Better Life With Steem || The Diary game || 1/10/2024

in hive-120823 •  2 months ago 
1000149892.jpg

হ্যালো বন্ধুরা, আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি। ভাবছিলাম আজকে পোস্ট লিখতে পারবো না, কারণ বিকাল থেকেই ওয়াইফাই রাউটারের যেন কি একটা সমস্যা হয়েছিল। এরপর দেখি ৯ঃ০০ টার সময় ঠিক হয়েছে তারপর তাড়াতাড়ি এসে পোস্ট লিখতে বসি


আলহামদুলিল্লাহ আবারো খুব সুন্দর একটি সকালের আলো দেখতে পেলাম। তবে আজকে সকালবেলা তাড়াতাড়ি উঠতে পারেনি ৬ঃ৫০ মিনিটে উঠেছি। আমি ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর তাড়াতাড়ি করে মেয়েকে উঠিয়ে দিলাম মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য, মেয়ে যেতে চেয়েছিল না লেট হয়েছে তারপর ওর বাবার জোর করে পাঠিয়ে দিল।

1000149871.jpg

আমি ওঠার পর সঙ্গে সঙ্গে ভাবি রুমে গেলাম উঠে দেখি ভাইয়া জন্য খিচুড়ি রান্না করে বক্সে দিয়ে দিচ্ছে। তারপর আমি জিজ্ঞেস করলাম আজকে আমার আগে কিভাবে উঠলেন আমার তো লেট হয়েছে, বলছে আমি উঠেছি ছয়টার ২০ মিনিটে। ভাবি ভাইয়াকে বক্সে করে খাবার দিয়ে দিলো তারপর সে আবার শুয়ে পরলো আমি আর ঘুমাইনি শুয়ে শুয়ে মোবাইল দেখছিলাম।

আমি ওঠার পর ছেলেকেও নয়টার ভিতরে উঠিয়ে দিলাম, ছেলে ওঠার পর ওকে মুখ ধুয়ে দিলাম তারপর ডিম দিয়ে খিচুড়ি খেতে দিলাম। সে বলছে ডিম দিয়ে খিচুড়ি খাবে না সস্ দিয়ে খাবে তারপর অল্প করে একটু সস্ দিলাম আঙ্গুল দিয়ে খাচ্ছে। ওর বাবাকেও দেখালাম দেখো তোমার ছেলে কি দিয়ে খিচুড়ি খাচ্ছে। ওর নিজের মতন করে খেলো তারপর আমিও সকালের খাবার খেয়ে নিলাম।

সাহেব ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে দশটার দিকে বাজারে গেল। বাজার থেকে কিছু সবজি এবং মাছ এনে তারপরে গোসল করে সকালের খাবার খেলো। সকালের খাওয়া দাওয়া করে ছেলের সাথে কিছুক্ষণ দুষ্টুমি করে তারপর সে তার কাজে চলে গেল।

1000149878.jpg

এরপরে আমি আর বেশিক্ষণ বসে না থেকে রান্নার কাজে চলে গেলাম। আজকে রান্না করেছি কৈ মাছ, দিয়ে কচুর মুখি, বেগুন আলু, চিংড়ি মাছ, দিয়ে ভাজি। এদিকে রান্নার ফাঁকে ফাঁকে আবার ছেলের কাছে এসে দেখি ছেলে কি করছে, এরপর আস্তে আস্তে করে সব রান্না শেষ করে সম্পূর্ণ কাজ গুছিয়ে তারপর রান্নাঘর থেকে চলে আসি।

কাজকর্মগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে তারপর ছেলেকে গোসল করিয়ে দি, আজকে আগে ছেলেকে গোসল করিয়ে রেখে তারপর আমি গোসল করতে যাই। কারণ বাথরুমে অনেক কাজ আছে কাপড়-চোপড় ধোয়া বাথরুম পরিষ্কার করা তার জন্য ছেলেকে আগেই গোসল করিয়ে দিলাম।

1000149886.jpg

দুপুরে গোসল করে নামাজ পড়ে এরপর ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিলাম। ওর খাওয়া শেষ হলে এরপর আমি খেতে বসলাম। ভাত বেড়ে সামনে এসে বসলাম ভাতের প্লেটে হাত দিয়েছি এর মাঝে ছেলে বলে বাথরুমে যাবে। এরপর আর কি করবো ছেলেকে বাথরুম করিয়ে এনে তারপর খেতে বসলাম। খাওয়া দাওয়া করে সাড়ে তিনটের ভিতরে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি। এরপর আবার ছেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে যায়। আমি উঠে গেলাম আসরের নামাজ পড়তে যাব যেতে দিচ্ছে না তারপর হাতে দুই প্যাকেট বিস্কুট দিয়ে বসিয়ে রেখে আমি নামাজ পড়ে আসি।

আসরের নামাজ কালাম পরে কিছুক্ষণ বাসায় ভিতরে হাটাহাটি করি আর ভাইয়ার ছেলেটাকে নিয়ে দুষ্টুমি করি। কিছুক্ষণ দুষ্টুমির মাঝে হারিয়ে যাই তারপর দেখি মাগরিবের আযান দিলো ওযু করে নামাজ পড়ি।

1000149891.jpg

নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসলাম তারপর ভাবি বলে আজকে সন্ধ্যায় ফুচকা বানাবো তাই ফুচকার কাজে লেগে পড়ি। ফুচকা বানাতে খেতে খেতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে যায়। আজকে ফুচকা এতটা পরিমাণ ভাবি ঝাল দিয়েছে যা আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন আমি একেকটা ফুচকা খাচ্ছি আর পানি খাচ্ছি, আর ভাবি পুরো প্লেট ফুচকা শেষ করে ফেলেছে তারপরও পানি খাইনি। যাইহোক ফুচকা খেয়ে এসেছি তারপরে দেখি রাউটারের সমস্যা ঠিক হয়েছে তারপর সঙ্গে সঙ্গে পোস্ট লিখতে বসি।

যাক সামনে আর এ যাব না আজকের লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি, সবার সুস্থতা আল্লাহর কাছে কামনা করছি (আল্লাহ হাফেজ)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

সবচাইতে বেশি ভালো লাগলো বাসায় ফুচকা তৈরি করেছেন আর দেখেও বেশ ভালো লাগছে।। আমার মনে হয় বাজারে চাইতে বাসায় তৈরি করাই ভালো এতে করে পরিষ্কার ভাবে সবকিছু তৈরি করা হয় এবং খাওয়া জন্য বেশি উপকারী হয়।।

হ্যা একদম সত্যি বলেছেন, বাজারের চাইতে বাসায় যে ফুচকা সেদিন বানিয়েছিলাম সত্যি খুব লোভনই এবং মজা হয়েছিল। আর এটাও ঠিক বাসায় বসে বানিয়ে খেলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাওয়া যায় এবং প্রীতি সহকারে। সত্যি সেদিন ফুচকা বেশ ভালই হয়েছিল। থ্যাংক ইউ