আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ব্যক্তিত্ব প্রকাশ।

in hive-120823 •  9 months ago  (edited)

pexels-belle-co-1000445.jpg
source

প্রিয় সাথী বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি দৃষ্টিভঙ্গি এবং পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছু আলোচনা করব এই পোস্টটা আপনাদের সকলকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন।

আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কারণে ব্যক্তিত্ব প্রকাশ।

আজকে আমি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছু আলোচনা আপনাদের সামনে পেশ করব ইনশাল্লাহ। আমরা মানুষ, আমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত। আমাদেরকে চঞ্চল করে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই আমরা কখনোই এক জায়গায় স্থির থাকতে পারিনা। এটা আমাদের জন্মগতভাবে আল্লাহ এভাবে সৃষ্টি করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠানোর উদ্দেশ্য এবং দায়িত্ব উভয়ই আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। আর সেই উদ্দেশ্য এবং দায়িত্ব হলো আমরা এই পৃথিবীতে এসে যেন আমাদের মানবিক গুণগুলো অর্জন করতে পারি, ভালো কাজ করতে পারি, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে পারি এবং মহান আল্লাহ তালাকে খুশি করতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে পাপমুক্ত থাকতে পারি এবং পুণ্যের কাজ করতে পারি।

pexels-jgabrielj-joão-gabriel-1765126.jpg
source
আর সেই মানবিক গুণাবলীর মধ্যে একটি গুন হলো আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, দৃষ্টিভঙ্গি দুই প্রকার পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি।

কোন ব্যক্তি সচরাচর কোন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এর উপর তার ব্যক্তিত্ব অনেক অংশে প্রকাশ পায়। যে ব্যক্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে থাকে তবে সেই ব্যক্তি অবশ্য অবশ্যই মন্দ লোকের পর্যায়ে পড়ে আর যে ব্যক্তি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি সচরাচর পোষণ করে থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি অবশ্যই ভালো ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকে।

pexels-natã-romualdo-3588632.jpg
source
এখন পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। মানুষের প্রতি সুধারণা পোষন করা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি। যেমন আমরা লক্ষ্য করতে পারি যে আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা মানুষের প্রতি সর্বসময় অর্থাৎ সর্বপ্রথম ধারণা পোষণ করতে গেলে কি ধারণা পোষণ করে এরপর দেখা যায় যে তার ধারণাটি যদি ভুল হয় তারপর ধীরে ধীরে তার প্রতি সুধারণা পোষণ করতে থাকে। এ ধরনের লোক আমাদের সমাজে অনেক আছে যারা মানুষের প্রতি কখনোই পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারে না প্রথমেই। মানুষের প্রতি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি না দিলে অর্থাৎ নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দিলে তার গুনাহ হবে পাপ হবে। তাই আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের উচিত প্রত্যেকের প্রতি সুধারণা অর্থাৎ পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়া। কারণ তারও প্রতি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়ায় একটা সওয়াবের কাজ।

pexels-henry-&-co-1206540.jpg
source

আজ আমাদের ব্যক্তিগত জীবন আজ আমাদের পারিবারিক জীবন আজ আমাদের সমাজ রাষ্ট্র ইত্যাদির ক্ষেত্রে যদি আমরা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করতে চাই তবে অনেক বড় পরিসরে আলোচনা করা প্রয়োজন হয়। তাই আমরা সংক্ষিপ্ত পরিসরে এ বিষয়গুলো আলোচনা করব। সর্বপ্রথম আমাদের ব্যক্তি জীবন নিয়েই কথা বলা যাক। আমাদের বেঁচে থাকতে হলে আমাদেরকে একটা পরিবার একটা সমাজ একটা গোত্র একটা রাষ্ট্রে বাস করতে হয়। আর সেক্ষেত্রে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত জীবনে যদি আমরা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করতে পারি তাহলে আমাদের পরিবার আমাদের সমাজ আমাদের রাষ্ট্র সব জায়গায় পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গির একটা ভিত্তি গড়ে তোলা সম্ভব।

পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গির ফলে আমাদের পরিবার আমাদের সমাজ আমাদের রাষ্ট্র সব জায়গায় সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার সম্ভব। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে যেন আমরা আমাদের সন্তান আমাদের পরিবার আমাদের সমাজ প্রত্যেকটি ব্যক্তি পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি উৎসাহ প্রদান করে এবং নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি নিরু উৎসাহিত করে।

pexels-katelyn-meininger-621592.jpg
source

আর এভাবে যদি আমরা করতে পারি তাহলে দেখা যাবে আমাদের সমাজ সুন্দর, পরিবার সুন্দর, রাষ্ট্র সুন্দর। তাই সবার প্রতি আহবান রইল আমার ব্যক্তিগত জীবনের উপর পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখব, আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখবো। আমাদের সন্তানদের উপর ও পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখবো। আমাদের সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের প্রতি পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখবো এবং রাষ্ট্রের প্রতিও আমরা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখবো। কখনোই নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখার চেষ্টা করব না ইনশাল্লাহ। তবে একেবারেই যে নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখবো না এমন নয়। ভালোকে ভালোই বলতে হবে, মন্দকে মন্দকে পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা ভালো করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে আমাদের প্রত্যেকের। যদি কারো প্রতি নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখতেই হয়, তা যেন আমরা গোপনেই রাখতে পারি প্রকাশ না করি। আর আমরা এভাবে নীরব থেকে যদি তাকে ভালো করার চেষ্টা করি তবে সেটাই সবচেয়ে বড় কার্যকারী ভূমিকা রাখা হবে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

একদম ঠিক বলেছেন। কারো দৃষ্টিভংগির মাধ্যমেই তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পোউয়া যায়।
অনেক সুন্দর ভাবে এই বিষয়টি আওনি উওঅঅস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপ্নাকে

আপনি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আসলে দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমেই ব্যক্তিত্বের প্রকাশ হয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহাফেজ

আগামীতে আরো এমন চমৎকার পোস্ট দেখার অপেক্ষায়। আশা করি নিরাশ হবো না।

আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি একেকরকম একেক জন একেক ভাবে একেকটা জিনিস চিন্তা করে থাকে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে থাকে সাধারণত দুই ধরনের। কেউ খারাপ দৃষ্টিতে দেখে আবার কেউ ভালো। তবে আমার মনে হয় জীবন চলার পথে ভালো খারাপ। সবকিছু মিলিয়েই আমাদের চলতে হয়।

সব সময় ভালো চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। কারণ আমরা যখন একজন মানুষের জন্য ভালো চিন্তাভাবনা করব। ভালো কাজ করার চেষ্টা করব। ঠিক তেমনি সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য অন্য একজন মানুষের মন ভালো করে দেবে। আমাদের জন্য ভালো চিন্তা-ভাবনা করার আজকে আপনি বর্তমানে বাস্তবতা, এবং সামাজিক দিকগুলো নিয়ে আমাদের সাথে খুব সুন্দর একটা টপিক আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

আপা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। ভালো দৃষ্টিভঙ্গি পারে একজন ব্যক্তিকে ভুল পথ হতে ফিরে আনতে। তাই আমাদের সবার উচিত সবার প্রতি ভালো দৃষ্টিভঙ্গি রাখা। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।