আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। আপনারা জানেন আমি একজন ভ্রমন প্রিয় মানুষ ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসে গত কয়েকদিন ধরে কোথাও ভ্রমণে যাওয়া হচ্ছেনা কোন জায়গায় যাওয়া হচ্ছে না তাই আমি কমিউনিটির রে সেই সময় কোন পোস্ট করতে পারিনি। তাহলে চলুন দেরী না করে আমার ভ্রমণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ----------------
Device | realme c15 |
---|---|
Click | @parvag09 |
আমার ভ্রমণ স্থান হল দিনাজপুর যেখানে আমাদের যাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার এক বন্ধুর চোখের সমস্যা। আমরা খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে আমরা বন্ধুর বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং ভ্যানে করে আমরা পার্বতীপুর রেল স্টেশনে যাই।
আমাদের যাওয়ার কথা ছিল আটটা দশে কিন্তু আমরা সেই ট্রেনটি মিস করে ফেলেছি। তাই আমরা পরবর্তী ট্রেনের জন্য কিছুক্ষণ বসে থাকলাম পরবর্তীতে ৯ঃ৩৫। আমরা সেখানে কিছুক্ষণ গল্প করলাম এবং সেখানে চা খেলাম। তারপর আমাদের ট্রেন চলে আসলো এবং আমরা ট্রেনে করে দিনাজপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। দিনাজপুর যেতে পরপর দুইটি স্টেশন পার হতে হয়। তারপর আমরা পৌছাই।
স্টেশন থেকে চক্ষু হাসপাতাল যেতে সময় লাগে ৫ মিনিট আর পায়ে হেঁটে ১৫ মিনিট তাই আমরা পায়ে হেঁটে সেই হসপিটালে যাই। পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আমরা রাস্তার ধারে একটি দোকানে কিছু নাস্তা করি নাস্তার মেনু হলো পুরী এবং সালাত আমরা কুড়ি এবং সালাদ খাওয়ার পর সেখান থেকে সরাসরি চক্ষু হাসপাতালে চলে যাই।
আমরা যে চক্ষু হাসপাতালে গিয়েছিলাম সেটির নাম হল গাউসুল আজম বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল আমরা সেখানে প্রথমে গিয়ে আমাদের নাম রেজিস্টার করে নিলাম করে তারপর একটা সিল্প সংগ্রহ করে চেম্বারে গেলাম। চেম্বারে যাওয়ার পর আমাদেরকে বাইরে থাকতে বলল এবং আমার বন্ধু সোহেলকে রুমের ভিতর নিয়ে গেল। ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিছু ঔষধ একে চশমার কথা লিখে দিলো। তারপর আমরা সেখান থেকে বাইরে চলে আসলাম।
বাইরের এক দোকানে গিয়ে আমরা ঔষধ নিয়ে নিলাম তারপর আমরা চশমার দোকানে গেলাম সেখানে তারা চশমা তৈরি করে দিবে। ওই হসপিটালে চশমার দাম ছিল ১০০০ টাকা এবং আমরা বাইরে গিয়ে চশমাটা তৈরী করে নিলাম মাত্র ৩০০ টাকা। আমাদেরও খরচা টা একটু কমে গেল তারপর সেখান থেকে আমরা স্টেশনে চলে আসি।
তারপর ২ঃ৫০ একটি ট্রেন আসে আমরা সেই ট্রেনে সরাসরি পার্বতীপুর চলে আসি। এই ছিল আমার ভ্রমণকাহিনী আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করি সকলে ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit