আলহামদুলিল্লাহ আবারো খুব সুন্দর একটি দিনের আলো দেখতে পেলাম। আমার প্রিয় বন্ধুরা, আবারও আপনাদের মাঝে আমার আজকের ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন এবার শুরু করি আজকের আমার দিনটা কি রকম ভাবে কেটেছে সম্পূর্ণরূপে আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
রাতে ঠিক মতন ঘুমোতে পারিনি আবার সকাল বেলা সাড়ে পাঁচটার সময় উঠেছি, চোখে যে এতটা পরিমাণ ঘুম তা নিজেও বুঝতে পারছি না। ঘুম ঘুম চোখে রান্না ঘরে গিয়ে প্রায় হাফ কেজি চালের ভাত বসিয়ে দিলাম। কিছু ভাত ভাইয়াকে ভাত ডিম মসলা করে দিব আর বাকি ভাতগুলো আমি আর ভাবি সকালে খাবো। ভাবি আসার পর থেকেই প্রায় আমরা দুজনের সকাল বেলা নাস্তা বেশি একটা না খেয়ে ভাত খাই।
ভাতটা বসিয়ে দিয়ে আমি আবার শুয়ে থাকি । ভাবি তখনও ওঠেনি আর আমি উঠাইনি যাক মশলা ভাত রান্না করব তাতে আর কি উঠাবো। এরকম ভাবে ভেবে আমি শুয়ে থাকি। কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে সজাগ ছিলাম তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ি। সেই ঘুম থেকে প্রায় 40 মিনিট পর উঠি তাও ভাতের পোড়া গন্ধ নাকে পেয়ে। গন্ধ পাওয়াটা সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙ্গে যায় তারপর রান্না ঘরে গিয়ে গ্যাসটা অফ করে দিই। তারপর যা দেখতে পাই পাতিলের তলাটা পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে আর ভাত গুলো লাল হয়ে গেছে।
এদিকে প্রায় সাতটা বেজে গেছে আর ভাত গুলো পুড়ার কারনে ভাইয়াকে সকালে কোন নাস্তা দিতেও পারেনি। ভাইয়া নাস্তা না নিয়ে চলে গেল।
ভাইয়া যাওয়ার পর আবার আমি শুয়ে পরি তারপর প্রায় এক দেড় ঘন্টার মতন ঘুমাই। এরপর আবার সেই ঘুম থেকে উঠে আবারো রান্না ঘরে চলে যাই, গিয়ে সকলের জন্য নুডুলস রান্না করি। নুডুলস রান্নার পর মেয়েকে টিফিন দেওয়ার জন্য মাদ্রাসায় যাবো এরই মাঝে মেয়ে মাদ্রাসা থেকে এসে পড়ে। আর আসার কারণ হলো প্রচন্ড জ্বর উঠেছে যার কারণে ওর টিচার বাসায় পাঠিয়ে দিল। শরীরে হাত দিয়ে দেখি এতটা পরিমাণ জ্বর উঠেছে সঙ্গে সঙ্গে এসে শুয়ে পড়ে।
অনেকক্ষণ বাদে মেয়ের কাছে আসলাম দেখি খাবার খাওয়াতে পারলে ওষুধ খাইয়ে দিব। তারপর কোনরকম করে কয়েক চামচ নুডলস খেয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলাম। এদিকে সব ঠিকঠাকভাবে রেখে তারপর গেলাম দুপুরের জন্য রান্নাবান্না করতে। এরপর আস্তে আস্তে করে রান্নাবান্নার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্নাবান্না করাটা শেষ করি।
রান্না শেষ হলে তারপর সাহেবের কিছু প্যান্ট এবং গেঞ্জি ধুয়ে মা ছেলের গোসল করে আসি। গোসল করে এসে নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিই। এরপর আমি খেলাম খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে সাহেব এসে পললো খাবার খেতে । সাহেব কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর সে গোসল করে দুপুরে খাবার খেলো, সে খাওয়ার সময় মেয়েকে খাইয়ে দিলো।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে পারিনি কারণ কিছুক্ষণ পর ভাইয়া আসে আবার সাহেব আসে দরজা খুলতে খুলতে চোখের ঘুম ভেঙে যায়। এরপর ঘুমোতে আর না পেরে কিছুক্ষণ বাসার ভিতর হাঁটাচলা করি আর ভাইয়ার ছেলের সাথে দুষ্টুমি করি।
বাবুর সাথে দুষ্টুমি করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তারপর হাত মুখ ধুয়ে অজু করে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে ছেলে মেয়েকে সন্ধ্যায় কিছু খাইয়ে দি আর এদিকে ভাবি রান্না করা ভাত দিয়ে কি একটা খাবার বানাচ্ছে আর খাবারটা যতটা পরিমাণ লাল দেখতে পারছেন সম্পূর্ণ মরিচ দিয়েছে হলুদ ব্যবহার করেনি আর সাথে সেদ্ধ ডিম আর সেদ্ধ আলু। সে আমার তুলনায় এত পরিমাণ যে ঝাল খায় আমি দেখে অবাক 😯সে আমার সামনে এই খাবারটা আনার পর আমি দু চামচ খেলাম তারপর মুখ থেকে টলটল করে ঝালের কারণে পানি পড়ছে।
যাইহোক কিছুক্ষণ ভাবি রুমে সময় কাটিয়ে আবার আমার রুমে এসে পড়ি। এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর আজকের পোস্ট লিখতে বসি। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
রাতে যদি ভল মতো ঘুম না হয় তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠা কত যে কষ্টের সেটা মাঝে মাঝে আমি টের পাই। আমারে জায়গা থেকে আমি বলব রাতে দ্রুত ঘুমাতে গেলে ঘুমটা ভালো হয় এবং সকালে খুব সহজে ওঠা যায়।
আপনার একটি দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন এর জন্য জানাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit