শজনে পাতার মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণে খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন। পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এগুলো ছাড়াও প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটও আছে এতে। অনেকগুলো পুষ্টি একসঙ্গে থাকার কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সজনে ফলের পাশাপাশি সজনে পাতারো বেশ চাহিদা রয়েছে।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সজনে আমাদের অনেকেরই বেশ পছন্দের একটি খাবার। কিন্তু এই গাছের পাতারও যে হেলথ বেনিফিটস আছে সেটা খুব কম মানুষই জানেন। সজনে পাতার নানা পুষ্টিগুণের কারণে এটি যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনই একে ঔষধি হিসেবেও মানা হয়। আজ আমরা জানবো সজনে পাতার নানা হেলথ বেনিফিটস সম্পর্কে।
অন্যান্য যে কোনো সবজির তুলনায় পুষ্টিদ্রব্যের দিক থেকে সজনে পাতা অনেক বেশি সমৃদ্ধ। এতে প্রায় ৮ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড আছে এবং প্রায় ৩৮% এর বেশি আমিষ আছে, যা কিনা অন্য কোনো সবজিতে বা পাতায় খুব সহজে পাওয়া যায় না। যারা নিরামিষাশী, তাদের জন্য আমিষের অন্যতম ভালো একটি উৎস হলো সজনে পাতা। এক টেবিল চামচ সজনের গুঁড়া একটি শিশুর দৈনন্দিন আমিষ চাহিদা মেটানোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পরিপূরক খাবার। আবার দৈনিক ৬ চামচ সজনে পাতার গুঁড়া একজন গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই এই বৃক্ষকে অনেক জায়গাতে ‘মায়েদের উত্তম বন্ধু’ও বলা হয়।পুষ্টির দিক থেকে সজনে পাতাকে ‘পুষ্টির ডায়নামাইট’ ও বলা হয়।
১) উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
২)খাবারের রুচি ফেরাতে সাহায্য করে।
৩) অ্যানিমিয়া দূর করে।
৪)ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫) অন্ধত্ব দূর করতে সাহায্য করে।
৬)ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৭)প্রিম্যাচিউর এজিং সাইনস প্রিভেন্ট করে।
৮)হার্ট ভালো রাখে।
৯)ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সজনে পাতার শাক বা কাঁচা পাতার রস মানব শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সজনে মানব শরীরে যেমন হরমোন বর্ধন করতে পারে, তেমনি পারে মায়েদের বুকের দুধ বাড়িয়ে দিতে। তাছাড়া সজনে পাতা শাক, ভর্তা বা পাকোড়া করে খেলে মুখের রুচি আসে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, কোলাইটিস এবং জন্ডিসের সময় ও ব্যাপক কার্যকরী সজনে পাতা। এর ডাঁটা ও পাতা কৃমিনাশক ও জ্বরনাশক হিসেবেও কাজ করে।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ, এবং আজকে সজনের পাতা সম্পর্কে আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কেমন লাগলো মন্তব্য করুন।