আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি।তারপর আমি আমার ধানের জমিগুলো দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম। শীত আসার আগ মুহূর্তে প্রচুর কুয়াশা পড়িতেছে। সকালে যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে জমি দেখার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তখন মনে হয় এখন শীতকাল। গত তিন থেকে চার দিন খুব ঘন কুয়াশা পড়েছে। আমি যখন আমাদের গ্রামের মাটির রাস্তা দিয়ে হেটে যায় তখন কুয়াশারে আমার পা ভিজে যাচ্ছিল।
আমার মাথার চুল কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে। আমি যেহেতু কৃষিকাজ করে থাকি তাই সকালেই ঘুম থেকে উঠা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। সকাল সকাল জমি গুলো দেখাটাও একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ধানগুলো জমি থেকে কেটে ফেলতে হবে।
আমি যখন আমার জমিগুলো দেখতে জমির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন আমার চাচাতো ভাই তার জমিতে কাজ করার জন্য তার জমির দিকে যাচ্ছে। অনেক লোকজন তাদের জমিতে কাজ করার জন্য এ ঘন কুয়াশার মধ্যেই জমিতে যাচ্ছে। আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ আলোচনা করলাম। তারপর সে তার কাজের উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করলো।
আমি আমার জমিগুলো দেখে বাড়ির কাছে চলে আসলাম। বাড়ির পাশে আমার এক কাকা সে একটা নিচু জায়গার পানি সেচ দিচ্ছে। এখানে কিছু মাছ থাকতে পারে সেই জন্য পানিগুলো সেঁচে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তার পানি সেচ দেওয়া দেখলাম। তারপর অন্য এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালাম।
আমি যখন অন্য এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলাম তখন দেখতে পাই একজন তার ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে জমির দিকে যাচ্ছে। সে মরিচের জমি থেকে আগাছা পরিষ্কার করবে। গ্রামে বসবাস করার অন্যরকম একটা শান্তি রয়েছে। সকালে উঠলে অনেকের কাজের ব্যস্ততা প্রত্যক্ষ করা যায়। অনেকের মুখে হাসি এবং অনেকের মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা যায়। যাদের মরিচের চারা গুলো মরে যাচ্ছে তাদের মুখগুলোই দুশ্চিন্তায় ভরে গেছে। আর যাদের মরিচের চারা গুলো ভালো আছে তারা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে হাসিখুশি রয়েছে।
আমি দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে থেকে তারপর কাঁচা মরিচ ক্রয় করার জন্য আমাদের পরবর্তী থানা মাদারগঞ্জ থানাতে চলে গেলাম। এখানে একটা ব্যাংক থেকে আমার প্রয়োজন মতো টাকা উত্তোলন করলাম। টাকা উত্তোলন করে কাঁচামরিচ কেনার হাটে চলে আসলাম।
আমি আমার প্রয়োজন মত কাঁচা মরিচ ক্রয় করে নিলাম। আজকে গাজা মরিচের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। মরিচগুলো বস্তা ভর্তি করে ছোট্ট একটি পিকআপ এর মধ্যে তুলে দেয়া হলো। তারপর ওখানকার সকল লেনদেন পরিশোধ করে আমি আমার বাড়ির দিকে রওনা শুরু করলাম।
বাজারে এসে আমি আর আমার চাচা রফিকুল ইসলাম মিয়া দুইজনে মিলে খেয়ে নিলাম। খাবার শেষ করে হোটেলের টাকা পরিশোধ করলাম। পর আমি আমার বাড়িতে এবং আমার কাকা তার বাড়িতে গেল। আমি বাড়িতে এসে কিছু ক্ষণ এদিকে ওদিকে ঘুরাঘুরি করে সময় কাটিয়ে নিলাম। তারপর বাড়িতে আরো কিছু খাবার খেয়ে নিলাম। এই ছিল আজকে আমার সারাদিন। সকলকে সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Felicitation upvote my post. I am very excited for your vote. Thank you.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit