Photo Taken From freepic
আইওটি (ইন্টারনেট অফ থিংগস) হলো একটি সিস্টেম যেখানে বিভিন্ন ডিভাইস, সেন্সর, এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। এই ডিভাইসগুলো একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করে বা তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেই তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
আইওটি কীভাবে কাজ করে?
আইওটি কাজ করে চারটি মূল ধাপে:
১. সেন্সর এবং ডিভাইস:
আইওটি সিস্টেমের ভিত্তি হলো সেন্সর এবং ডিভাইস। এগুলো:
পরিবেশ থেকে ডেটা সংগ্রহ করে (যেমন তাপমাত্রা, আলো, আর্দ্রতা, গতি ইত্যাদি)।
কোনো নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে (যেমন স্মার্ট লাইট চালু/বন্ধ করা)।
উদাহরণ: আপনার ফিটনেস ব্যান্ড আপনার হার্টরেট এবং পদক্ষেপের সংখ্যা মাপতে সেন্সর ব্যবহার করে।
২. সংযোগ:
ডিভাইসগুলো ডেটা শেয়ার করতে এবং ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যেমন:
Wi-Fi
Bluetooth
Zigbee
মোবাইল নেটওয়ার্ক (4G/5G)
৩. ডেটা প্রক্রিয়াকরণ:
ডিভাইস থেকে প্রাপ্ত ডেটা সাধারণত একটি কেন্দ্রীয় সার্ভারে বা ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে পাঠানো হয়।
এই ডেটা বিশ্লেষণ করা হয়।
প্রক্রিয়াকৃত তথ্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উদাহরণ: যদি আপনার স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট দেখছে যে ঘরের তাপমাত্রা কম, তবে এটি তাপমাত্রা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৪. ব্যবহারকারী ইন্টারফেস:
ব্যবহারকারীরা মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট, বা ভয়েস-অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে ডিভাইসগুলোর সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে।
তারা তথ্য দেখতে বা ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
উদাহরণ: আপনার স্মার্টফোন থেকে আপনি আপনার স্মার্ট লাইট অন/অফ করতে পারেন।
আইওটির উদাহরণসমূহ:
- স্মার্ট হোম ডিভাইস: স্মার্ট লাইট, স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট, এবং স্মার্ট লক।
- স্বাস্থ্য সেবা: ফিটনেস ট্র্যাকার, স্মার্ট গ্লুকোমিটার।
- পরিবহন: স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, যানবাহন ট্র্যাকিং।
- শিল্প: মেশিন মনিটরিং, স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন লাইন।
- কৃষি: মাটি আর্দ্রতা মনিটরিং, স্বয়ংক্রিয় সেচ ব্যবস্থা।
আইওটির সুবিধা:
- জীবনযাত্রা সহজ করে।
- সময় এবং শক্তি সাশ্রয় করে।
- দক্ষতা বাড়ায় এবং খরচ কমায়।
- রিয়েল-টাইম পর্যবেক্ষণের সুবিধা দেয়।
আইওটির চ্যালেঞ্জ:
- নিরাপত্তা: ডেটা চুরি বা হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি।
- গোপনীয়তা: ব্যবহারকারীর তথ্যের অপব্যবহার।
- স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন: সব ডিভাইসের জন্য অভিন্ন প্রযুক্তি নেই।