Better Life With Steem || The Diary game || 15/09/2024

in hive-120823 •  4 months ago 
1000149009.jpg

প্রিয় বন্ধুরা,আমার পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম, আশা করি সকলে আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুবই ভালো আছি। বন্ধুরা আমি প্রতিদিন আপনাদের ডাইরি গেম ছাড়া আর কোন কিছুই লেখা উপহার দিতে পারছি না। কারণ আমি কোন কিছুই সহজে বানিয়ে বানিয়ে লিখতে পারিনা, আর যদি কিছু দেখে বানিয়ে লিখতে যাই তাহলে মনের ভিতরটা একটা ভয়ের কাজ করে। তাই মনের ভিতরে ভয়ের কাজটা না রেখে নিজের নিত্যদিনের কাজকর্মগুলো শেয়ার করতেই খুবই ভালো লাগে।।


বুঝতেই পারতাছিলাম না আজকে সকালে কয়টার সময় ঘুম থেকে উঠেছি ফোনটাও কাছে ছিল না। তাছাড়া দুই-তিন ধরে খুব বৃষ্টি আর বাতাস, যার কারণে ঘুমটা খুব ভালো হয়। যাইহোক প্রতিদিনের মতোই উঠে পড়ি কারণ অভ্যাস হয়ে গেছে ওই সময়টা উঠতে। এরপর ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি ৬ঃ৫ বেজেছে, তারপর মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য মেয়ে ঝটপট করে রেডি হয়ে মাদ্রাসায় চলে গেল।

1000148987.jpg

আমি মেয়েকে জাগিয়ে দিয়ে আবার ঘুম পড়েছি, ভাবতে ছিলাম একটু শুয়ে থাকি কিছুক্ষণ পর উঠবো ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে যাই। যাইহোক এরপর সকাল সাড়ে সাতটার সময় উঠি, উঠে আগে হাতমুখ ধুয়ে মেয়ের জন্য নাস্তা বানিয়ে তারপর আমাদের গুলা বানায়। মেয়ের জন্য বানিয়েছি পাউরুটি দিয়ে তার ভিতরে ডিম এবং সস এই খাবারটা কি বলে আমি জানি না, কিন্তু দেখতে একটু বাজে হয়েছে পুড়ে গেছে। মেয়ের জন্য ওই খাবারটা বানিয়ে তারপর আমাদের জন্য পাঁচ ছয় পিস পাটিসাপটা পিঠা বানালাম।

পিঠা এবং মেয়ের খাবার বানানো হয়ে গেলে তারপর ওর খাবার দিয়ে আসি। আমি মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসে দেখি ছেলে আমাকে না পেয়ে অনেক কান্না করছে ওর বাবা অনেক আদর করছে তাও থামছে না। আমি এসে বুকে জড়িয়ে ধরা মাত্রই কান্না থেমে গেল। কান্না থামার পর ছেলেকে সকালে নাস্তা খাইয়ে দিলাম।

1000148995.jpg

ছেলে সকালে খাওয়া দাওয়া হয়ে গেল এবং সাহেবও সকালে নাস্তা করে বেরিয়ে পড়ল তারপর দুপুরে রান্নার কাজে লেগে পরি। আজকে রান্না করতে একটু লেট হয়ে গেল আবহাওয়ার দিকে তাকালে মনে হয় মাত্র সকাল দশটা বেজেছে। ঘড়ির দিকে না তাকিয়ে আবহাওয়ার দিকে তাকিয়ে রান্না করতে গিয়েছি তাই একটু লেট হয়েছে। আজকে দুপুরে রান্না করলাম কচুর মুখী, আর করলা বাজি, রান্না শেষ করতে দুপুর ১:৩০ টা বেজে গেল।

যাইহোক রান্না শেষ হওয়ার পর কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিলাম। আমি বিশ্রামের মাঝে মেয়ে ছেলে ওরা গোসল করাতে গেল। মেয়ে বলে আম্মু প্রতিদিন তুমি ভাইকে গোসল করিয়ে দাও আজকে আমি একটু গোসল করিয়ে দি। তারপর আমি আর না বলিনি কারণ আজকের রান্না করতে অনেকটাই লেট হয়ে গেল তাই ওকে গোসল করালে কিছুটা সময় আমার বাঁচবে। যাক এরপর ছেলের গোসল করা হয়ে গেলে ওকে জামা প্যান্ট পরিয়ে দিয়ে আমি গোসল করে আসি। আর মেয়ের সাথে সহজে গোসল করতে দেইনা ওর সঙ্গে গোসল করতে গেলে অনেকক্ষণ গোসল করে আর পানি নিয়ে খেলতে থাকে।

1000149000.jpg

সবার গোসল করা হয়ে গেলে মেয়ে ছেলে ওরা বসে থাকে তারপর আমি জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসছি আর এদিকে মেয়ে ঠান্ডা আবহাওয়া পেয়ে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। তারপর আমি আর ডেকে তুলে নিয়ে কারণ সকাল ৫:৩০ টার সময় উঠে মাদ্রাসায় যেতে হয় ঘুমানোর সময় পায়না। আর প্রতিদিন খাওয়া দাওয়া করে বিকালের সময় ঘুমায় কিন্তু আজকে অন্য টাইমে ঘুমিয়ে পড়ল। ছেলের ভাত খাওয়া শেষ হলে আমি দুপুরের খাবার খেলাম।

খেয়েদেয়ে কিছুক্ষণ পর আমিও ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এতটা গভীর ঘুম দিয়েছি যে আসরের আজান শুনতে পাইনি আর নামাজও পড়তে পারিনি। সন্ধ্যা ছয়টার সময় উঠেছে উঠে সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিয়ে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দিই। এতটা তাড়াতাড়ি গেছে যে কিছু খাবারও খেয়ে যেতে পারেনি। আর এদিকে ছেলে নাক টেনে ঘুমোচ্ছে আজান দিয়েছে তখনও ওঠেনি।

মাগরিবের আজান দেওয়ার পর তাড়াতাড়ি করে ওযু করেন নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ নামাজের পার্টিতে বসে দোয়া দরুদ পড়ি। প্রায় ১০-১৫ মিনিট মতো দোয়া দরুদ পড়ে উঠে যাই। তখনো ছেলে ঘুম থেকে উঠেনি আর আমিও উঠেনি আমি নামাজ পড়ে সঙ্গে সঙ্গে পোস্ট লিখতে বসি।এরই মধ্যে কে জানি দরজার নক করে দরজা খুলে দেখি নিচতলার একটা আপু এসেছে এবং তার ছেলে হয়েয়ে তার জন্য সবাইকে মিষ্টিমুখ করাতে এসেছে।

1000149007.jpg

এরপর আপুর সাথে দাঁড়িয়ে দুই এক মিনিট কথা বলি, এর মধ্যে ছেলে ঘুম থেকে উঠে যায়। তারপর ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে সন্ধ্যায় খেতে দেই। সে বলছে আজকে কেক খাবে না হরলিক্স খাবে তাই এক গ্লাস হরলিক্স গুলে দিলাম। হরলিক্স তাও চুমুক দিয়ে খাবেনা পাইপ দিয়ে খাবে বলছে তাই ওর ইচ্ছা মতো ও খেলো।

ছেলে এদিকে খেতে লাগল তারপর আমি বাকি পোস্ট লেখাটা কমপ্লিট করি। এরপর পোস্ট লেখাটা শেষ করে ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়তে বসাই। ছেলেকে কিছুক্ষণ পরিয়ে তারপর রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে, আমি এশার নামাজ পড়ি এদিকে মেয়েও সাড়ে নটার সময় মাদ্রাসা থেকে এসে যায়। এরপর মেয়েকে তাড়াতাড়ি করে খেতে দি। যাইহোক এরকম করেই আজকের দিনটা পার করি সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি(( আল্লাহ হাফেজ))

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খাবারের একটা সুন্দর দৈনন্দিন কার্যক্রমে লেখা।
আপনার দৈনিক কার্যক্রমের লেখাগুলোর মধ্যে যে খাবারগুলো থাকে, এ খাবারগুলো আমার অনেক পছন্দ।
আমার মনে হয় , আপনার ছেলের সাথে খুব ভালো সময় কাটছে আপনার। প্রতিটা লেখার মধ্যেই আপনার ছেলের কথা দুই একবার আসে। দোয়া রইল এবং ভালোবাসা রইলো।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা দৈনিক কার্যক্রম আবারো উপহার দেওয়ার জন্য।

Screenshot_6.jpg
এটা দেখে মনে হচ্ছে মিষ্টি। যা হক মিষ্টি আমার খুবই প্রিয়। আমিও প্রতিদিন মিষ্টি খাই। আপনার দৈনিনন্দিন কাজের রুটিন খুবই ভাল। প্রতিটা মানুষের এভাবে রুটিন মাফিক চললে জীবনের একটা শৃৃঙ্খলা ফিরে আসে।

জি আপু এটা মিষ্টি। মিষ্টি আপনার খুব পছন্দ জেনে খুব ভালো লাগলো। আমি তেমন একটা মিষ্টি জাতীয় জিনিস পছন্দ করি না মোটামুটি না খেলেও চলে এরকম। ধন্যবাদ আপু খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্টি পরে।

Loading...