Better Life With Steem || The Diary game || 1/1/2025

in hive-120823 •  5 days ago  (edited)

হ্যালো গায়েজ,,,

সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,

1000153425.jpg

বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আবার সুন্দর একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম। নতুন বছরের শুভেচ্ছা happy new year 2025 নতুন বছরটা সবার জীবনে বছরের একটা প্রথম দিন। কিন্তু এই প্রথম দিনটা আমার জীবনে ভালো কাটেনি খুব বাজে ভাবে দিনটা কেটে গেল।


নতুন বছর নতুন আশা সপ্ন নিয়ে সবারই দিনটা শুরু হয়। আজকের দিনটা যেভাবে সুন্দর কাটবে আর বাকি দিন গুলোও যেন ভালো কাটে। আমরা বসাই এই রকম মনে মনে বলে থাকি। কিন্তু আবারও বলা যায় প্রত্যেকটা দিন যে একই ভালো ভাবে কেটে যাক এটাও অসম্ভব। আমার মনে হয় আজকের দিনটা সবার জীবনে ভালো ভাবেই কেটে গেছে।

1000153408.jpg

তবে আমি কখনো ভাবতে পারিনি,আজকের দিনটা আমার জীবন কাল হয়ে দাড়াবে। কিছু কিছু মানুষের দোষ থাকে যেগুলো নিজে না করলেও গাড়ে এসে পরে। আজকের দিনটা আমার এতো খারাপ ভাবে কেটে যাবে বুজতে পারিনি। খারাপ লাগার থেকেও কষ্টে পার করেছি। কিন্তু কি হয়েছে তা শেয়ার করতে পারছি না সরি।

যতোই রাগারাগি হোকনা কেন দিন শেষে তো রান্না- বান্না করে তো খেতেই হবে। যানিনা আজকের রান্না গুলো কির ওপর থেকে করেছি। আজকে সকালে কোন নাস্তা করিনি,শুধু ছেলেকে বিস্কুট খাইয়ে দিলাম। ঘুম থেকে ওঠে মুখ হাত ধুয়ে রান্না ঘরে গিয়ে দুপুরের রান্না বসিয়ে দিলাম।

1000153418.jpg

তবে রান্নাগুলো যে করেছি রান্নার ভিতর একটু আমার মন মানসিকতা ছিল না। অন্য মানুষকো হয়ে রান্নাটি করে নিলাম। কেন জানিনা মনের ভিতর এত অশান্তি লাগছে মনে,হয় মায়ের কাছে চলে যাই, তবে একটু শান্তি পাবো মনে হয়। আর হ্যা, আমার মনের রাগটা কিছু কিছু ছেলের উপরে দেখিয়ে শান্ত হই। মানে ওযে দুষ্টুমি করে ওগুলো সয্য না হতে পেরে ছেলেকে বকাঝকা করি।

এরপরে রান্না কাজটা হলে ছেলেকে নিয়ে গোসলে চলে যাই। ছেলেকে গোসল করিয়ে দিয়ে, জামা - প্যান্ট পড়িয়ে দিয়ে আমি জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ করে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম তারপর আমি খেলাম। সবাই দুপুরের খাবার খেলাম আর আমি ছেলেকে নিয়ে সুয়ে পরি।

1000153422.jpg

ছেলে ঘুমিয়ে গেল আমার আর কোনো ভাবেই ঘুম আসলো না। ঘুম না আসাতে সুয়ে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি। এরপরে যখন শুনি আসরের আজান দিচ্ছে তারপর আজান শেষে আসরের নামাজটা পড়ে নিলাম।

নামাজ পড়া শেষ করে করে কি করবো ভালো লাগছে না।তারপরে বলি যাক বসে না থেকে; আজকের পোস্ট টা লিখে ফেলি তখন বিকাল সাড়ে চারটার। এরপরে আস্তে আস্তে করে নিজের মনের ভাবনা গুলো পোস্টে লিখে ফেলি। যানিনা সামনের দিনগুলো কিভাবে পার করবো তবে আল্লাহর কাছে এইটুকু আশা করি। যেভাবেই থাকিনা কেনো আমার ছেলেটাকে যেন আল্লাহর তায়ালা ভালো এবং সুস্থ রাখে আর ওর সামনের ভবিষ্যৎ যেন খুব ভালো হয়।

যাইহোক লেখা সামনে আর এগাবো না, এখানেই আজকের লেখা শেষ করতে চাই। আবার অন্য একদিন আরেকটি পোস্ট আপনাদের উপহার দিবো। (আল্লাহ হাফেজ)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

ওয়ালাইকুম আসসালাম।
আপনার পোস্ট পড়ে মন খারাপ হলো আপু। নতুন বছরের শুরুটা কঠিন গেলেও আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হবে। আপনার ছেলের জন্য যে ভালোবাসা আর দোয়া করছেন, সেটাই আপনার শক্তি। মায়ের কাছে যাওয়ার ইচ্ছা খুব স্বাভাবিক, আশা করি আপনি শিগগিরই শান্তি পাবেন।

নামাজ আর দোয়া চালিয়ে যান, আল্লাহ আপনার জন্য ভালো কিছু রেখেছেন। নতুন বছর আপনার জীবনে সুখ ও শান্তি আনুক। আল্লাহ হাফেজ।

সংসার জীবন যখন রয়েছে তখন তার মধ্যে রাগারাগি হাসাহাসি ভালো-মন্দ সবকিছুই থাকবে। সবকিছু মিলিয়েই আমাদের চলতে হয়।আমরা আমাদের জীবনে একটা জিনিস বেশ ভালোভাবে চিন্তা করি। আমরা চিন্তা করি আমাদের জীবনের সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের জীবনের সবকিছু কখনো কি ঠিক হয়? প্রশ্নটা না হয় আপনার কাছে রেখে গেলাম।

তবে আমি যতটুকু জানি আমাদের জীবনের কোন কিছু কখনোই ঠিক হয় না! আমরা শুধু সেটাকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি আর মানিয়ে নেয়ার মাধ্যমে নিজের সংসারটাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করি! আমাদের মন মত কোন কিছু হয় না আর কখনো হবে বলে আমি সেটা চিন্তাও করি না।

আপনার বছরের প্রথম দিনটা এত বাজে কাটবে! সেটা আপনি কল্পনা করেননি কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যেটা আগে থেকে সৃষ্টি করে রেখেছেন! সেটাকে আমরা কখনোই বদলাতে পারবো না! হয়তোবা দেখা যাবে আপনার প্রথম দিন খারাপ কেটে গেছে। কিন্তু ভবিষ্যৎ আপনার ভালো কাটবে এটা আপনি নিশ্চিত হয়ে বসে থাকলে হবে না, হয়তো বা হবে আবার নাও হতে পারে।

দিন শেষে যত কিছুই হোক না কেন রান্না বান্নার কাজ এবং নিজের খাবার-দাবার সবকিছু নিজেকেই করতে হবে! যত সমস্যা পরিবারে থাকুক না কেন পেট আর মানবে না! কারণ তার যখন খিদা লাগবে তাকে খাবার দিতেই হবে আসলে মন খারাপ থাকলে ঘুমাতেও ইচ্ছে করেনা! আপনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে চিন্তা করবেন না, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে শুধুমাত্র আপনি মানিয়ে নেয়ার মাধ্যমে ভালো থাকবেন।

প্রতিটি মেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সময় তার মায়ের কাছে যেতে চায় এবং মনের কথাগুলো খুলে থাকে বলতে চায়।। একেক দিন একেক ভাবে যাবে এটাই স্বাভাবিক কোনো মানুষের দে একইভাবে অতিবাহিত হয় না।। তবে দোয়া করি আপনার সকল সমস্যার সমাধান হয়ে আবারো শান্তিময় হয়ে যাক সবকিছু।।