Better Life With Steem || The Diary game || 15/12/2024

in hive-120823 •  18 days ago  (edited)
1000152943.jpg

হ্যালো গায়েজ,,,

সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,

আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। তাই তো আর দেরি না করে আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে, আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক আজকের পোস্টের কার্যক্রম গুলো।


গতকালকের রাত্রের ঘুমটা ভালো হয়নি; তাই সকালে উঠেতে লেট হয়েছে সাড়ে সাতটার সময় উঠেছি। ওঠে হাতমুখ ধুয়ে সমস্ত রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে আবার ছেলের পাশে শুয়ে থাকি। তখনো কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি সবাই ঘুমাচ্ছে তাই কি করবো শুয়ে শুয়ে ফোন ব্যবহার করি।

1000152906.jpg

এরপর যখন দেখি সাড়ে আটটা বেজেছে আর শুয়ে ফোন টিপতে ইচ্ছা করছে না। তাই উঠে সোজা রান্নাঘরে চলে যাই সকলের জন্য সকালের নাস্তা বানাতে। আজকে সবার জন্য পরোটা বানিয়েছি এবং আমি নিজেও খেয়েছি। আমি খেয়ে সাড়ে দশটার ভিতর মেয়ের জন্য মাদ্রাসায় টিফিন নিয়ে যাই। ওখান থেকে এসে ছেলেকে খাইয়ে দি,আর এদিকে সাহেব সকালের নাস্তা করে সাড়ে নয়টার ভিতরে দোকানে গেল।

1000152942.jpg

আমি ছেলেকে সকালের নাস্তা খাইয়ে দিয়ে আবার অন্য কাজে লেগে বলি, মানে দুপুরে রান্নার কাজে। আজকে দুপুরের রান্নাটা শুরু করেছি এগারোটার ভিতরে,চুলার একপাশে ভাত রান্না বসিয়ে দিয়ে অন্য পাশে মাছ ভাজতে শুরু করি। আমার মাছ ভাজা হলে ভাবী এসে মাছের জন্য তরকারি কেটে মাছ রান্নাটা শুরু করে দিল।

1000152910.jpg

আমি আবার অন্যদিকে করলা কাটতে বসেছি, প্রথমে করলা গুলো ভাবিকে কাটতে দিয়েছিলাম সে এত মোটা মোটা কাটে যে এক পিস দিয়ে তিন পিস বানানো যাবে। আজকের করলা গুলো হলো তিতো করলা যদি মোটা মোটা কাটে তাহলে আরো তিতো লাগবে তাই আমি সুন্দর করে পাতলা পাতলা করে কেটে নিলাম। সবকিছু হয়ে গেলে তারপর করলা রান্নাটা বসিয়ে দিলাম।

রান্না ভিতরে আমি ছেলেকে গোসল করিয়ে দি,ছেলেকে গোসল করিয়ে ঠিক মতন রেখে তারপর আবার রান্না ঘরে আসি এদিকে ততক্ষণে আমার রান্না গুলো হয়ে যায়।

1000152923.jpg

তারপর আস্তে আস্তে রান্না ঘরের সবকিছু গুছিয়ে রেখে এবার আমি গোসল করতে চলে যাই। গোসলটা সেরে জোহরে নামাজটা পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে ২ঃ০০ টার ভিতরে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে বসি। ছেলের ভাত খাওয়া শেষ হতে তিনটার মতন বেজে গেল। তারপর আমি খেয়ে নিলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে উঠে বিছানায় গিয়ে একটু বসলাম এর মধ্যেই সাহেব এসে যায় তারপর তাকেও খেতে দিলাম।

সাহেব রেস্ট নিচ্ছে ততক্ষণ আমি ছেলেকে ঘুম পাড়ালাম এবং ওর সঙ্গে আমি কিছুক্ষণ ঘুমালাম। এরপর যখন শুনি আসরের আজান দিচ্ছে আর ঘুমালাম না উঠে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে খুব দূর থেকে দেখছি বিয়ের অনুষ্ঠান মানে বরপক্ষ এসেছে, সবাই গেট আটকাইছে তাই দূর থেকে কিছুটা দেখলাম।

1000152938.jpg

একটু পরে মাগরিবের আজান হলো আজান শেষ হওয়া মাত্রই মেয়েকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি ওখান থেকে এসে নামাজ পড়ে। নামাজ পড়ে উঠলাম এদিকে ছেলে বলে বিস্কুট খাবে। তাই ছেলেকে বিস্কুট দিয়ে বসিয়ে রেখে আমি একটু রান্নাঘরে গেলাম। ধনেপাতা এবং কাঁচামরিচ দিয়ে কয়েকটা চাপটি বানিয়ে নিলাম। চাপটি গুলো খেতে বেশ মজা হয়েছে খুব কড়া করে জাল দিয়েছি তাই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এরপর আর কি করবো পোস্ট লিখতে বসে পড়ি। যাইহোক আজকের মতো লেখা এখানেই শেষ করতে চাই আল্লাহ হাফেজ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...