলে লোহা ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
মরিচার সাধারণ সংকেত আর্দ্র ফেরিক অক্সাইড (Fe2O3.nH2O)।
বৈদ্যুতিক বাল্বের (Electric bulb) ভিতরে ফিলামেন্ট নামক বিশেষ এক ধরনের তারের কুণ্ডলী থাকে যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তাপ ও আলো উৎপন্ন হয়। এ ফিলামেন্টটি টাংস্টেন নামক এক প্রকার ধাতুর তৈরি।