বেশি কথা না বলা- মধ্যপন্থা অবলম্বন করা শ্রেয়।

in hive-120823 •  9 months ago  (edited)

boat-4899802_1280.jpg
source
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু

প্রিয় সাথী বৃন্দ,
আশা করি, আপনারা অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি, সুস্থ আছি। আজকে আমি বেশি কথা বলার ক্ষেত্রে কি কি সমস্যা হতে পারে, সে সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই পোস্টে আপনাদের সকলকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন।

মহান আল্লাহ তা'আলা এই পৃথিবীতে বাক শক্তি দান করেছেন দুটি মাখলুকাতকে একটি হলো জ্বীন অপরটি হলে ইনসান অর্থাৎ মানুষ। জ্বীনদেরকে আমরা দেখতে পারিনা এবং তারা মানুষের থেকে সাধারণত দূরে থাকে।

hintersee-3601004_1280.jpg
source
আমরা আমাদের অভিব্যক্তি প্রকাশের জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন প্রকার কথা বলে থাকে। এই কথা বলা বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের হয়। কেউ বেশি কথা বলে, কেউ কম কথা বলে। আর এ কথা বলার কারনেই আমাদের ব্যক্তিত্ব মানুষের মধ্যে ফুটে ওঠে।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদেরকে হাতে কলমে, কোন কাজ কখন, কিভাবে, কতটুকু করতে হবে, তা বুঝাইয়া দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবীর আদর্শ আমাদের একমাত্র আদর্শ। আমরা যে কোনো কাজ, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কিভাবে করেছে, কেন করেছেন, কতটুকু করেছেন, কখন করেছেন, আমরা সেই ভাবেই করার চেষ্টা করি। কারণ প্রিয় নবী আমাদের আদর্শ, পথ নির্দেশক।

nature-3082832_1280.jpg
source
তাই আমরা কথা বলার ক্ষেত্রে কেমন মানদন্ড মেনে চলা উচিত তা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদেরকে বলে দিয়েছেন। আমরা যখন কথা বলব মধ্যপন্থা অবলম্বন করব। বেশি কথাও বলব না, কম কথাও বলব না। এই মধ্যপন্থা অবলম্বন করলে আমাদের কোন প্রকার সমস্যা বা অসুবিধা, এমনকি পাপ হবে না। কারণ এই নীতি নির্ধারণ করেছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর এই নীতি তিনি পেয়েছেন, মহান আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে। অতএব কথা বলার ক্ষেত্রে মাধ্যম পন্থা অবলম্বন করলে, সেটা আমাদের জন্য অবশ্য অবশ্যই কল্যাণকর হবে।

mountain-8409843_1280.jpg
source
বেশি কথা বলার অসুবিধা বা ক্ষতিঃ

  • যখন আমরা বেশি কথা বলব, তখন ভুল বেশি হবে।
  • বেশি কথা বললে, লোকে আমাদের বাঁচাল বলবে।
  • বেশি কথা বললে ব্যক্তিত্বের গভীরতা কমে যায়।
  • বেশি কথা বললে, নিজের মর্যাদা কমে যায়।
  • বেশি কথা বললে, মানুষ কথার গুরুত্ব কম দেয়।
  • বেশি কথা বললে, বেশি মিথ্যা কথা বলা হয়, ফলে পাপের পরিমাণ বেশি হতে থাকে।
  • বেশি কথা বললে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়।
  • বেশি কথা বললে, মানুষের সাথে কথা বলা সামঞ্জস্য কমে যায়।
  • বেশি কথা বললে, আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্টি কথা মুখ থেকে বের হতে পারে। যার কারণে আমরা জাহান্নামে নিক্ষেত হতে পারি।
  • বেশি কথা বললে, অনেক সময় বিপাকে পড়তে হয়।
  • বেশি কথা বললে, অনেক সময় বিপদ হতে পারে।

pexels-photo-1366630.jpeg

source
তাই আসুন আমরা আজকে হতেই বেশি কথা বলা পরিহার করি। আর বেশি কথা বলার অভ্যাস যদি আমরা ত্যাগ করতে পারি, তবে আমাদের চলার পথে কোন অপমানিত হতে হবে না, কোন বিপদে পড়তে হবে না, কোন প্রকার পাপ হবে না, এমনকি নিজের ব্যক্তিত্ব বাড়তে থাকবে, মানুষ আমাদের কথার মূল্যায়ন করবে, এছাড়াও আরো অনেক উপকার আমরা পাব ইনশাআল্লাহ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, একটা ইসলামিক ও শিক্ষা নিয়ী পোস্ট করার জন্য,, একটা কথা কি যানেন মানুষের বেশি ভুল ভ্রান্তি হয় তার অতিরিক্ত কথা বলার জন্য। আমাদের প্রিয় নবী খুব সীমিত কথা বলতেন যেটা প্রয়োজন। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।

সর্বপ্রথম ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে এবং কষ্ট করে পড়ার জন্য। মুখ হলো সকল পাপের জননী। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

