সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালোই আছি।আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আজকে আমি ঘুম থেকে উঠি ৬:১৩ টায়।ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিই। এরপর আমি একটু বইটা খুলে দেখি। আসলে কয়েকদিন যাবত আবহাওয়ার যে অবস্থা। প্রতিনিয়ত বৃষ্টি হয়েই চলছে।আজকেও তার ব্যাতিক্রম নয়।একটু পরেই বৃষ্টি চলে আসলো।এরপর আমার মা আমার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আসে।
বৃষ্টির ঝিমঝিম শব্দে হাতে চায়ের কাপ নিয়ে একটু খানি চুমুক দিলে যে তৃপ্তিটা পাওয়া যায় তা হাজার টাকার কোনো পানীয়তে পাওয়া যাবে না।আসলে আমি একজন চা প্রেমী মানুষ। আমাকে কখনো কোথাও চায়ের অফার করলে না করতে পারি না।
এরপর আমি কিছুক্ষণ পড়াশোনা করার পর বৃষ্টির বেশ কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখি।আসলে এমন দিন আসলে একটা শুয়ে বসে থাকার জন্য অনেক ভালো।কিন্তু আমার বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান ঘনিয়ে আসতেছে।হাতে বেশি সময় নেই।তাই রিলাক্সে থাকা যাচ্ছে না।
দুপুর হতেই আমি গোসল সেরে নিই।তখন বৃষ্টি একেবারেই থেকে গেছে।সেই সময় আমার ভাইকে ক্যামেরাম্যান ফোন করে বাসার পাশের মহাসড়কে যেতে বলে।ভাই আমাকে সাথে নিয়ে যায়।সেখানে ক্যামেরাম্যানের সাথে কথাবার্তা বলার পর আমরা আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই।সেই সময় একটা মজার বিষয় চোখে পড়ে।গ্রামের ছোট ছোট ছেলেগুলো একটা পুকুরে গোসল করতেছে।
তারা বয়সে অনেক ছোট ছোট হলেও তাদের ভিতরের সবাই ভালো সাতার পারে।বিষয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।আসলে এমন দৃশ্য দেখলে কান্না পায় আমার।আমাদেরো এমন একটা শৈশব ছিলো কিন্তু এখন কালের পরিক্রমায় সবকিছু হারিয়েছি।এরপর আমরা বাসায় চলে আসি।খাওয়া করে নিই।
বিকেল বেলা আমাদের বাড়িতে বিয়ের ডেকোরেশনের জন্য আজকে শুধু বাশগুলো রাখতে আসে।আগামীকাল থেকে কাজকর্ম শুরু হতে যাচ্ছে।আমরা সবাই মিলে বাশগুলো নামিয়ে নিলাম।এরপর আমরা ফ্রেশ হয়ে নিলাম। বাইরে বের হলাম আমার এক ছোট ভাতিজার সাথে।
তার অনেক ছবি তুললাম। তার অনেক ছবি দেখে আমার হাসি পাচ্ছিলো।যাই হোক, এরপর আমরা আবার বাসায় চলে আসি।আমি আমাদের গরুগুলোকে খাবারের ব্যাবস্থা করে দিই।বিশেষ করে অনুষ্ঠান উপলক্ষে ক্রয় করা গুরুটিকে ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে।তাই আমি তার জন্য বেশি খাবার বরাদ্দ করি।
রাতের বেলা আমি তেমন বিশেষ কোনো কাজ করিনাই।তবে আমি আমি আমার বোনের বিয়ের বিষয় সম্পর্কে আমার বাবার সাথে আলোচনা করতে থাকি দীর্ঘক্ষন ধরে।এদিকে মা খাওয়ার জন্য সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করছে।তাই আমরা সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়া করে নিলাম।খাওয়া শেষে আমি কিছুক্ষণ ফেসবুকে স্ক্রল করতে থাকি। এরপর আমি আমার দিনলিপি লিপিবদ্ধ করা শুরু করি।
এরপর আমি আমার সকল আআনুসাঙিক কাজকর্ম শেষ করে ফেলি।আসলে বেশ কিছুক্ষণ যাবত অনেক ব্যাস্ততার মাঝে দিন কাটাচ্ছি। ৫তারিখে বোনের বিয়েটা শেষ হয়ে গেলেই হয়তো একটু হাফ ছেড়ে বাচতে পারবো।এরপর পোস্টটি সম্পন্ন করি।আর এভাবেই আমার একটা সুন্দর দিনের সমাপ্তি ঘটে।
এখন প্রতিদিনই ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টির মুখ দেখতে হচ্ছে। যদিও বৃষ্টিতে আমার তেমন কোনো সমস্যা নেই তবে শহরের রাস্তাঘাট জলে তলিয়ে যাচ্ছে। বোনের বিয়ে সামনে আর ভাই কি নিশ্চিন্তে বসে থাকতে পারে৷ বোনের বিয়েতে ভাইয়ের কাধেই সব থেকে বেশি দায়িত্ব থাকে৷ বাচ্চাদের এমন দুষ্টামি দেখে ছোটো বেলায় ফিরে যেতে মন চায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃষ্টি তো আমার বোনের বিয়েতে বিশাল একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানিনা কি হবে আগামীকাল।আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেনো তিনি আগামীকাল একটু শুষ্ক আবহাওয়া করে দেন।দায়িত্ববোধ বলতে গতকাল সারাদিন বোনজামাইকে কেনাকাটা করে দিতেই গেচে।আজকেও কাজ কম হচ্ছে না।সকাল থেকে কেবলমাত্র একটু বসতে পারলাম।সেই সুযোগে আপনার কমেন্টের মন্তব্য করে গেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃষ্টির দিন অনেকটা আরাম আয়েশের মধ্যেই কেটে যায়। আর এই দিনটা আমরা খুব উপভোগ করে থাকি। গ্রামের মধ্যে থাকলে তো আরো বেশি ভালো হয়। পুকুরে বাচ্চারা গোসল করলে সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় তাদেরকে দেখার পর। আপনি তাদের সাথে আবার কিছুটা সময় পার করেছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে সব জায়গায় বৃষ্টি চলছে আর এই বৃষ্টি আমার কাছে এখন বিরক্তকর শুরু হয়ে গেছে।। আর এই বৃষ্টির দিনে কোন অনুষ্ঠান করতে গেলে একটু সমস্যা হয়।। শৈশবে আমিও এভাবে পুকুরে গোসল করতাম অনেক ভালো লাগতো।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit