হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। তাই তো আর দেরি না করে আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে, আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক আজকের পোস্টের কার্যক্রম গুলো।
শীতের কুয়াশায় কাঁপতে কাঁপতে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করি। ভেবেছিলাম আজকে ফজরের নামাজ পড়ে আর ঘুমাবো না। ফোন ব্যবহার করে সময়টা পার করে নিবো। কিন্তু তার হলো না, কিছুক্ষণ ফোন দেখার পর চোখে এমন ঘুম আসলো যে হাত থেকে ফোন চোখের উপরে পড়ে গেল। তারপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি বুঝতেই পারি না।
এরপর ঘুম থেকে উঠে দেখি সাড়ে নয়টা বেজেছে তাড়াতাড়ি করে উঠে গেলাম। ঘুম থেকে ওঠার পর কোনদিকে আর না তাকিয়ে সোজা রান্নাঘরে গেলাম সকালে নাস্তা বানাতে। নাস্তা বানানো হয়ে গেল তারপর একে একে করে তারা ঘুম থেকে উঠে গেল। তারপর সবাই মিলে একসাথে সকালে নাস্তা করি, কিন্তু ছবি তোলার সুযোগ পাইনি। ছেলেকে পরোটা বানিয়ে দিয়েছিলাম তাই ওই ছবিটা তুলে নিলাম।
সকালে খাবারটা খেয়ে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে তারপর রান্নাঘরে দিকে গেলাম। রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করার সবকিছু ঘুরিয়ে দিলাম আজকে ভাবি রান্না করল।
তবে আজকে কি রান্না করেছে এই রেসিপিটা আমি নিজেও বলতে পারিনা, তার নিজের ইচ্ছা মতনই রান্না করলো। রান্না হলে রান্না ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই। এরপরে দেখতে পাই ভাইয়া এসেছে কিছু মুদি বাজার এসেছে এবং সাথে ফুচকাও এনেছে। তাই ছেলেকে গোসল করার আগেই ফুচকা খেয়ে নিলাম। কিন্তু তখনও ছবি তুলতে পারিনি খাওয়ার সময় ভাইয়া সঙ্গে ছিল এবং তার সামনে ফোন নিতে পারেনি।
ঝাল ঝাল বোম্বাই মরিচের ফুচকা খেয়ে শরীরটা গরম করে গোসল করতে চলে যাই। গোসল করে যোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসি। ছেলের খাওয়া শেষ হয়েছে সাড়ে তিনটার সময়। এরপরে আমি খেয়ে এসে বসলাম তারপরে আসরের আযান দিলাম।
নামাজ পড়ে উঠে দেখি সাহেব আসছে তারপর তাকে দুপুরের খাবার খেতে দিলাম। খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলোআর ফোন ব্যবহার করে। এদিকে আমি মেয়ের সঙ্গে ওর মাদ্রাসা যাই। ওকে দিয়ে আসাও যাবে আর নিচে গিয়ে একটু হাঁটাচলা করতে পারব।
ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ হাটলাম বসলাম তারপর দেখি সন্ধ্যা হয়ে গেল, মাগরিবের আজান দিয়ে দিলো বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে হাত মুখ ধুয়ে ওজু করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ দোয়া দরুদ পড়ে বসলাম তারপর দেখি সাহেব নিচে গিয়ে গরম ভাপা পিঠা নিয়ে এসেছে। এরপরে খুব মজা করে গরম গরম ভাপা পিঠা খেলাম।
গরম গরম পিঠা খেয়ে শরীরটা গরম করে পোস্ট লিখতে বসি। খুব তাড়াতাড়ি করে আজকের পোস্টটা লিখে ফেলি তারপর ছেলেকে নিয়ে পড়তে বসাই । ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়ালাম তারপর আবার রান্না ঘরে যাই। কারণ আজকে সাহেব খিচুড়ি রান্না করবে। সে নিজে থেকেই বলেছে রাতে ভাত রান্না করতে হবে না আমি তোমাদের খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াবো।
তারপর আমিও বললাম আচ্ছা ঠিক আছে দেখি তোমার হাতের রান্নার স্বাদ নিয়ে দেখি। এরপরে রান্না হলে ছেলেকে রাতের খাবার খেয়ে দি, এর মধ্যে মেয়েও মাদ্রাসা থেকে আসে ওকেও রাতের খাবার খেতে দেই। তারপর দুই ভাই বোন মিলে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরে আমিও ওদের সঙ্গে শুয়ে যাই।
যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)