আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। @Steem-Travelersকমিউনিটি আমি সুন্দর একটি ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম তাহলে চলুন দেরী না করে আমার ভ্রমণ সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করা যাকঃ------------------
Device | realme c15 |
---|---|
Click by | @parvag09 |
পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে ঢাকায় এক কোম্পানিতে চাকরি খোজে ভ্রমন শুরু করলাম।
আমরা মোট চারজন ঢাকা আসার জন্য কয়েকদিন আগে থেকে টিকিট বুক করে রাখি যাতে করে ঈদের পরে যেতে আমাদের কোনো সমস্যা না হয়।
আমাদের ট্রেন ছিল রাত এগারোটা। আমরা সবাই দশটার দিকে কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশনে হাজির হয় এবং সেখান বেশ কিছুক্ষণ গল্প করি। আমি এবং আমার বন্ধুরা মিলে বাদাম খাইলাম। তারপর আমাদের ট্রেন চলে আসে এবং আমরা আমাদের জিনিসপত্র নিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ি। আমার এক বন্ধু প্রথমে ট্রেনে উঠে আমাদের সিট কনফর্ম করে। তারপর আমাদের ডাক দেয় তখন আমরা ট্রেনের উপরে সিটে গিয়ে বসে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ জাগ্রত থাকার পর আমি নিদ্রায় চলে যায় পরদিন সকাল আনুমানিক ১০ টায় ঘুম থেকে উঠি। ট্রেনের ক্যান্টিন থেকে আমি নাস্তা সংগ্রহ করি আসলে সুযোগের সদ্ব্যবহার তারা সামান্য নাস্তা আমাদের কাছ থেকে সুলভ মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দাবি করেন। তারা আমাদের নাস্তার প্লেট ১৬০টাকা করে রাখে। বিভিন্ন স্টেশনে আমাদের ট্রেনটি দাঁড়াচ্ছিল আমরা যদি স্টেশনে নাস্তা করতাম তাহলে ১৬০ টাকায় আরো অনেক ভালো ভালো মেনু থাকতো।
আমাদের ট্রেনটি যেতে যেতে জয়পুরহাট স্টেশনের সামনে দাঁড়ায় প্রায় ৩০ মিনিটের মত গাড়ি দাঁড়িয়েছিল যখন তখন বেশ কয়েকজন ট্রেন থেকে নামলো তাদের দেখাদেখি আমিও নামলাম তারপর ট্রেনের টিটিকে জিজ্ঞেস করলাম তেরে খানের দাঁড় করানোর কি কারন তিনি আমাকে বললেন সামনে ট্রেন ক্রসিং করবে, তারপর সেখান বেশ কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর আমাদের কাছ দিয়ে চলে যায় তখন এই ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম। জয়পুরহাট পার হওয়ার পর যমুনা সেতুর সামনে আমাদের ট্রেনটি বেশ কিছুক্ষণের জন্য দার করে রেখেছিলো। আমি এবং আমার সহপাঠী গুলো ট্রেন থেকে নামলাম দেখি আমাদের দেখাদেখি আরো অনেক যাত্রীরা ট্রেন থেকে নিচে নেমে ছিল। সবাই ট্রেন থেকে নেমে নাস্তা পানি করছিল।
আমি ও আমার একজন সহপাঠী ট্রেন থেকে নেমে অল্প একটু সামনে এগিয়ে একটা সাইনবোর্ড দেখতে পেলাম আমরা দৌড় দিয়ে এসে সাইনবোর্ড এর কাছে গেলাম এবং ছবি তুলে দৌড় দিয়ে আবার চলে আসলাম কারন আমাদের মনে সন্দেহ ছিল যদি ট্রেনটি একবার ছারে আমরা উঠতে পারি। তারপর আমরা চলে আসার প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ট্রেনটি ছারে। অবশেষে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে কাছাকাছি পৌঁছে।
ঢাকা এয়ারপোর্ট স্টেশনে আমরা ট্রেন থেকে নামি। এয়ারপোর্ট স্টেশন অনেক বড় কি সুন্দর বসার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে ঘন ঘন মাথা রয়েছে এক কথায় যাত্রীরা যদি কোন প্রকার অস্বস্তি বোধ না করে সেজন্য সেখানে সব ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। আমরা বাসে করে সেখান থেকে বড় ভাইয়ের কাছে যাই।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের ভ্রমণ কাহিনী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল লাগবে। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করি সকলের ভাল থাকবেন ধন্যবাদ এই কামনাই করি।
🙏সবাইকে ধন্যবাদ🙏 |
---|
আপনার আগামী দিন গুলো সুন্দর হউক। দোয়াকরি খুব তাড়াতাড়ি আপনাকি একটি চাকুরী খুজে পান। মুছে যাক আপনার জীবন থেকে সব গ্লানি। শুভকামনা ভাই আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit