Better Life With Steem || The Diary game || 25/12/2024

in hive-120823 •  8 days ago 
1000153252.jpg

হ্যালো গায়েজ,,,

সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,

বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। প্রথম সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আবার সুন্দর একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম। তাই তো আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি। তাই আর দেরি না করে আজকের ডাইরি গেমটা লেখতে বসলাম।


তবে আজকের পোস্ট লিখতে বসলাম আসরের নামাজ পড়ে তখন ঘড়ির কাটায় বাজে চারটা ৩০ মিনিট। শীতের বিকাল আসরের নামাজ পড়ে উঠতে না উঠেই মাগরিবের আজানের সময় হয়ে যায়। যাই হোক আজকের সকালটা শুরু হয় ভোর ৫:৪৭ মিনিটে, আমি উঠে আগে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম মেয়ে ওঠে মাদ্রাসা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিল আমি ওকে মাদ্রাসা দিয়ে আসলাম।

1000153232.jpg

ওকে মাদ্রাসায় দিয়ে এসে বাসায় এসে পাঁচটা পঞ্চান্ন মিনিটে ফজরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে নামাজের পার্টিতে ৫ মিনিটের মতন দোয়া পড়ে তারপর আবার শুয়ে থাকি। এরপরে আবার উঠি সাড়ে আটটার সময় ছেলেও আমার সঙ্গে ওঠে যায়। তারপর ছেলেকে হাত- মুখ ধুয়ে দিয়ে, হাতে এক প্যাকেট এনার্জি বিস্কুট ধরিয়ে দিয়ে আমি সোজা রান্না ঘরে চলে যাই।

প্রথমে ছেলে মেয়ের জন্য পরোটা বানিয়ে তারপর আমাদের জন্য রুটি বানাই। আমার রুটি বানানো শেষ হতে না হতেই সাহেব ঘুম থেকে ওঠে যায়, সে মুখ হাত ধুয়ে এসে বসে তারপর তাকে খেতে দিলাম। সাহেবের খাওয়া হলে সোজা বাজারে চলে যায়।

1000153236.jpg

এরপরে আমি মেয়ের মাদ্রাসা যাই মেয়ের জন্য সকালের টিফিন নিয়ে। সেখান থেকে এসে ছেলেকে খাইয়ে দিলাম আর আমিও খেলাম। আমি নাস্তা খেয়ে উঠেই দেখি সাহেব বাজার থেকে এসে পরেছে। কি সুন্দর টাটকা- টাটকা শাক ও সবজি এনেছে আমার তো এগুলো দেখে খুব ভালোই লেগেছে।

1000153245.jpg

এরপর যখন দেখি সাড়ে ১০টা বেজেছে আমি রান্না ঘরে যাই প্রথমে ভাত রান্না বসিয়ে দিয়ে শাক - সবজি কাটতে বসে পরি। রান্না করার সবকিছু কাটা হলে তারপরে রান্না করা শুরু করি। এদিকে আবার শুনি দরজার কে যেনো নক করছে, তারপরে গিয়ে দেখি ভাইয়া ভাবি এসেছে।

তাদেরকে দেখে আমি একটু ওবাক 😯হলাম। ওবাক হওয়ার কারন হলো তারা ২৩ তারিখ তাদের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। আর বলে গেছে আসতে দেরি হবে, কারন ভাইয়া ওফিসে প্রায় ২২-২৩ দিনের মতো ছুটি পেয়েছে তাই তো বেড়াতে গেছিলো। আবার শুনেছি তার ভাইয়ের বউ ২৪ তারিখে উঠিয়ে আনবে বড় করে বিয়ের আয়োজন করবে। তার ভিতরে এতো তারাতাড়ি চলে এসেছে বুজতেই পারলাম না। আমি তাদেরকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি, হয়তো কোনো সমস্যা হয়েছে তাই তারাতাড়ি আসলো।

1000153248.jpg

যাইহোক আমার রান্না- বান্না সাড়ে ১২ টার সময় শেষ হলো। এরপরে ছেলকে গোসল করিয়ে দিলাম, আমিও গোসল করে নিলাম। তবে আজকে গোসল করে আসতে বড্ড দেরি হয়ে গেল ; কতো গুলো কাপড়-চোপড় ধুইলাম তার জন্য, গোসল করে এসে সঙ্গে- সঙ্গে নামাজ পড়তে দাঁড়িয়ে গেলাম।

নামাজ পড়া শেষ করে ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসি। ছেলেকে খাওয়ানো শেষ করে তারপরে আমরা খেতে বসি। এইতো দুপুরের খাবার খেয়ে উঠতে না উঠতেই আসরের আজান দিয়ে দিলো। এরপরে আসরের নামাজ পড়ে পোস্ট লিখতে বসে যাই। তারপরে আবার চাচাতো বোন ফোন দিলো ওর সাথে কথা বলি।

এইতো এই রকম করে বিকেল টা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করতে চাই, আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের খুব ভালো লাগবে। (আল্লাহ হাফেজ)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

it is great to know about your food in your city..

Loading...

মাশা'আল্লাহ আপু, আপনার পোস্টটি পড়ে মন ভরে গেল। আপনার দিনযাপনের বর্ণনা এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যে মনে হলো আমি যেন আপনার সাথেই ছিলাম।

আল্লাহ আপনার পরিবারকে সবসময় সুখে-শান্তিতে রাখুন। আর এমন সুন্দর পোস্টের অপেক্ষায় থাকব। সব সময় ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

বিয়ের পর সব মেয়েদেরই কাজ ঘুম থেকে উঠেই সংসারের সমস্ত কাজকর্ম থাকা হাতে সামলানো। শীতকালের বেলা সমস্ত কাজ করতে করতে কখন যে সময় পেরিয়ে যায় বোঝা যায় না। আপনি সারাদিন কি খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছেন। সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রতিদিনের মতোই আজকের দিনটাও বেশ ব্যস্ততায় কেটেছে, আর এমনটাই কাটবে একজন সাংসারিক মেয়ের জীবনে। আমরা এমনই অবাক হই যখন কেউ হঠাৎ করে চলে আসে,,।

আপনি বেশ সুন্দর করে সালাত তৈরি করতে পারেন যেটা দেখে অনেকটা লোভনীয় লাগছিলো।।