اسلام عليكم و رحمةالله وبركاته
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোন,আশা করছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে মহামহিম রবের মহিমায় ভালো আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও রহমতের সাগর রব্বুল আলামীন এর দয়ায় ভালো আছি।
আজ আবারও আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম নতুন আরেকটি ডায়েরি নিয়ে।আশা করবো শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
দিনটি ছিলো শনিবার, শুক্রবার ছুটির পর শনিবার আসলে মনটা অটোমেটিক খারাপ হতে ধরে,যাইহোক শনিবার অনেক চাপ,খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে যথানিয়মে ফজরের নামাজ আদায় করে ক্লাসে বসলাম,ক্লাস শেষ করে সকালের খাবার খেয়ে সুয়ে পড়লাম,ঘুম থেকে উঠে আবার নামাজ শেষ করে খাবার খেয়ে ক্লাস,একটুপর প্রিন্সিপাল এর কল আসলো।উনি আমাকে বললেন একটা জানাযায় যেতে হবে।তাইলে তারাতাড়ি রেডি হয়ে জানাযার উদ্দেশ্যে বের হলাম।
ওখানে গিয়ে আছরের নামাজ আদায় করলাম,নামাজ শেষে জানাযা হবে,জানাযার আগে ইমাম সাহেব উনার ব্যাপারে অনেক কিছুই বললেন।ওখানে গিয়ে জানতে পারলাম মৃত লোকটি অনেক ভালো একজন মানুষ ছিলেন,মৃত ব্যক্তি উনি বগুড়া আজিজুল হক কলেজ এর একজন অধ্যাপক ছিলেন,উনার সমস্ত কলিগ উনার প্রশংসা করছেন,উনি সবার বিপদে পাশে থাকতেন,ছিলেন একজন সমাজসেবী,আরও অনেক ভালো ভালো গুণ বর্ণনা করলেন।একটা মানুষের সবচেয়ে বড় পাওয়া তো এটাই যে সে মৃত্যু বরণ করার পর সবাই তার প্রশংসা করবে,তাকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা সবাই অনুভব করবে।কাজী নজরুল ইসলাম যথার্থই বলেছিলেন,"এমনও জীবন করিবে গঠন মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবণ"
জানাযার নামাজ আদায় করে,আমরা বাইকে করে ফিরে আসতে লাগলাম,প্রিন্সিপাল স্যার আমাদের কে বগুড়া শহরের বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলো,একটুপর আমরা বগুড়া জামিল মাদ্রাসায় পোঁছালাম,এখানে একটা সময় আমি পড়াশোনা করতাম।কত স্মৃতি লুকানো আছে আমার,এই মাদ্রাসার প্রতিটি কোনায় কোনায়।
চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে উঠানো হয়েছে পিক,মাদ্রাসা পরিদর্শন করে আমরা ফিরছিলাম, একটুপর দেখি প্রিন্সিপাল স্যার চুন্নু চাপ এন্ড কাবাব ঘরের সামনে বাইক থামালেন,এরপর উনার পক্ষ থেকে আমাদের কে ট্রিট দিলেন।
বগুড়ার চাপের জন্য খুবই ফেমাস চুন্নু চাপ,বগুড়ার সবাই একনামে চিনে আমরা আমাদের জন্য গরুর চাপ এন্ড মুরগির ফ্রাই দুইটায় অর্ডার করেছিলেন,সাথে তিনটা পুরি একটা সস ও কোল্ডড্রিংকস,এখানে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত খাবারের জন্য মানুষের খুব ভির থাকে।
খাবার খাওয়া শেষ করে আবারও বাইকে করে আমরা মাদ্রাসার দিকে রওনা দিলাম,একটুপরেই মাদ্রাসায় পৌঁছে গেলাম,মাদ্রাসায় এসেই মাগরিবের আজান হলো নামাজ পড়ে ক্লাসে বসলাম,এশা পর্যন্ত ক্লাস করে,আবার এশার নামাজ পর কিছুক্ষণ ক্লাস করলাম,রাতের খাবার আর খেলাম না কারণ আমার পেট ভরা ছিলো,বিছানায় এসে আর দেরি না করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরিশেষে দোয়া চাই মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহ উনার জীবনের সমস্ত ভূল গুলো ক্ষমা করে দিন, এবং উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করুন উনার পরিবারের সবাইকে আল্লাহ ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন আমিন।
এই ছিলো আমার আজকের ডায়েরি যা আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম,আশা করছি আমার ডায়েরি পড়ে আপনাদের খারাপ লাগেনি
@habib35