হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। তাই তো আর দেরি না করে আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে, আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক আজকের পোস্টের কার্যক্রম গুলো।
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেলাম। তবে আজকে দিনটা খুব ভালোভাবেই কেটে গেল। আজকের সকালটা শুরু হয় ছয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে ওযু করে ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ দোয়া দরুদ পরে কিছুক্ষণ বাদে রান্না ঘরে চলে যাই।
সবার জন্য সকলের নাস্তা বানিয়ে আমি কিছু কাজে লেগে পড়ি। আর কাজটা হলো সকাল সকাল আমাদের রুমটা ঝাড়ু দিয়ে মুছে ফেলি। এরপর দেখি একে একে করে সবাই ঘুম থেকে উঠে গেল, তারপর সকালে মিলে একসাথে বসে নাস্তা করি।
সকালের নাস্তা খেয়ে আর বসে থাকেনি, সঙ্গে সঙ্গে রান্না ঘরের দিকে চলে যাই। আগে মাছ ভিজিয়ে রেখে তারপর বাকি সবজি গুলো কাটতে শুরু করি।
আমার সবজিগুলো কাটা এবং দোয়া হয়ে গেলে, তারপর মাছগুলো ভাজতে শুরু করি। রান্নার ভিতর আমার ছোট বোনে ভিডিও কল দিলো তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। তারপর ওর শ্বশুর বাড়ি খোঁজখবর নিলাম তারা সবাই কেমন আছে । বোনের সাথে কথা বলতে বললে এদিকে আমার মাছ ভাজা সম্পন্ন হয়ে গেল তারপর মাছ রান্নাটা বসিয়ে দিলাম।
এদিকে রান্নার মধ্য ছেলে এসে বলে আম্মু আমি চিনি পরোটা খাব। আসলে ছেলেকে নিয়ে আমি পারলাম না চিনি পরোটার খাওয়ার কি যে রুচি পেয়েছে বুঝতেই পারি না। সকাল হলে চিনি পরোটা দুপুর হলে চিনি পরোটা এবং সন্ধ্যার সময়ও বলে। তবে বেশি একটা না দেওয়ার চেষ্টা করি। এমনিতেই ওর গ্যাসের সমস্যা বেশি একটা ভাজা পোড়ে জিনিস খেলে ওর পেট ব্যাথা করে।
তাই কোনরকম বুজিয়ে শুনিয়ে দুপুরের পরোটা বানিয়ে দিলাম না অন্য একটা কিছু খেতে দিলাম। যাইহোক মাছ রান্না শেষ করে তারপর সবজি রান্না করি। সাড়ে এগোরার ভিতর রান্নাবান্না সবকিছু হয়ে গেল তারপর ১২:০০ টার ভিতরে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম এবং আমিও গোসল করে নিলাম। এরপর জোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম।
সাহেব আজকে বাসায় ছিল তাই তাড়াতাড়ি করে দুপুরের খাবার খেয়ে দেড়টার ভিতরে ঘুমিয়ে পড়ল। আমার ভাত খেতে খেতে তিনটা বেজে গেল তারপর আমিও খেয়ে ঘুমিয়ে যাই। বিকেলে গভীর ঘুমে গেছিলাম তাই আসরের নামাজটা পড়তে পারেনি উঠে দেখি মাগরিবের আজান দিচ্ছে তাই তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ি।
সাহেব সন্ধ্যার সময় বাহিরে গেছিলো ছেলে মেয়ের জন্য এক বক্স কোকোলা এনেছে আর আমাদের জন্য পানি ফুচকা আনলো। তবে নিজে থেকে আনেনি খুব জোর করেছি তারপর এনেছে। সাহেব বলে তোমাদের ফুচকা খাওয়ার কোন টাইম থাকে না। যদি ফুচকা খাওয়ার কারনে পেটে সমস্যা হয়। তাহলে কিন্তু ওষুধ এনে দিতে পারবো না। তারপর আমি বলি খেয়েদেয়ে কামাই মেয়ে বাঁচলে জামাই আগে খেয়ে নি, এরপর বাকিগুলো দেখা যাবে।
খেয়ে দেয়ে পোস্ট লিখতে বসি। পোস্ট লেখা হয়ে গেলে, তারপর ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসাই।পড়ানো শেষ করে ৯ টার ভিতরে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি, মেয়েও মাদ্রাসা থেকে এসে যায় ওকেও খেতে দিলাম। ছেলে- মেয়ের খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে তারপর ওদেরকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। এরকম করে আজকে দিনের মুহূর্তগুলো পার করি এখানে লেখা আছে শেষ করতে চাই (আল্লাহাফেজ)
আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগল। দিনের প্রতিটি মুহূর্তে আপনার সুরুচি, ভালোবাসা এবং যত্নের ছাপ স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আপনার কাজগুলো যেমন আপনার পরিবারের প্রতি ভালোবাসা এবং যত্নের পরিচায়ক, তেমনই আপনার শৃঙ্খলা এবং দায়িত্ববোধও চোখে পড়ে। ছোট বোনের সাথে কথা বলা, ছেলের খাওয়া-দাওয়া, এবং পরিবারের প্রতি আপনার এই অসীম যত্ন সত্যিই প্রশংসনীয়।
খাবারের ব্যাপারে ছেলের চাহিদা এবং তার স্বাস্থ্য বিষয়েও আপনার সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পোস্টটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে, পরিবারের জন্য ভালো কিছু করার মাঝে শান্তি এবং তৃপ্তি লুকিয়ে থাকে।
আল্লাহর রহমতে আপনার দিনটি সুন্দরভাবে কেটেছে, আর আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে সবসময় সুখী ও সুস্থ রাখুক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু প্রথমে আপনাকে থ্যাঙ্ক ইউ বলতে চাই, আমার লেখাটি আপনি খুব ধৈর্য এবং যত্ন সহকারে পড়েছেন। তাই এতো সুন্দর একটা কমেন্ট করেছেন। সত্যিই আপনার কমেন্টা খুব প্রশংসানিও ; ঠিক বলেছেন আপু আমি সারাদিন স্বামী ছেলে মেয়ে ও সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তবে আমি একানয় প্রত্যেকটা মেয়ে বিয়ের পর এগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকে। ধন্যবাদ।।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit