প্রিয় স্টিমিয়ান্স ভালোবাসা গ্রহণ করবেন,আশা করছি বর্ষার এই দিনে ভালো আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আমার নতুন ডায়েরি গেমে আপনাকে স্বাগতম,আমার গতকালের দিন কেমন কেটেছে সেটাই আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ,শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকবেন।
খুব সকালেই ঘুম থেকে ফজরের নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আমার দিনটি শুরু হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ,নামাজের পর হালকা নাস্তা করে ছাত্রদের কুরআন পড়া শুনছিলাম।আমার এটা ভেবে সত্যিই অনেক ভালো লাগে যে আমার বছরের অধিকাংশ দিন নামাজ ও তেলাওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হয়।
বেলকনিতে তেলাওয়াত শোনার সময়
আমার এই ছাত্রের নাম "তাহমিদ বিন হাসান"ওর তেলাওয়াতের সূর খুব মায়াবী,যা শুনলে আপনার কলিজা ঠান্ডা হয়ে যাবে,একটু কল্পনা করুন,সকালের মিষ্টি আবহাওয়া,হিমেল বাতাস,সতেজ প্রকৃতি,আর পাশে হৃদয় নিংড়ানো তেলাওয়াত,কেমন হবে একটু কল্পনা করুন।বিশ্বাস করুন এর থেকে ভালো কোন সময়ই হতে পারেনা।
বেলকনিতে দাঁড়িয়েই বাহিরের প্রকৃতির ছবি উঠালাম,শহরে প্রায় সবার বাসার সাদে মিনি বাগান থাকে,যা বাড়ির সৌন্দর্য বাড়ানোর সাথে সাথে তীব্র গরমে ঘর ঠান্ডা রাখে।
অন্যের বাড়ির মিনি বাগান
এরপর ক্লাস শেষ করে সকালের নাস্তা করে দিলাম একটা দীর্ঘ ঘুম,ঘুম থেকে উঠে যুহরের নামাজ শেষ করে,দুপুরের খাবার খেয়ে আবারও ক্লাস করলাম বিকেল পর্যন্ত,বিকেলে বাহিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।আসলে সারাদিন ঘরে বসে থাকতে থাকতে শরীরতাও কেমন জানি ভারি হয়ে গেছে,বাহিরে যেতেই একটা বকুল ফুলের গাছ দেখতে পেলাম,গাছের কয়েকটা ছবি উঠালাম।
বকুল ফুলের গাছ
বকুল ফুলের ঘ্রাণ খুব প্রিয় আমার।এই ফুল রাতের বেলা বেশি ঘ্রাণ ছড়ায়,গাছের আশেপাশে ঘ্রাণে মৌ মৌ করে তুলে,যখন কোন পথিক এই পথ ধরে গন্তব্যে রওনা দেয়,তখন বকুলের ঘ্রাণ তাকে তৃপ্তি সহকারে ঘ্রাণ নিতে বাধ্য করে।
এরপর আমরা বাজারের দিকে চলতে শুরু করলাম।কয়েক দিনের বৃষ্টির পর বাহিরের আবহাওয়া একটু শীতল ছিলো।
বাজারে যাওয়ার পথে
একটু সামনে যেতেই একটি ফুল গাছের দেখা মিললো,ফুল গুলো খুব সুন্দর দেখাচ্ছিলো,তাই ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে কয়েকটি ছবি উঠালাম।
ফুলের ছবি উঠানোর সময় আমি ভাবিনি ছবি গুলো এত সুন্দর হবে,তবে ছবি উঠানোর পর ফুল গুলো দেখতে আমার কাছে অসাধারণ লাগছিলো।
ইইতিমধ্যে আমরা বাজারে পৌঁছে গেলাম,বাজারে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে একটা ছোট্ট হোটেলে মিনি বার্গার খাওয়ার উদ্দেশ্যে গেলাম,এখানের মিনি বার্গার খেতে অনেক সুস্বাদু।
মিনি বার্গার এর দোকান
বার্গার খাওয়ার পর হাটতে হাটতে মাদ্রাসায় যাচ্ছিলাম,তখনই চোখে পড়লো একটা দই এর দোকান,আমরা তিনজন মিলে একটা দই কিনলাম ১৫০ বাংলাদেশি টাকায়।দই নিয়ে পাশের একটা হোটেলে গিয়ে খেলাম।
দই খাওয়ার আগে ও মাঝে
বগুড়ার দই এর স্বাদের ব্যাপারে যদিও আপনাদের বলার প্রয়োজন নেই তবুও বলছি সত্যি খুব বেশিই মজাদার ছিলো দইটি।
এরপর আমরা মাদ্রাসায় ফিরছিলাম,ঠিক তখনই ভিলেন দলের সাথে রাস্তায় দেখা মিললো😁,তারা তাদের পিস্তল আমাদের দিকে তাক করে ছিলো😐,খুব ভয় পেয়ে তাদের গালে আলতো চিমটি কেটে চলে গেলাম😇।
বাচ্চাদের এই খেলা দেখে ফিরে গিয়েছিলাম কিছুক্ষণের জন্য আমার শৈশবে,কতই না সুন্দর ছিলো আমাদের শৈশব।
এরপর আমরা মাদ্রাসায় চলে আসলাম,এসে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিলাম।
এই ছিলো আমার গতকালের ডায়েরি যা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম,আশা করছি আপনার ভালো লেগেছে আজকের মত এখানেই সমাপ্ত।
@habib35