প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আবারো খুব সুন্দর একটি রঙিল দিনের আলো দেখতে পেয়ে। আশা করি সকল বন্ধুরা খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আবারো আপনাদের মাঝে চলে এসেছি আজকে ডায়েরি গেম নিয়ে চলুন,, আজকের ডায়েরি শুরু করা যাক।।
প্রতিদিনের তুলনায় আজকে সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠেছি, উঠে হাত মুখ ধুয়ে ওযু করে নামাজ পড়ে সরাসরি রান্নাঘরে চলে গেলাম। রান্না ঘরে গিয়ে প্রথমে এক গ্লাস পানি খেয়ে তারপর সকালে নাস্তা বানাতে শুরু করি। আজকে সকালে নাস্তা হিসেবে বানিয়েছি ডিম টোস্ট খুব সহজে বানিয়েছি কোন ঝামেলা ছাড়াই।।
সকালের নাস্তা বানিয়ে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য,, এরপর মেয়ে হাত মুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে মাদ্রাসায় রওনা দিল। মেয়েকে বিদায় জানিয়ে দরজা লক করে এরপর গেলাম ছেলের কাছে ছেলেকে উঠাতে। আমি আর উঠাতে পারিনি ওর বাবা উঠানো। আজকে সকালে বাপ ছেলে ঘুম থেকে একটু তাড়াতাড়িই উঠেছে।
ছেলে ঘুম থেকে ওঠার পর হাতমুখ ধুয়ে এনে সকালের নাস্তা খেতে দিলাম ওর সঙ্গে আমি খেলাম। সাহেবকে নাস্তা খেতে দিলাম সে খাইনি বলে আমি নাস্তা খাব না আমাকে ভাত দাও,, যেটা খেয়ে গেলে আমার সারাদিনে তৃপ্তি পাবো। তাই পান্তা ভাত খেতে দিলাম এবং পান্তা ভাতের সাথে একটা ডিম ভেজে দিলাম।
সাহেব সকালে পান্তা ভাত খেয়ে মার্কেটে চলে গেল,, আর আমি এদিকে ছেলেকে খাইয়ে তারপর রান্নাঘরে চলে গেলাম। দুপুরে রান্নাবান্না বারোটার ভিতরে শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে রেখে,, ছেলের কাছে গেলাম কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিলাম। আর ওর সঙ্গে ফোন দিয়ে কার্টুন দেখলাম। আজ হঠাৎ করে লেবু ভর্তা খাওয়ার কথা ভীষণ মনে পড়ে গেল,, তাই তাড়াতাড়ি রান্না ঘরে গিয়ে ভর্তা বানিয়ে খেলাম।। লেবু ভর্তাটা খেতে বেশ ঝাল হয়েছিল আর খেতেও খুব ভালো লেগেছে,, আমার কাছে লেবু এরকম ভর্তা করে খেতে খুব ভালো লাগে।
এরপর যখন দুপুর একটা বাজে যোহরের ও আজান দিলো তারপর সবকিছু রেখে ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই। মা ছেলে গোসল করে এসে ছেলেকে বসিয়ে রেখে আমি জোহরের নামাজ পড়ি। এদিকে মেয়ে ও মাদ্রাসা থেকে এসে যায় । মেয়ে আসার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে গা গোসল করে একসাথে দুপুরের খাবার খেলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে আবার তিনজনে মিলে ঘুমিয়ে যাই।
যখন বিকাল পাঁচটা বাজে এবং আসরের আযান দিলো তারপর আমি উঠলাম আর মেয়েকে উঠালাম,, উঠে আসবে নামাজ পড়লাম। নামাজ পরে উঠে মেয়ে আমাকে মাদ্রাসা নেয়ার জন্য খুব জোরাজুরি করছে কারণ, আজ মেয়ে প্রথম মাদ্রাসায় বোরকা পরে যাবে এবং খুব লজ্জা করছে তাই আমাকে বারবার বলল আম্মু তুমি আমাকে আজ দিয়ে আসবে। তাই মেয়ের কথা মতন ওর সঙ্গে মাদ্রাসায় গিয়ে ওকে দিয়ে আসলাম।
মেয়েকে মাদ্রাসা দিয়ে এসে,, বাসায় এসে ফ্যানের নিচে কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। এরপর মাগরিবের আজাদ দিল অজু করে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়া শেষ হলে মা ছেলে মিলে সন্ধ্যায় নাস্তা করি এরপর আমি পোস্ট লিখতে বসি। আমার পোস্ট লেখা শেষ হলে এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি।
ছেলেকে খাওয়াতে খাওয়াতে মেয়েও মাদ্রাসা থেকে এসে যায়। মেয়ে আসার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় তারপর কিছু খেতে দেই। এরপর যখন দেখি রাত ১১ টা বাজে তখন মা মেয়ে রাতে খাবার খেয়ে ১১:৩০ টার ভিতরে শুয়ে পরি।।
সকালের নাস্তা টা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।। প্রতিদিনের মতোই সকালে উঠে ছেলেমেয়েদের আবার দেন এছাড়াও দুপুরে রান্না করেন। সত্যি কথা বলতে মেয়েদের প্রতিদিনের কাজের ধরন প্রায় একই রকম হয়ে থাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit