১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম সংগঠন ‘তমদ্দুন মজলিশ’ এর গোড়াপত্তন হয়। তমদ্দুন মজলিশ ৩ সদস্য বিশিষ্ট ছিল যার নেতৃত্ব দেন তরুণ অধ্যাপক আবুল কাশেম। অপর দুই সদস্য হলেন- সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক শামসুল আলম। ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরে তমদ্দুন মজলিস একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে যার নাম ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু? এই পুস্তিকার লেখক কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমেদ এবং অধ্যাপক আবুল কাসেম (তমদ্দুন মজলিসের সাধারণ সম্পাদক) বাংলা ভাষাকে পূর্ব বাংলায় ভাব বিনিময়, অফিস ও আদালতের একমাত্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পক্ষে জোরালো মতামত তুলে ধরেন।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি- সমগ্র পূর্ব বাংলায় ভাষার দাবিতে হরতাল পালিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ- রাষ্ট্রভাষা দিবস পালিত হয়।
ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক।
সম্পাদক: অধ্যাপক শাহেদ আলী।
সময়কাল: ১৪ নভেম্বর, ১৯৪৮।
দৈনিক আজাদ: আবুল কালাম শামসুদ্দিন।
দৈনিক ইত্তেফাক: তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। ১৯৪৯ সালের ২৪ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগের ১ম জনসভা হয় ঢাকার আরমানীটোলা ময়দানে।
২৭ জানুয়ারি ১৯৫২ তৎকালীন পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন কর্তৃক পল্টন ময়দানে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পুনরায় উর্দুর কথা ঘোষিত হলে ভাষা আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে এবং ২১ ফেব্রুয়ারির আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। খাজা নাজিমুদ্দীন ১৭ অক্টোবর ১৯৫১ থেকে ১৭ এপ্রিল ১৯৫৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন সংঘটিত হয়।সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার একটি প্রথম সারির রাজনৈতিক দল ছিল। ১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার লাইব্রেরি হলে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে একটি সভায় এই দল গঠন করা হয়।
৯ মে, ১৯৫৪ পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে বাংলাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২৩ মার্চ, ১৯৫৬ বাংলা ভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়। বাঙালি জাতির ১৯৫২ সালের আত্মত্যাগের দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর UNESCO ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি UNESCO-র ১৮৮ টি সদস্য রাষ্ট্রে এটি প্রথমবারের মতো পালিত হয়।
ওরা আমার মুখে ভাষা কাইড়া নিতে চায়- গানটির গীতিকার আব্দুল লতিফ। ১৯৫৩ সালে প্রথম প্রভাত ফেরিতে গাওয়া হয় বরিশালের মোশারফ উদ্দিন আহমেদের গান- মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/আজিকে স্মরিও তারে। ভুলব না ভুলব না- গাজীউল হক। ভাষার জন্য জীবন হারালি- রমেশ শীল।
১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। যুক্তফ্রন্টের প্রধান অফিস স্থাপিত হয় সদরঘাটের ৫৬, সিমসন রোডে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন টিকাটুলীর রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। ১৫০নং মোঘলটুলী ছিল প্রাদেশিক মুসলিম লীগের দপ্তর। বাংলা একাডেমীর পূর্ব নাম ছিল বর্ধমান হাউস।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে: | প্রতীক | দল |
---|---|---|
হারিকেন- | মুসলিম লীগ। | |
নৌকা- | যুক্তফ্রন্ট। |
পাকিস্তান শাসনামলে পূর্ব বাংলার প্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৪ সালের ১১ মার্চ। এ নির্বাচনে মুসলিম লীগের পরাজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক দল, নেজামে ইসলাম ও গণতন্ত্রী দল একত্রিত হয়ে ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর গঠন করে যুক্তফ্রন্ট। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক ছিল নৌকা। ধানের শীষ ও লাঙ্গল যথাক্রমে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক দল বিএনপি এ জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রতীক।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিব ফরিদপুর-১৪ (প্রাদেশিক পরিষদের-১৩৬) আসন থেকে নির্বাচিত হন।
আতাউর রহমান খান- বেসরকারি সরবরাহ।
আবুল মনসুর আহমেদ- স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
শেখ মুজিবুর রহমান- কৃষিঋণ, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন।
মোট আসন ৩০৯টি; যুক্তফ্রন্ট- ২২৩; মুসলিম আসন-২৩৭; আওয়ামী লীগ-১৪৩; অমুসলিম আসন- ৭২; কৃষক প্রজাপার্টি- ৪৮।
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ ২৯ মে পূর্ববঙ্গে ’৯২ (ক)’ ধারা জারি করে গভর্নরের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৫৪ সালের ৩০ মে অগণতান্ত্রিক পন্থায় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেন। ৩০ মে, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিসভার পতন হয়। এ মন্ত্রিসভা মাত্র ৫৬ দিন স্থায়ী ছিল।
১৯৫৫ সালে ১৪ অক্টোবর পূর্ববঙ্গের নামকরণ করা হয় পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের সংবিধান রচনা করা হয়।
আবু হোসেন সরকারের পদত্যাগের পর ১৯৫৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আতাউর রহমান খান পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রীসভা গঠন করেন।
শেখ মুজিবুর রহমান- শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও দুর্নীতি দমন মন্ত্রী।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত- স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী- বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।
