প্রতিদিনের মতো আজকেও খুব সকালে আমি ঘুম থেকে জেগে উঠি। তারপর প্রথমে আমি আমার দাঁত ব্রাশ করি। হাত মুখ ভালো করে ধুয়ে নিলাম। তারপর সকালের কিছু খাবার খেয়ে আমি আমার কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম।
কিছুদিন আগে বৃষ্টি হওয়ার কারণে মরিচের জমির মাটি গুলো শক্ত হয়ে গেছে। সেগুলোকে আবারো আলগা করে দিতে হবে। এইজন্য এই কাজগুলো আজকে করতে হচ্ছে। লোহার ফলা দিয়ে তৈরি এক ধরনের যন্ত্র দিয়ে টেনে মাটির লুক হালকা করার কাজ শুরু করলাম। সকালে হালকা কুয়াশা থাকলে বেলা বাড়ার সাথে সাথে রৌদ্রের প্রখরতা বাড়তে থাকে। মাঝে মাঝে বাতাস কমে যায়। যখন বাতাস কমে যায় তখন খুব অস্থির লাগে এবং শরীর ঘেরে যায়।
কাজ করার হয় একটা গাছের নিচে বসে কিছুক্ষণ বিরতির জন্য বসে বিশ্রাম নিলাম। হঠাৎ দেখি একটা কীটনাশক কোম্পানির কিছু লোক এসেছে। তারা ভায়ার কোম্পানির লোক। তারা মাঠ পর্যায়ে ফসল গুলো দেখে ফসলের চিকিৎসা প্রদান করিতেছে। আমাদের মরিচের চারা গুলো দেখে কিছু কীটনাশক লিখে দিল। তারপর আমাদের আশপাশে যারা ছিল সকলকে ডেকে তারাই একটি উঠান বৈঠকের ব্যবস্থা করল। এখানে রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাদেরই আলোচনা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকলেই মনোযোগ সহকারে আলোচনাগুলো শুনলাম। পর পুনরায় কাজে চলে আসলাম।
এখন পর্যন্ত দুইবার টেনে মাটি নরম করে দিয়েছি। সামনে যদি আবারও বৃষ্টি হয় তাহলে আবারও টেনে মাটিগুলো হালকা বা নরম করে দিতে হবে। দুপুর ২ টা পর্যন্ত আমি এই কাজ করতে থাকলাম। সম্পূর্ণ জমি টেনে শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই দুইটা পর্যন্ত মাটি গুলো টেনে তার পর আমি একটা গাছের নিচে এসে বসলাম। গাছের নিচে বেশ কিছুক্ষণ সময় বসে বিশ্রাম নিলাম।
কোন সময় বিশ্রাম নিয়ে আমি আমার জমিতে পাতা কোকড়ানো প্রতিকারক বিষ প্রয়োগ করার জন্য প্রস্তুত হলাম। প্রথমে বিষগুলোকে একটা বালতীর মধ্যে পানির সাথে মিশিয়ে নিলাম। তারপর পরিমাণ মতো স্প্রে করার মেশিনের মধ্যে ঢেলে পানির সাথে মিশিয়ে জমিতে ছিটিয়ে দেওয়া শুরু করলাম।
আমার পাশের জমিতে সেও আজকে পাতা কোঁকড়ানো বিষ প্রয়োগ করিতেছিল। বিষ দেওয়া শেষে এ আর আমি দুজনে মিলে বাড়ির দিকে রওনা শুরু করলাম। বাড়িতে এসে প্রথমে আমি সাবান দিয়ে ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে নিলাম। তারপর গোসল করলাম।
সন্ধ্যার দিকে আমি বাজারে চলে আসি। বাজারে এসে আমার চাচাতো ভাই মোহাম্মদুর দিদারুল ইসলাম এর দোকানে বসে থাকি। এখানে অনেকেই তার প্রয়োজনীয় সার বিষ ক্রয় করতে আসে। বেশ কিছুক্ষণ সময় তার সাথে সে ছিলাম। তারপর আমি ওখান থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা শুরু করি। বাড়িতে এসে হাত মুখ ধুয়ে রাতের খাবার খায়। এই ছিল আজকে আমার সারাদিন। সকলকেই আবারো সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।