হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। তাই তো আর দেরি না করে আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে, আজকের পোস্টা লিখতে বসেছি বিকাল চারটা ২০ মিনিটে । আজকে দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুম আসছিল না তাই বসে না থেকে কোন ভিডিও না দেখে তাই পোস্টটা লিখতে শুরু করি। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক আজকের পোস্টের কার্যক্রম গুলো।
সকাল ছয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে গেলাম, আগে মেয়েকে মাদ্রাসা দিয়ে এসে তারপর ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে দোয়া দরুদ পড়ে এরপর এক গ্লাস তোকমার পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়ি। তারপর সাড়ে আটটার সময় উঠি, উঠে আগে সমস্ত রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে রান্না ঘরে গেলাম তারপর বাসার সবার জন্য রুটি বানাই।
রুটি বানানো হলে কালকে রান্না মুরগির মাংস এবং ঝোল দিয়ে সবাই রুটি খেলাম। সাহেব সকালের নাস্তা খেয়ে সাড়ে দশটার ভিতরে মার্কেটে চলে গেল। এদিকে ছেলেকে খাওয়ালাম মেয়ের মাদ্রাসাতে দিয়ে আসলাম। সব শেষে তারপর আমি খেলাম, খেয়ে বিছানাটা গুছিয়ে তারপর রান্নার কাজে হাত লাগাই। তবে আমি ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিছানা গুছাতে পারি না ছেলে শুয়ে থাকে ছেলের বাবা থাকে। সবাই উঠে যাওয়ার পর তারপর সবকিছু গুছিয়ে রাখি।
আজকে রান্না করতে গিয়ে চিন্তায় পরে গেলাম কি রান্না করব। ফ্রিজে কোনো মাছ মাংস নেই এবং সবজিও শেষ, ভাইয়া সকাল ছয়টার সময় অফিসে বেরিয়ে পড়ে সাহেবও আজকে তাড়াতাড়ি গেল। তাই ভাবনা ছাড়াই ডাল ভুনা করি আর সিম আলু ডিম দিয়ে একটা সবজি বানাই।
এরপর রান্নাবান্না শেষ করে মা ছেলে গোসল করে নিলাম; তারপর জোহরের নামাজ পড়ি এমনকি আজকে ছেলে আমার সঙ্গে নিজের ইচ্ছা করে আমার সঙ্গে নামাজ পড়েছে। মা ছেলে নামাজ-কালাম পড়ে তারপর দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। আমরা খেতে খেতে সাহেবও চলে আসে তারপর তাকেও খেতে দিলাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে আমরা সবাই শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।মেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ছেলেকে আর ঘুম পড়াতে পারিনি, এরপর কিছুক্ষণ বাদেই আসরের আজান দিলো নামাজ পড়ি। আসরের নামাজ পড়ে আর অন্যদিকে সময় কাটাইনি সোজা পোস্ট লিখতে বসেছি।
পোস্টটা অর্ধেক টুকু লিখে রেখে দিয়েছিলাম। তারপর মাগরিবের আজান দেয় ওযু করে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে বাবা ছেলেকে সন্ধায় নুডুলস রান্না করে দি, ছেলেকে আমি খাইয়ে দিলাম তারপর আবার বাকি পোস্ট লেখা শুরু করি। পোস্ট লেখার মধ্যে ভাত রান্না বসিয়ে দেই; এরপরে পোস্ট লেখা সম্পূর্ণ করে এশার নামাজ পড়তে পড়তে এদিকে আমার ভাত রান্নাও হয়ে যায়। তারপর ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি। এইতো এরকম করে আজকের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দিনের মুহূর্তগুলো পার করি এবং খুব সুন্দর করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম (আল্লাহ হাফেজ)