Better Life With Steem | | The Diary Game | | 14 June,, 2024

in hive-120823 •  5 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালোই আছি।আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।


IMG_20240614_213652.jpg

Edit by Canva


আজকে ঘুম ভাঙে এলার্ম বাজার আগেই।ঘুম থেকে উঠেই ওয়াশরুমে যাই।এরপর আমি ব্রাশ করে নিই।প্রতিদিনের ন্যায় ব্রাশ করার পর পড়াশোনা করতে বসি।এরপর কিছুক্ষণ পড়াশোনা করার পর আমি আমার মায়ের ডাকে বাইরে বের হই।এরপর রান্নাঘরে গিয়ে দেখি তিনি খিচুড়ি রান্না করতেছেন।আমাকে এক প্লেট খিচুড়ি দিলো।আমি খাওয়া করে নিলাম।এরপর আমি আমার ফোনে কিছুক্ষণ স্ক্রল করতে থাকি।এমন সময় আমার চাচাতো ছোট ভাই আমার সাথে দেখা করতে আসে।


IMG_20240614_132009.jpg


তার সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিতে দিতে ১১ টা বেজে গেলো।এরপর আমি চলে গেলাম আমাদের গ্রামের পাশেই একটা দোকানে সেখানে গিয়ে কিছু সময় অতিবাহিত করার পর হঠাৎ আযান দিয়ে দিলোআজকে আবার জুমার দিন।তাই আজকে প্রতিদিনের থেকে আধা ঘণ্টা আগেই আযান দিয়ে দেয়।তাই বেশিক্ষণ দেরি না করে তড়িঘড়ি করে গোসলে চলে গেলাম।এরপর গোসল শেষ করে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে অযু করে নামাজে চলে গেলাম।


IMG_20240614_135711.jpg


এরপর নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হতেই একজন অসুস্থ ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা হলো।সেখানে তার সাথে কমপক্ষে ২০ মিনিট ধরে কথা বললাম।এরপর বাসায় এসে খাওয়া করে নিলাম।খাওয়া শেষ করে একটু বিশ্রাম নিতেই চোখে ঘুম চলে আসলো।এরপর একটু ঘুমিয়ে নিলাম।ঘুম থেকে উঠেই আমি আপনাদের কিছু পোস্টে মন্তব্য করা শুরু করে দিলাম।কয়েকটি কমেন্ট করার পর আমি রুমের বাইরে বের হতেই দেখি আমার প্রিয় লালু দুধ খাওয়ার জন্য চিতকার করতেছে।তাই তাকে বোতলে ভরে ৩ বোতল দুধ খাওয়ালাম। এরপর তাএ সাথে বেশ কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখলাম।


IMG_20240614_135427.jpg


এরপর বিকেল হতেই আমি বাসার বাইরে একাই ঘুরতে বের হই।প্রথমে আমাদের বাসার পাশেই একটা ইট ভাটায় যাই এবং সেখানে দেখি কিছু জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।যেটি আমাদের মশা তৈরির কারখানার মতো কাজ করবে।যেখানে সেখানে ভাটার মালিক এভাবে গর্ত করে রাখে যেটি আমার ভালো লাগেনি।এরপর সেখানে কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখি।এরপর সেখান থেকে যাই আমাদের স্কুল মাঠে।


IMG_20240614_171156.jpg


আজকেও গরুর হাট শুরু হয়েছে দুপুর ২ টা থেকেই।আমি সেখানে যাওয়ার পর আমার বন্ধুদের খুজতে শুরু করি।এরপর আমার বন্ধু সৈকতের সাথে দেখা হয়।এরপর আমি সেখানে বেশ কিছু ছবি তুলি। এরপর সন্ধ্যা হতেই গরুর বাজার শেষ হলেও আমাদের আড্ডা চলে আরো বেশ কিছুক্ষণ। এরপর আমরা একটা হোটেলে যাই এবং সেখানে হালকা কিছু নাস্তা করে নিই।এরপর আমরা আমাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই।


IMG_20240614_170942.jpg


বাসায় এসে প্রথমে আমি ফ্রেশ হয়ে নিই। এরপর আমি বাসার সবার সাথে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। এরপর আমি আমার ছোট বোনকে তার পড়াশোনায় কিছুটা সাহায্য করি।এরপর খাওয়ার সময় হলে খাওয়া করে নিই।খাওয়া শেষ করে আমি আমার সারাদিনের অতিবাহিত কর্মকান্ডের দিনলিপি লিপিবদ্ধ করা শুরু করি। এরপর লিখা শেষ হয়ে গেলে আমি আবার কিছুক্ষণ টিভিতে একটা মুভির কিছু অংশ দেখলাম।তারপর আমি আবার আমার কমিউনিটির কাজ শুরু করলাম।এরপর আমি পোস্ট করে ফেলি।আর এভাবেই আমার সুন্দর একটা দিনের সমাপ্তি ঘটে।


IMG_20240614_194545.jpg



ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

প্রতিদিনের মতোই সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালে নাস্তা খেয়েছেন। এরপর বই পড়তে বসেছিলেন। শুক্রবার জুমার নামাজের দিন ছিল। এজন্য তাড়াতাড়ি গোসল করে মসজিদে গিয়েছেন। আপনার প্রিয় লালকে দুধ খাইয়েছেন। গতদিনেও স্কুল মাঠে গরুর হাট লেগেছিল। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমি সেখানে যাইতে পারিনি।
যাইহোক সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আসলে ঈদের আমেজ অনেক আগে থেকেই সবার মাঝে বিরাজ করে।তাই আমি ব্যাক্তিগতভাবেও চাইনা যে এই আনন্দের মুহুর্ত গুলোর থেকে বঞ্চিত হই।আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে অনেক পছন্দ করি।তাই বাজার যাওয়া আমার প্রতিদিনের অভ্যাস। আর গরুর হাটে তো যেতেই হবে।

আপনার লালুকে দেখে খুব ভালো লাগলো। তার সাথে যে আপনার দারুন সখ্যতা রয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন আপনার সাথে ছবি তোলার জন্য নিজে থেকেই পোজ দিয়েছে। বিকাল বেলা ইটের ভাটার কাছে গিয়ে দেখেন সেখানে দলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আসলে এভাবে যেখানে সেখানে গর্ত করে রাখা ঠিক না। এই জমে থাকা পানি থেকেই মশার উপদ্রব হয়। তাই ইটের ভাটা কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আসলে লালু আমার খুব ভালো বন্ধু। আমাকে অনেক বিশ্বাস করে। তাই তো এতো কাছে আসে।আর হ্যাঁ, জলাবদ্ধতা আমাদের সকলের জন্য যে কি পরিমাণ ক্ষতি নিয়ে আসে তা কারো ধারণার ভিতরে নেই।আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে।তাহলেই এসব থেকে বাচতে পারবো।

আপনার লালু সম্পর্কে আপনি আগে বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছিলেন তাই এই বিষয়টা আমি ভালোভাবেই জানি আপনার লালুর সাথে কেমন সম্পর্ক।

আর শুক্রবার ছিল তাই নামাজের শেষে দেখতে গিয়েছেন একজন অসুস্থ ছোট ভাইকে দোয়া করি আপনার এই ছোট ভাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম বেশ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।

পুরো দিনলিপিটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আসলেই ভাই লালুকে এখন মোটামুটি আমাদের কমিউনিটির সবাই চিনে।আপনাদের সাথে এভাবেই তার পরিচিতি ধরে রাখবো সবসময় ইনশাআল্লাহ। ছোটভাইয়ের খবর নিয়ে দেখালাম সে এখন মোটামুটি সুস্থ।ভালো থাকবেন,ধন্যবাদ।

আপনার প্রিয় লালুকে দেখে আমারও খুব ভালো লাগলো। ছোট ছোট গরু ও ছাগলের বাচ্চাকে দেখতে খুবই কিউট লাগে। আপনি পরম মমতায় ওকে খাইয়ে দিলেন।

এছাড়া ছোট বোনকে পড়ালেখা করতে সহযোগিতা করলেন। বড় ভাই থাকলে আসলে
এমনই হয়। সব মিলিয়ে আপনি একটি স্বাভাবিক কর্মব্যস্ত দিন পার করেছেন। ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।

আপনারা লালুকে সবাই অনেক পছন্দ করেন।তাই আমার অনেক ভালো লাগে।আমি সবসময় তাকে আপনাদের সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।বোনকে মাঝে মাঝেই পড়াশোনার সাহায্য করে থাকি।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার সম্পুর্ন পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার পর এতো সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।

লালুকে যতবার দেখি ততবারই ভালো লাগে। অনেক মায়াবী ও আর আপনাকে অনেক ভালোও বাসে। আপনার উপর অনেক নির্ভরশীল ও। আজ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পড়াশোনা করছিলেন তারপর মায়ের হাতের খিচুড়ি খেয়েছিলেন। মায়ের হাতের যেকোনো খাবারই অনেক বেশি মজার হয়ে থাকে। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে। ভালো থাকবেন।

আসলেই ভাই লালু আমার কাছে অনেক ভরসা পায়।দোয়া করবেন সে যেনো সুস্থ থাকে।আমরা চাই যেনো সে তার মায়ের কষ্ট উপলব্ধি করতে না পারে।আসলে আপনারা সবাই তাকে কাছে থেকে না দেখেও অনেক পছন্দ করে ফেলেছেন। সেটা বুঝতে পারি।আর হ্যাঁ, মায়ের হাতের রান্নায় তো জাদু রয়ে যায় সব সময়।আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

আপনি ওকে যেভাবে আগলে রাখেন অবশ্যই সে সুস্থ থাকবে আর যদিও মাকে ভোলা সম্ভব নয় তবে ও নিজেকে একদিন অবশ্যই সামলে নিতে শিখবে। আমাদের বাড়িতেও এমন অনেক গরু রয়েছ যারা সব সময় মায়ের সাথে থাকে তাই ওর কষ্ট একটু হলেও অনুভব করতে পারি। আমার পোষা প্রাণীগুলো কে সত্যিই খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।