‘শরীফ শিক্ষা কমিশন’ গঠিত হয় ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৫৮ সালে। এ কমিশনের প্রধান ছিলেন তৎকালীন শিক্ষা সচিব ড. এস. এম. শরীফ। এ কমিশন রিপোর্ট প্রদান করে ২৬ আগস্ট, ১৯৫৯ সালে। এ রিপোর্টে শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়। ফলে তীব্র আন্দোলনের মুখে ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২ সোহরাওয়ার্দীর পরামর্শে শরীফ শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট স্থগিত করা হয়।
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনাকার্টা নামে পরিচিত ‘৬ দফা দাবি’ পেশ করেন। ১৯৬৬ সালের ২৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘৬ দফা দাবি’ উত্থাপন করা হয়। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গণআন্দোলন শুরু হলে পুলিশের গুলিতে বিভিন্ন স্থানে ১১ জন বাঙালি নিহত হন। এ জন্য প্রতি বছর ৭ জুন ছয় দফা দিবস পালিত হয়। ৬ দফার ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম দফা অর্থনীতি বিষয়ক ছিলো।
৬ দফার অর্ন্তভুক্ত দফা:
২য় দফা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা- যুক্তরাষ্ট্র (কেন্দ্রীয়) সরকারের হাতে থাকবে দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয় অঙ্গরাজ্যসমূহের হাতে থাকবে।
৩য় দফা: মুদ্রা ও অর্থ ব্যবস্থা- এ দফায় দেশের মুদ্রা ব্যবস্থা সম্পকে দু’টি বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ক. দেশের দু’অঞ্চলের জন্য বিনিময়যোগ্য দু’টি মুদ্রা চালু থাকবে। এ ব্যবস্থায় মুদ্রার লেনদেন হিসাব রাখার জন্য দু’অঞ্চলে দু’টি স্বতন্ত্র স্টেট ব্যাংক থাকবে এবং মুদ্রা ও ব্যাংক পরিচালনার ক্ষমতা থাকবে আঞ্চলিক সরকারের হাতে।
৪র্থ দফা: রাজস্ব, কর ও শুল্ক বিষয়ক ক্ষমতা- সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা ও কর ধার্য এবং আদায়ের ক্ষমতা থাকবে আঞ্চলিক সরকারের হাতে। আঞ্চলিক সরকারের আদায়কৃত অর্থের একটি নির্দিষ্ট অংশ সঙ্গে সঙ্গে ফেডারেল তহবিলে জমা হবে। শাসনতন্ত্রে এ ব্যাপারে রিজার্ভ ব্যাংকসমূহের ওপর বিধান থাকবে।
প্রস্তাব- ৫: বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
৬ষ্ঠ দফা: প্রতিরক্ষা- আঞ্চলিক সংহতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে প্রদেশগুলোকে নিজস্ব কর্তৃত্বাধীনে আধাসামরিক বাহিনী বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও পরিচালনা করার ক্ষমতা দেওয়া হবে।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পাকিস্তান সরকার ১৯৬৮ সালের জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে সেনাবাহিনীর কয়েকজন কর্মরত ও প্রাক্তন সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করে তা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তারা ভারত সরকারের সহায়তায় সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। এই মামলার আসামি ছিল ৩৫ জন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর শেখ মুজিবুর রহমানকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা সভায় তোফায়েল আহমেদ কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয়।
১নং আসামী- শেখ মুজিবুর রহমান।
২নং আসামী- লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন।
১১নং আসামী- ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক।
১৭ নং আসামী- সার্জেন্ট জহুরুল হক।
১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী সার্জেন্ট জহুরুল হককে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের নতুন নাম সার্জেন্ট জহুরুল হক হল।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইবুনালের প্রধান বিচারপতি- এস.এ. রহমান। অপর দুই সদস্য- এম আর খান ও মুকসুমুল হাকিম। যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাঙালিরা প্রখ্যাত আইনজীবী স্যার টমাস উইলিয়ামকে বঙ্গবন্ধুর আইনজীবী হিসেবে প্রেরণ করে।
গণঅভ্যুত্থান দিবস হলো বাংলাদেশে ২৪ জানুয়ারি উদযাপিত একটি জাতীয় দিবস। পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে স্বায়ত্ত্বশাসনের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহিদের স্মরণে এই দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি আন্দোলন দমনে ঢাকায় পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে নবকুমার ইন্সটিটিউশনের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান মল্লিক ও রিকশাচালক রুস্তম আলী নিহত হন। এই হত্যার পর আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং ফলস্বরূপ স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে।
বাংলাদেশি রাজনীতিবিদদের মতে দিনটি বাংলাদেশের নাগরিকদের গণতন্ত্রের মর্যাদা ও দমনমূলক নীতির প্রতিবাদে উদ্বুদ্ধ করে।
উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানের শহিদ-
২৪ জানুয়ারি- পুলিশের গুলিতে নিহত হন কিশোর ছাত্র মতিউর রহমান-সহ আরো অনেকে।
১৫ ফেব্রুয়ারি- কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে আটক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক কে হত্যা করা হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মৌন মিছিলে গুলি চালালে নিহত হন শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা।
১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের ৩০ মার্চ সে ‘আইনগত কাঠামো আদেশ’ জারি করেন। আইনগত কাঠামো আদেশের ২০ অনুচ্ছেদে পাকিস্তানের সংবিধানের ভিত্তি কি হবে সে সম্পর্কে মূলনীতি সংযোজন করা হয়।
৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন। ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিব ঢাকা-৮ ও ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচিত হন।