আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠেই আমার দাঁত ব্রাশ করি। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নিই। তারপর কিছুক্ষণ হাটা চলা করি।তারপর সকালের খাবার খাই।
আজকের তেমন কোন কাজ নেই তাই বাড়িতেই বসে ছিলাম। বাড়িতে বসে একটা গাছের নিচে গল্প করিতেছিলাম।
বেশ কিছুক্ষণ সময় বসে থাকার পর আমি আমার আবাদের জমি গুলো দেখতে বের হয়ে গেলাম। প্রথমে আমি আমার মরিচের জমিতে চলে আসলাম। এখানে কয়েক দিন যাবত বৃষ্টির পরিবেশ থাকাই জমিগুলোতে আগাছা বড় হয়ে গিয়েছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই এই আগাছা গুলো তুলে ফেলতে হবে। তা না হলে মরিচের গাছগুলো বৃদ্ধি পেতে বাধা প্রাপ্ত হবে। এবং অনেক পোকার আক্রমণ বেড়ে যাবে। তাই জমিতে আগাছা তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করতে হয়। বেশ কিছু মরিচের গাছ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এটা কৃষকের জন্য খুবই হতাশা জনক। এবং কিছু মরিচের কাজ বিভিন্ন প্রকার আক্রমণে মাথাগুলো ফুলে বেঁকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফুলে নষ্ট হয়ে যায় সেগুলো আর কখনোই কীটনাশক প্রয়োগে ঠিক হয় না। ভবিষ্যতে এই গাছগুলোতে কোন প্রকার মরিচ ধরবেনা। এই রোগ গুলি খুবই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন রকমের পরামর্শ নিয়ে জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করা হইতেছে। তারপরেও এই রোগ দুইটা তাড়াতাড়ি সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। এই রোগ গুলো না থাকলে মরিচের গাছে এতদিনের মরিচ ধরতে শুরু করতো। গত কিছুদিন একটানা বৃষ্টি আর এখন বিভিন্ন রকমের রূপভালাই থাকার কারণে মরিচের চারা ভিত্তিতে বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করি এইসব বালা-মুসিবত থেকে আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের সকলকে রক্ষা করেন।
মরিচের জমিটা দেখে আমি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ সময় বাড়িতে বসে বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। তারপর আমি আমার ধানের জমিগুলো দেখতে আমাদের ধানের জমির দিকে রওনা শুরু করলাম। ধানের মধ্যে দুই একদিনের মধ্যেই ধান ফলন যেন ভালো হয় সেজন্য বিষ প্রয়োগকৃত হইবে। ধানের মধ্যে নতুন করে কোনরকম পোকা রাখো মন হয়েছে কিনা সেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। কিছু কিছু গাছে পোকার আক্রমণ হয়েছে। এইসব দেখে আমি আমাদের জমির পাশে মাটির রাস্তাতে দাঁড়িয়েছিলাম। তখনই হঠাৎ করে দেখি আমাদের এলাকার আরো কিছু লোক তাদের জমিতে যাচ্ছে। তাদেরকে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন রকমের পরামর্শ মূলক আলোচনা করলাম। তারপর আমি আমাদের বাড়ির দিকে আসতে শুরু করলাম।
আমাদের জমি থেকে কিছুক্ষণ সময় হেঁটে আসার পর রাস্তার মধ্যে দেখতে পারলাম একজনের তার পালিত ঘোড়া নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে তাহার করিয়ে তার সাথে কিছু ছবি উঠালাম। গ্রামের রাস্তায় এরকম একটি দৃশ্য দেখতে খুবই মনোমুগ্ধকর হয়ে থাকে। তারপর আমি আবারো বাড়ির দিকে আসতে শুরু করলাম।
বাড়ির দিকে আসতেই আমার এক চাচার ধানের ক্ষেত আমার নজরে আসলো। তার ধানটি অন্য এক নতুন জাতের ধান। এই ধান প্রায় পেকে গেছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সে নতুন ধান কাটতে পারবে।
বাড়ির দিকে আসতে বাড়ির কাছে দেখি আমাদের মহল্লার ছোট ছেলেগুলো তা কাঁদা যুক্ত জমিতে ফুটবল খেলিতেছে। সমস্ত জমি চাষাবাদ হওয়ার কারণে ফাঁকা কোন জমি নেই। তাই তারা এক রকম বাধ্য হয়েই এরকম একটা কাদাযুক্ত জমিতে ফুটবল খেলতেছে। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাদের ফুটবল খেলা উপভোগ করলাম।
বিকালের দিকে আমি এবং আমার ছোট দুই ফুফাতো ভাইকে নিয়ে তা জাগায় বেড়াতে আসলাম। আসতেই পথের মধ্যে একটি ব্রিজের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা কিছু ছবি উঠালাম। তারপর যখন সময় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সন্ধ্যার পর পর আমরা বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে হাত মুখ ধুই। রাত নয়টার দিকে রাতের খাবার খায়। এই ছিল আজকের সারাদিন। সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।