اسلام عليكم و رحمةالله وبركاته
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোন,আশা করছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে মহামহিম রবের মহিমায় ভালো আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও রহমতের সাগর রব্বুল আলামীন এর দয়ায় ভালো আছি। আজ আবারও আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম নতুন আরেকটি ডায়েরি নিয়ে।আশা করবো শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকবেন ইনশাআল্লাহ। কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে দিনটা খুব রোমান্টিক ছিলো,অল্প অল্প করে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও হচ্ছিলো,সকালে আমার একজন রোগীকে রক্ত দিতে যাওয়ার কথা ছিলো।রোগী ছিলেন আমাদের মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল স্যারের আম্মু আমি দোয়া করি আপনারাও দোয়া করেন আল্লাহ যেন উনাকে পরিপূর্ণ সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করেন আমিন। রক্ত দেওয়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৮ঃ৩০ মিনিটে বের হলাম আমি ও প্রিন্সিপাল স্যার হসপিটালের দিকে,আমি এর আগেও ৫বার রক্ত দিয়েছি, এটা আমার ষষ্ঠ রক্তদান,রক্ত দেওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করার মত না,একটু ভেবে দেখুন আপনার রক্ত নিয়ে আল্লাহ চাইলে একজন মানুষ সুস্থ থাকবে,জীবিত থাকবে পৃথিবীতে আরও কিছুদিন,ভাবতেই কেমন যেন একটা ভালো লাগা কাজ করে।হসপিটালে গিয়ে আগে রোগীর সাথে দেখা করলাম,যখন উনি জানলেন আমি উনাকে রক্ত দেওয়ার জন্য এসেছি,তখন উনি আমার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করলেন,আর এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া,মানুষের দোয়া নেওয়া আমার কাছে অনন্য বিষয়, আমি মনে করি আমার জীবনকে সহজতর করার ক্ষেত্রে মানুষের দোয়া হলো অনন্য একটি মাধ্যম। রক্ত দেওয়ার আগে ও পড়ে ডাবের পানি খেলাম,ডাবের পানি অত্যান্ত উপকারী শরীরের জন্য,রক্ত দেওয়া শেষ করে আমি আবার মাদ্রাসায় ফিরলাম,তখন বাজে বেলা ১০টা,যেহেতু এই সময়টা আমাদের বিশ্রাম করার তাই ঘুমিয়ে গেলাম,ঘুম থেকে গোসল,নামাজ,ও দুপুরের খাবার সেড়ে নিয়ে ক্লাসে বসলাম,ছাত্রদের পড়া শোনার পর,আমি আমার ফোনে থাকা এপ্সে থাকা কিছু ইসলামিক আর্টিকেল পড়তে বসলাম। এই এপ্স আমার জীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছে আলহামদুলিল্লাহ, এখানে থেকে আমি আমার নিজের আত্মার খোরাক পেয়েছি,অসাধারণ একটি এপ্স। ক্লাসে বসে থাকতে থাকতে পা অবশ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হল,তাই একটু হাটাহাটি করতে করতে বেলকনিতে গেলাম,বেলকনিতে গিয়ে প্রাকৃতিক কিছু দৃশ্য হাতে থাকা ফোনের মাধ্যমে ক্যামেরা বন্দী করলাম। প্রকৃতি দেখতে আমার বড্ড ভালো লাগে,প্রকৃতি দেখলে নিজের অজান্তেই মুখ থেকে আল্লাহর প্রসংশা মাখা অনেক গজল আমার মুখ থেকে বেড়িয়ে পড়ে। এরপর আছরের নামাজ আদায় করলাম,যেহেতু সারাটাদিনই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নামছিলো,আর এই বৃষ্টির মাঝে মুড়ি খেতে বেশ ভালো লাগে,তাই আমরা তিনজন শিক্ষক মিলে মুড়ি খাওয়ার ছোট্ট একটি আয়োজন করলাম। মুড়ি খাওয়া খুব ভালো ভাবেই সম্পন্ন হলো,একটু পরেই মাগরিব এর আজান হলো,মাগরিব নামাজ শেষ করে ক্লাসে বসে সূরাহ ওয়াকিয়া ও একপারা কুরআন তেলাওয়াত করলাম। তেলাওয়াত শেষ করে,বই পড়ার জন্য আবারও বসলাম,বইয়ের নাম ছিলো,"রিয়াযুস সালেহীন" অত্যন্ত মুল্যবান একটি বই,বইটির প্রথম খন্ড পড়া চলছে আমার। তারপর এশার নামাজ আদায় করে, রাতের খাবার খেলাম,তারপর যথা সময়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
@habib35 |
---|
X promotion link
https://x.com/MdHabib86056390/status/1807989814425424156?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
In return for this blood of yours, may Allah heal the principal's mother, Ameen. Also most of the day is limited to acquiring knowledge. Which is a very good job. The fun of standing on the balcony at the moment of rain is different from eating mudri in cold weather. Be well dear brother
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit