Better Life With Steem | | The Diary Game | | 23 June, 2024

in hive-120823 •  5 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালোই আছি।আজকে আমার অতিবাহিত দিনটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।


IMG_20240623_191804.jpg


আজকে প্রতিদিনের মতো নয় বরং একটু ভিন্নভাবে আমার ঘুম ভাঙে।আমার বাবা আমাকে ঘুম থেকে জেগে তুলে।এরপর তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হতে বলে।আমার উপর রীতিমতো রাগ হয়েই গেছেন উনি।বলতেছেন যে আমাদের সবার নাস্তা করা শেষ আর এখনো ঘুমিয়ে আছে।আমি ফ্রেশ হয়ে মায়ের হাতের বানানো পরোটা খেয়ে নিলাম।আজকে অনেকদিন পর মা পরোটা বানিয়েছেন।এরপর আমি এককাপ চা খেয়ে নিলাম।আগের দিনে আত্মীয় আসার সময় আপেল,কমলা আর কলা নিয়ে আসছিলো।মা আমাকে সেগুলোও কেটে কেটে দিলো খাওয়ার জন্য। আসলে মাতের অফুরন্ত ভালোবাসা এসবেই বুঝতে পারা যায়।এরপর আমি প্রতিদিনের ন্যায় একটু পড়তে বসি।কিছুক্ষণ পড়াশোনা করার পর আমি আমার পরিবারের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করি।কারণ আজকে আমার বাসায় থাকার শেষ দিন।বিকেলে দিনাজপুরের উদ্যেশে রওনা দিবো। যদিও গতকালকেই আমার দিনাজপুরে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু পারিবারিক নানান ঝামেলা থাকার কারনে আমি যেতে পারিনি।


IMG_20240623_090137.jpg


দুপুর হতেই আমি আমার আদরের সব গরুকে একেক করে খাবার দিলাম।এরপর আমার লালুর গায়ে দীর্ঘক্ষণ হাত বুলিয়ে দিয়েছি।এরপর আমি গোসল সেরে নিলাম।মা আমাকে খাওয়ার জন্য ডাক দিলো। খাওয়া করে নিলাম।আসলে বাসা থেকে চলে যাওয়ার দিন মায়ের মুখে কেনজানি অন্যরকম একটা মায়া লক্ষ্য করা যায়।যাই হোক আমি খাওয়া শেষে একটু রেস্ট করে নিলাম।এরপর আমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছাতে শুরু করলাম।তবে আমি আমার বোনের সাহায্যে অনেক কাপড় গুছিয়ে নিয়েছি।বোনটার বিয়ে হয়ে গেলো।এই বোন আমার কতো কেয়ারটাই না করছে। কোনোদিন ভুলতে পারবো না।এর পরের বার থেকে আসার পর হয়তো আর বোনকে এভাবে পাশে পাবো না।তবে কি আর করার, সব বাস্তবতার নির্মম পরিহাস।এরপর আমায়ার সবকিছু গুছানো হয়ে গেলে আমি আমার বাসার সবার থেকে বিদায় নিয়ে নিলাম।মা আর বোন আমাকে নিয়ে রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এলো।


IMG_20240623_183805.jpg


এরপর আমি একটা অটোরিকশা করে পার্বতীপুর টার্মিনালে পৌঁছে যাই।সেখানে যাওয়ার পর প্রথমেই আমার বোনের ফোন নাম্বারে ২৫০ টাকা রিচার্জ করে দিই।ওর ডাটা শেষ হইছে।তাই আমাকে রিচার্জ করে দিতে বলেছে।রিচার্জ দেওয়ার পর টিকিট কাউন্টারে গিয়ে একটা টিকিট নিই।এরপর আমি বাসে উঠে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর বাস ছাড়ে।সেই সুযোগে আমি বাসের জানালা দিয়ে কয়েকটা ছবি ক্যামেরাবন্দী করি। সামনের ভবের বাজার স্টেশন থেকে আমার বন্ধু ফরহাদ বাসে উঠবে।সে আমার জন্য অনেক্ষনযাবত অপেক্ষা করতেছে । নাজানি বেচারা কতোটা বিরক্ত হয়ে গেছে।২০ মিনিট পর সে বাসে উঠে। এরপর আমরা একসাথে দিনাজপুরের উদ্যেশে রওনা দিই।


IMG_20240623_191538.jpg


মেসে এসেই আমি প্রথমেই ফ্রেশ হয়ে নিই। কারন আমার হাতে যতেষ্ট সময় নেই।আজকে টিউটোরিয়াল ক্লাস আছে।তাই আমি তড়িঘড়ি করে রুমটা একটু গুছিয়ে নিয়ে একটু রেস্ট নিই।আসলে কি জানেন, জীবনটা এখন আর আগের মতো নেই।প্রতিনিয়ত নানান ধরনের ঝামেলা জীবনে উঁকি মেরে চলেছে।আমার পারিবারিক অবস্থাও ততোটা ভালো না।বাবা অসুস্থ হওয়ার পরে থেকে সংসারে একটু টানা পোড়া শুরু হয়।এর ভিতরে আমাকে একটা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পড়ানোই যখন তাদের কাছে কঠিন সেখানে হঠাৎ করেই বোনটার বিয়ে হয়ে গেলো।পড়াশোনার জন্য কতো জার্নি করতেই না হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ক্লাসের জন্য কখনো দিনাজপুরে প্রাক্টিসের জন্য আবার কখনো জয়পুরহাটে যেতে হচ্ছে।আবার কখনো ঈদের জন্য,কখনো পারিবারিক কারণে বাসায় যেতে হচ্ছে।রাত হলে মাথার উপর কতশত পড়াশোনার চাপ।এভাবেই চলছে আরকি।ভালো থাকবেন সবাই।সবার জন্য শুভকামনা রইলো।


Screenshot_20240623_214711.jpg



ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনি কে আপনার মাথার উপরে এত চাপ নিয়ে এত ধরনের কাজ করছেন সে বিষয়টা জেনে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, কারণ মানুষের মাথার উপর চাপ থাকতেই পারে এবং সেই চাপকে সহ্য করে চলতে হবে, এত শত চাপের পরও আপনি যে রাতে হ্যাংআউটে জয়েন হয়েছিলেন এবং আমাদের সাথে সময় কাটিয়েছিলেন সেটার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আসলে জীবন মানের যন্ত্রণা, ব্যাস্ততা, মন খারাপ এগুলো থাকবেই।প্রত্যেকটা দিন যে ভালো কাটবে এমনটা নয়।আমি চেষ্টা করি কষ্টের মাঝেও একটু ভালো থাকার।টিউটোরিয়াল ক্লাসে যোগ দেওয়াটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।কারণ বিগত ক্লাস গুলোতেও আমি ব্যাস্ততার কারণে সময় দিতে পারিনি।ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।ধন্যবাদ

ইদানীং আপনি পোস্টের মধ্যে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন আজকের ফুলের ছবিটাও ভালো লাগছে। দোকানেও পরোটা পাওয়া যায় তবে একটই তেলে বারবার ভাজা জিনিস খেলে আমার শরীর খারাপ করে। আপনার মা বাড়িতে পরোটা ভেজেছিলো আশা করি অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।

আমার ফটোগ্রাফির প্রসংসা করার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।আসলে আমি ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি।এটা আমার সখ।আমি বাসায় গেলেই আমার মা'কে পরোটা তৈরি করতে বলি।এটি আমার খুব পছন্দের একটা খাবার।যদিও বা অতিরিক্ত তেলের খাবার সাস্থের জন্য ক্ষতিকর।

প্রথমে বলব আপনার তোলা ফটোগ্রাফিটি খুব সুন্দর হয়েছে। সকালবেলা একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার কারণে আপনার বাবার রেগে গিয়েছে। আসলে গ্রামের মানুষজন খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে।
আমরা বিগত পোস্টে অবগত হয়েছি আপনার দিনাজপুরে যাওয়ার কথা। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল আপনি পারিবারিক সমস্যা নিয়ে বেশ ঝামেলায় রয়েছেন।
এত সমস্যার মাঝেও সারাদিনের খানিক মূলত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

গ্রামের মানুষ আসলেই অনেক ভোরে ঘুম থেকে উঠে।এটা তাদের স্বাস্থের জন্য অনেক ভালো।কিন্তু আমরা যারা ঘুম থেকে দেরিতে উঠি তাদের জন্য এটা খুবই কষ্টকর। তাই বাসায় গেলে একটু সতর্ক থাকার চেষ্টা করি।কারন আমার বাবা এসব ঘুমিয়ে থাকা পছন্দ করে না।তবে হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ এখন আর পারিবারিক ঝামেলা নেই।আল্লাহর রহমতে সবকিছু ঠিকঠাক আছে।

আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। তবে আপনার পোস্টে স্কুলের ফটোগ্রাফিটা খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার বাবার শরীর ভালো নেই। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করুন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ।ভালো থাকবেন।

ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে দিদি।তাই যখনেই ফুল দেখি সাথে সাথে একটা ছবি তুলে নিই।আমার বাবা অনেকদূর যাবত অসুস্থ। খুব ভালো লাগলো যে আমার বাবার জন্য কতোদুর থেকে দোয়া পাঠালেন।হয়তো আপনার অছিলায় আল্লাহ উনাকে সুস্থ করে দিবেন।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

@alamin125,
ভাই, আপনার সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। কিন্তু কোনো সমস্যা না থাকলেও আমার মনে হলো আপনাকে কিছু বিষয় একটু পরিবর্তন করতে হবে যেটা আপনাকে জানানো উচিত।

  • বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ-*
    ➡️ আপনার লেখাতে ব্যবহৃত শেষ ছবিটি দেখতে একটু অন্যরকম লাগছে। অনুগ্রহ পূর্বক, চেষ্টা করবে ক্রপ করে নির্দিষ্ট সাইজের ছবি ব্যবহার করার জন্য যেমন ওপরের ছবি গুলো।

  • ➡️ লেখার প্যারা গুলো একটু ছোট ছোট করতে হবে যেটা লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

  • আশাকরি, উপরোল্লেখিত বিষয়গুলো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে দেখবেন এবং পরবর্তীতে অনুসরণ করবেন।

আসলেই আমিও বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছি যে আমার লিখার প্যারা গুলো বড় হয়ে গেছে।আমি সবসময় ছোট প্যারা করে লিখতেই অভ্যস্ত কিন্তু সেইদিন কেনো জানি আমার মিস্টেক হয়ে গেছিলো।আর এর পর থেকে সবসময় সঠিক সাইজের ছবি ব্যবহার করবো। আমার এই ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আপনার দিনালিপি পড়ে আপনার আর আপনার বোনের মধুর সম্পর্কের আভাস পেলাম। আসলে ভাই বোনের সম্পর্ক সব সময় এমন মধুর হয়। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়াটা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। তার পরেও পড়ালেখা চালু রেখেছে পাশাপাশি প্রাক্টিস করছে জেনে ভালো লাগলো।

আমার ছোটবেলা থেকেই আমার বোনের সাথে অন্যরকম একটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছিলো।তাকে অনেক কোলে করে নিয়ে ঘুরছি।আসলে পৃথিবীতে সেরা সম্পর্ক গুলোর মধ একটি হচ্ছে ভাই বোনের সম্পর্ক।আমি যতদিন বেচে আছি এভাবেই আমার বোনটাকে ভালোবেসে যেতে যাই।সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এইটুকুই কাম্য।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

বাসায় থাকলে মায়ের হাতের খাবার খাওয়া যায় আর মায়ের এত খাবার সব সময় মধুর হয়ে থাকে।। দিনাজপুর চলে যাবেন জন্য পরিবারের সাথে সময় কাটিয়েছে শুনে ভালো লাগলো।। এছাড়াও বাসার বেশ কাজও করেন আসলে বাসায় থাকলে গরুদের বা ছাগলদের খেতে দিতে বেশ ভালই লাগে।।

আসলে ভাই বর্তমান সময়টায় এমন এক সিচুয়েশনে আছি, শুধু এখানে যাও, ওইখানে যাওয়া।মানে জার্নি করতে করতে আর ভালো লাগে না।আবার আমাকে গতকাল ফোন দিয়ে বাসায় যাইতে বলছে।এখনো এখানে আপনি আসার দিনের জন্য মন্তব্য করলেন আর ওইদিকে দেখেন,যাওয়ার খবর হয়েছে।মায়ের হাতের খাবার সবার কাছের পৃথিবীর স্রেষ্ঠ খাবার।শুধু গরু ছাগলদের নয় বরং যেকোনো প্রানিদের প্রতি আমার মন থেকে ভালোবাসা বের হয়ে আসে।

মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এমনই হয় ভাই অনেক কিছু না চাইলেও করতে হয়।। আর হ্যাঁ জার্নি করতে আমারও ভালো লাগেনা অনেক বিরক্ত কর লাগে।। আর প্রাণীদের প্রতি প্রতিটা মানুষের ভালোবাসা থাকা উচিত।।।