বিপদে ভেঙে পড়ার আগে ভাবুন যে, আপনি এমন এক সত্ত্বার ইবাদাত করেন যিনি ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে জ্বলন্ত আগুন থেকে, ইউনুস আলাইহিস সালামকে অন্ধকার গভীর সমুদ্রের বুকে মাছের পেট থেকে, আইয়্যুব আলাইহিস সালামকে দুরারোগ্য মারণব্যাধি থেকে, ইউসুফ আলাইহিস সালামকে গভীর কূপ থেকে, মুসা আলাইহিস সালামকে ফেরাউন বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করেছিলেন।
রিযিকের ভয় আপনাকে তাড়িয়ে বেড়ালে ভাবুন, আপনি সেই মহামহিমের ইবাদাত করেন যিনি বনী ঈসরাঈলদের জন্য 'মান্না সালাওয়া' নামে আসমানী খাবার পাঠাতেন। মারঈয়াম আলাইহাস সালামের জন্য তিনিই ফেরেশতা মারফত খাবার তার কক্ষে পৌঁছে দিতেন।
যদি অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন, তাহলে স্মরণে নিমগ্ন হোন সেই রবের, যিনি জনমানবহীন উপত্যকায় অসহায় হাজরা আলাইহাস সালামের অনুনয় শুনে শিশু ইসমাঈলের পায়ের নিচ থেকে বের করে এনেছিলেন অবিরাম পানির ফুয়ারা। তিনিই নবি ইয়াকুব আলাইহিস সালামের বুকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পুত্র ইউসুফ আলাইহিস সালামকে। মুসা আলাইহিস সালামকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তার জন্মদাত্রীর কোলে।
সন্তান হচ্ছেনা বলে বিষাদগ্রস্ত?
যাকারিয়া আলাইহিস সালামের কথা ভাবুন তো। জীবন-সায়াহ্নে বসেও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হোন নি তিনি, এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালাও তাকে নিরাশ করেন নি। তিনি কাউকেউ নিরাশ করেন না। একেবারে শেষ বয়সে বসে তিনি দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে সন্তান চাইলেন, এবং আল্লাহ তাকে সন্তান দিলেন।
'কেউ কথা রাখেনা' কে বললো? একজন ঠিক ঠিক কথা রাখেন। তার সাথেই কথা বলুন।
"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।" [সূরা ইউসুফ, ৮৭]
তিনি কাউকে নিরাশ করেন না।
আল্লাহু-আকবার।
লিখেছেনঃ আরিফ আজাদ ভাই
সোর্স : মিডিয়া