Photo design by Canva
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন কাটলো সবার ইদ? আশা করছি সবাই ভালোভাবেই যার যার পরিবারের সাথে ঈদ উপভোগ করেছেন।
স্টিম ফর ব্লগারস কমিউনিটি এই ঈদকে নিয়ে একটি কনটেস্টের আয়োজন করেছে। মূলত সেই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যেই আজকের এই পোস্ট।
মুসলিমদের ধর্মাম্বীদের বড় একটি উৎসবের দিন হচ্ছে এই ঈদ। পুরো রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখার পর আসে এই খুশির ঈদ। অনেকেই কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক সময় নিজের পরিবারের সাথে এই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারে না। ঈদ করতে হয় পরিবারের কাছ থেকে অনেক দূরে। যদি আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই আমাদের অফিসের যারা অফিস সহকারী রয়েছে তাদের কেউ কেউ রোজার ঈদ বা কোরবানির ঈদে বাড়ি যেতে পারে না। কাউকে না কাউকে অফিসে থেকে যেতে হয়। কারণ অফিসের নিরাপত্তার খাতিরে।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি কিন্তু আমরা যারা নিজের পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি তাদের এই আনন্দের পরিমাণটা ছিল অনেক বেশি। উপরে আমি দুটি ছবি শেয়ার করেছি একটি হচ্ছে আমাদের গ্রামের আমার চাচা চাচাতো ভাই বোন, এদের বাচ্চাকাচ্চা সাধারণত এভাবে এক প্রেমে সবাইকে পাওয়া যায় না। ঈদের দিন হওয়াতে সবাই একসাথে গ্রামের ছিল সেই সুযোগে সবাইকে এক প্রেমে বন্দী করা গিয়েছে।
এবার এইটা আসলে অনেকটা অসুখের মধ্যে দিয়ে গেছে। যার কারণে ঈদের সময় যেসব খাবার রান্নাবান্না হয় সেগুলো খুব একটা বেশি উপভোগ করার সুযোগ হয়নি। কারণ হিসেবে যে বললাম অসুখের মধ্যে ছিলাম। ঈদের তিন দিন আগে থেকে আমার এবং আমার স্ত্রী দুজনেরই ডায়রিয়া হয়। যার কারণে ঈদের দিনে খাওয়া-দাওয়া একটু হিসেব করে খেতে হয়েছে। কারণ ভয়ে ছিলাম আবার ডায়রিয়া হয় কিনা? যেহেতু দীর্ঘ এক মাস আমরা সিয়াম সাধনা করি, রোজা রাখি, সারাদিন না খেয়ে থাকি। এটার একটা রুটিন তৈরি হয়ে যায়। হঠাৎ করে এক মাস পর যখন আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসি, খাওয়া দাওয়া শুরু করি তখন সেটা আমাদের শরীর তা সাথে সাথে দ্রুত সমন্বয় করতে পারেনা। অনেক সময় যার ফলে হজম সমস্যা হয়।
ঈদের দিনে প্রতিটাই মুহূর্ত আসলে স্পেশাল। তবে সবাইকে যখন একসাথে পাওয়া যায় সেই মুহূর্তটা আসলে বেশি স্পেশাল। বড় কোন উৎসব ছাড়া পরিবারের সবাইকে একসাথে পাওয়া টা কঠিন। ঈদ বা কোরবান এ সময় গুলোতে আমরা সবাই এক জায়গায় আসি এবং এই সময় গুলো খুবই বিশেষ মুহূর্তে আমাদের জন্য, কিন্তু এই বিশেষ মুহূর্তগুলো খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কারণ আমাদের সবারই জানা সবাই আমরা যার যার মত কাজে ব্যস্ত। তার কারণে এবং জীবিকার তাগিদে এই মুহূর্তগুলো খুব বেশি সময় ধরে অনুভব করা যায় না।
একটা সময় ছিল যখন ছোট ছিলাম প্রচুর পরিমাণে সবার কাছ থেকে ঈদের সালামি পেতাম, বিভিন্ন রকম উপহার পেতাম কিন্তু এখন সেই সালামি দেওয়া বা গিফট দেওয়া নিজেদের উপর চলে এসেছে। এবারে সালামি তো পাইনি তবে দিয়েছে মোটামুটি অনেকজনকে। ঈদের দিন শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলাম সেখানে শালা শালিরা ঈদের সালামির জন্য ধরল। তাদের কিছু সালামে দিয়েছি। তো অফিসের কলিক যারা ছিল তাদেরকে কিছু সময় দিয়েছে। ও মনে পড়েছে সালামি আমি পেয়েছি একজনের কাছ থেকে ৫০ টাকা। আমাদের অফিসের উপপরিচালক ইদ শেষ করে যখন অফিসের প্রথম দিন আসে। সেদিন সবাইকেই প্রতিবছর কিছু না কিছু সালাম দেয়। সে সুবাদে একমাত্র ওনার কাছ থেকেই কিছু সালামে পেয়েছে।
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit