এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ডের ৫ম , ম্যাচ সংখ্যায় বিবেচনা করলে এটি ছিল এশিয়া কাপের ১১তম ম্যাচ। গুরুত্বের দিক দিয়ে দেখলে নিছক নিয়ম রক্ষার ম্যাচ যেখানে উভয় দলের জয় পরাজয়ে কারো কিছু আসেযায়না। কিন্তু ভারতের জন্য এবারের আসরের সবচেয়ে পাওয়া কালকের ম্যাচ। কারণ এই ম্যাচেই বিরাট কোহলী নামক এক রাজার নতুন করে প্রত্যাবর্তন হয়েছে। অপর দিকে ২ বলের ট্রাজেডি লড়াকু আফগানিস্তানের শুধু ২ ম্যাচই কেরে নেয়নি কেড়ে নিয়েছে লড়াই করার মানসিকতা না হলে হয়তোবা বিশ্ববাসির কোহলীর ইনিংসটা ২৮ রানেই থেমে যেত। কিন্তু ক্রিকেটের দেবী কাল হয়তোবা রাজার জন্য অন্য কিছুই ভেবে রেখেছিলেন।
এছাড়া তো উপায় ছিল না। কারণ এটা ছিল হাজার দিনের তপস্যার ফল। ভারত হয়তোবা দলগত অর্জনের দিক বিবেচনায় শুন্য হাতে ফিরে যাচ্ছে কিন্তু ফেরার সময় তাদের হারিয়ে যাওয়া কোহিনূরকে পূনরূদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে। পরম কোহলী বিদ্বেষী মানুষটাও হয়তোবা ওই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিল। এটা ছিল ভাইকিংস সিরিজের কিং একবার্ট সেই অনুভূতির মতো যেখানে র্যাগনারকে ধ্বংস করতে হতো যা সে কখনোই মেনে নিতে পারছিল না। কারণ একজন বীরের এমন পরিণতি কেউ মেনে নিতে পারে না। তাইতো তার এই প্রত্যাবর্তন সকলের মাঝে সমাদৃত হয়েছে।
রাজা তার প্রত্যাবর্তন তাও করলেন বীরের মত। ৯০ এর ডাবল ডিজিটের ফিগারকে ট্রিপল ডিজিটে রূপান্তরিত করতে খরচ করেছেন মাত্র ২ বল।যে ফরম্যাটে তার কোন সেঞ্চুরি ছিল না সেটাকেই বেছে নিলেন নিজের ৭১ তম সেঞ্চুরির জন্য এবং আরেক লিজেন্ড রিকি পণ্টিং এর পাশে নিজের নাম বসিয়ে নিলেন। বিশ্ব আরেকবার দেখলো কিভাবে একজন রাজা তার সিংহাসন পুনরুদ্ধার করে তাতে বিরাজমান হতে হয়।
ভারত হয়তোবা এবারের এশিয়া কাপ জিততে পারেনি কিন্তু তারা এবারের আসরে তার চেয়েও বড় কিছু বিজিত করে নিয়ে যাচ্ছে। যা হতে পারে তাদের জন্য সামনের বিশ্বকাপে অন্যতম প্রশান্তির কারণ আর অন্যান্যদের জন্য অবশ্যই আতঙ্কিত হবার মত ব্যাপার। কারণ ফর্মে থাকা কোহলী কতটা ভয়ঙ্কর তা আপনারা ভালো করেই জানেন।