প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই,আমি আশা করছি আল্লাহ তায়ালা আপনাদের ভালো রেখেছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি,আজ আবারও আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি একটি নতুন ডায়েরি নিয়ে শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকবেন।
দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার,প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী আমি ফজরের আগেই ঘুম থেকে উঠে ছাত্রদের পড়া শুনলাম,নামাজের সময় হলে সবাই মিলে ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম,ফজরের নামাজের পর আবারও ক্লাসে বসলাম।আজ যেহেতু বৃহস্পতিবার তাই আজকে ছাত্রদের ফজরের পর পড়া আমার শুনতে হবেনা,কারণ সারা সপ্তাহে ওরা যা পড়েছে আজ ওরা একে অন্যজনকে তা শুনাবে,তাই আমি একটা দেশাত্মবোধক গান লিখলাম আমার ডায়েরিতে।
বহুল পরিচিত এই গানটি,সকলের কাছেই খুব প্রিয়,আমার কাছে একটু বেশি প্রিয়,গানটা লিখার পর সকালের হালকা নাস্তা করলাম।
প্রতিদিন ফজরের পর আমাদের মাদ্রাসার পক্ষ থেকে এই হালকা নাস্তা দেওয়া হয়,নাস্তা শেষ করে ৮টা পর্যন্ত ক্লাস করলাম,ক্লাস শেষে আমরা সকালের খাবার খেলাম,
সকালের খাবারের আজকের রুটিন ছিলো খিচুড়ি।
খিচুড়ি খেতে আমার একদম ভালো লাগেনা,তবুও মাঝে মাঝে খেতে হয় করার কিচ্ছু নাই,তবে আমের টকঝাল আচার দিয়ে খিচুড়ি খেতে বেশ ভালো লাগে সাথে আচারের তেল।খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা বাহিরে বের হলাম আজকে খেলবো সে-জন্য,মাঠে যাওয়ার পথে একটা বাড়ির সামনে একটা টপে একটা ফুল গাছ দেখলাম,এই ফুল গুলো আমার মন ছুঁয়েছে তাই মোবাইল বের করে
খ্যাটাং খ্যাটাং করে কয়েকটা ছবি উঠালাম।
এরপর আমরা মাঠে পৌঁছে গেলাম,কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে মাঠে অবস্থা বেশি একটা ভালো ছিলোনা,তবুও কষ্ট করে যখন মাঠ পর্যন্ত এসেছি,খেলার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।তবে আজকে বেশি প্লিয়ার আসেনি মাঠে,কিছু বাচ্চা পোলাপান ও ছিলো মাঠে ওদেরকেও আমাদের সাথে খেলতে নিলাম।
বেশ কিছুক্ষণ খেলাধুলার পর,আবারও মাদ্রাসায় ফিরে এলাম,ক্লান্ত শরীর নিয়ে বিছানায় গা লাগানোর সাথে সাথে ঘুমের দেশে পৌঁছে গেলাম।ঘুম থেকে উঠে যথা নিয়মে নামাজ,খাবার খাওয়া,ক্লাস করালাম।তারপর ক্লাসে মধ্যেই একটা বই পড়তে লাগলাম,যে বই আমি অনলাইন থেকে ডাউনলোড করেছি।
বইটি লিখেছেন,ডাঃ শামসুল আরেফীন শক্তি ভাই,উনার প্রথম বই যেটা আমি পড়েছি সেটার নাম হলো "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" এই বই পড়ে আমি উনার লেখার অনেক বড় প্রেমিক হয়েছি,উনার শব্দচয়ন,পাঠককে বুঝানোর অসাধারণ ক্ষমতা,পাঠককে পড়ার মধ্যে ডুবে রাখার এক অসাধারণ কৌশল,যা উনার বই যারা পড়েছেন তারা সহজেই বুঝতে পারবেন। "অবাধ্যতার ইতিহাস"বইটি আমার মাত্র পড়া শুরু হয়েছে,৩০ পৃষ্ঠার মত পড়েছি,তবে যতটুকু পড়েছি অনেক ভালো লেগেছে,বাকীটা পড়ে বইয়ের রিভিউ দিবো ইনশাআল্লাহ।
আছরের নামাজের সময় হলে নামাজ আদায় করে নিলাম,নামাজের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হলো,জানালার পাশে আমি যে ছাত্র ছিলো, সে বৃষ্টির পানিতে ভিজে গিয়েছে।নামাজ শেষ করে বৃষ্টির কয়েকটা ছবি নিলাম।
বৃষ্টি আমার যে খুব প্রিয় আমার নিয়মিত পাঠক তা জানে,কিছুক্ষণ বিছানায় আরাম করলাম,বাসায় কথা বললাম,মাগরিবের সময় হলে নামাজ আদায় করে নিয়ে আবারও ক্লাসে বসে বই পড়তে শুরু করলাম।
এতদিন পর্যন্ত আমি রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী রহ: এর কথা শুনেছিলাম,কখনো উনার জীবনি পড়া হয়নি,আগে থেকেই জানতাম,উনি আল্লাহর অনেক বড় একজন ওলী,তবে উনি যে এত বড় মাপের একজন ওলী এটা বই না পড়লে বুঝতে পারতাম না,এই বইয়ের ভিতরে উনার সংক্ষিপ্ত জীবনি দেওয়া আছে ইনশাআল্লাহ, পরবর্তীতে উনার জীবন সংক্রান্ত বড় বই সংগ্রহ করে উনার সম্পর্কে আরও জানবো।
এরপর এশার আজান হলে আমরা নামাজ আদায় করলাম,তারপর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান দেখলাম,আপনারা সবাই জানেন বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীন হয়েছে,আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে উনাদের আজ বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিলো।শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান দেখে খেতে আসলাম।
আজকে ছিলো,ডিম ভাজি আলু ভর্তা ও ডাল,এই খাবার আমার খেতে অনেক ভালো লাগে,আমাদের মাদ্রাসার বৃহস্পতিবার রাতের রুটিং এটা,প্রতি বৃহস্পতিবার এই খাবার আমাদের দেওয়া হয়।খাবার খাওয়া শেষ করে,বিছানায় গিয়ে শুইলাম,তারপর অনলাইনে কিছুক্ষণ থেকে ঘুমে গেলাম।
*এই ছিলো আমার সারাদিনের ডায়েরি যা আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে,আপনাদের কাছে দোয়া চাওয়ার মাধ্যমে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
@habib35