অতিরিক্ত যেমন কোন কিছু ভালো নয় ঠিক তেমনি অতিরিক্ত কথা বলাও ভালো নয়। যারা অতিরিক্ত কথা বলে তারা মুখ ফসকে অনেক সময় এমন কথা বলে ফেলতে পারে যাতে সে নিজেও বিপদে পড়ে যেতে পারে।কম কথা বলা এবং বেশি শ্রবণ করা এটি জ্ঞানী লোকের কাজ। আপনার প্রতি একটি কথাই অত্যন্ত মূল্যবান
খুব সুন্দর ভাবে আপনি তা উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো পড়ে।

পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাকে আর ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে ও কষ্ট করে পড়ার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।

আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন, আসলেই যে বেশি কথা বলে তার বেশি ভুল হয়ে থাকে। আর যে কথা বলে না তার তো কথার ভুল হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না তবে একেবারে কম কথা বলাও ভালোর লক্ষণ নয় তাই প্রয়োজন অনুযায়ী কথা বলতে হবে।
নবী কারীম (সা.) বলেছেন যে চুপ থাকে সে নাজাত পায়। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আপনার কথাগুলোর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন

আপনাকে সর্বপ্রথম ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। আমিও দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাদের আমল করার তৌফিক দান করেন। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।

আপনি ঠিকই বলেছেন বেশি কথা না বলা- মাধ্যম পন্থা অবলম্বন করা শ্রেয়। বেশী কথা বলার পর আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হতে দেখা যায় বা হতে সেই সব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমরা বলে মনে করি ৷ তারপর দেখলাম আপনি বেশী কথা বলার অসুবিধা গুলো পোস্টে উল্লেখ করেছেন ৷

যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ৷ শুভকামনা রইলো ৷ ভালো থাকবেন 🙏

আপনাকে সর্বপ্রথম ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।আশা করি সবাই আমরা যদি মেনে চলতে পাড়ি তবে আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। আপনি একটা সুন্দর মন্তব্য করেছেন এই জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।

প্রিয় ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শিক্ষনীয় একটি লিখা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। প্রিয় নবী আমাদের পথের নির্দেশক। মহান আল্লাহ্‌ তালা প্রিয় নবীর মাধ্যমে আমাদের সবকিছু শিক্ষা দিয়েছেন। যারা এই শিক্ষা অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করে তারাই সফলকাম।

বেশি কথা বলা সত্যি অনেক খারাপ এবং বিরক্তিকর একটি বিষয়। যারা ভালো মানুষ তারা কখনই বেশি কথা বলে না। তাদের এক কথা হয় একশত কথার সমান। ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন আর আমাদের এরকম ভালো ভালো লিখা প্রতিনিয়ত উপহার দেবেন এই প্রত্যাশা করি।

মে কোন ক্ষেত্রে বেশি বিষয়টি ভালো না,ভাই প্রতি আমার শুভকামনা রইল আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অতিরিক্ত কথা বললে আমাদের এখানে বলা হয় লোকটা বাঁচাল। আসলে অতিরিক্ত কথা বলা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আর অতিরিক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকা অনেক বেশি উত্তম। অতিরিক্ত কথা বলা লোক অনেকেই পছন্দ করে না। কিন্তু আমরা বিভিন্ন রকম কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কথা বলে ফেলি। কিন্তু অল্প কথায় সেই কাজ সমাধান করা সম্ভব।

আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করার মাধ্যমে আমি জানতে পারলাম। অতিরিক্ত কথা বললে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে। একে তো আমাদের ব্রেনের সমস্যা হয় এই সমস্যাগুলো পূরণ করার ক্ষেত্রে, আমাদের অনেক বেশি সময়ের দরকার হয়। তাই অতিরিক্ত কথার না বলে অল্প কথায় সেই সমস্যা সমাধান খুঁজে বের করা দরকার। উপরোক্ত বিষয় আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার প্রতি ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং সুন্দর এটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত যুক্তিযুক্ত একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য। আপনি আজ বেশি কথা বলার নানা সমস্যা তুলে ধরেছেন। কথায় আছে বোবার শত্রু নেই,আবার একেবারেই বোবা হয়েও থাকা যায় না।সমাজে মিশতে গেলে কথা তো বলতেই হবে।কিন্তু পরিমিত কথা বললে ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ কমে আসে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত যুক্তিযুক্ত একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য। আপনি আজ বেশি কথা বলার নানা সমস্যা তুলে ধরেছেন। কথায় আছে বোবার শত্রু নেই,আবার একেবারেই বোবা হয়েও থাকা যায় না।সমাজে মিশতে গেলে কথা তো বলতেই হবে।কিন্তু পরিমিত কথা বললে ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ কমে আসে।

কিভাবে কথা বলা উচিত সেটা নিয়ে আপনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। বেশি কথা বলাটা ঠিক না এবং এর সপক্ষে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

বেশি কথা বলা বা খুব কম কথা বলা একদমই ঠিক নয়। আমাদের কথা বলার ক্ষেত্রে সব সময়ই সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত কথা বলা উচিত। আপনি বেশি কথা বলার কিছু অসুবিধা সম্পর্কে সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন।

চমৎকার একটি বিষয়ের উপর লেখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