হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। প্রথম সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আবার সুন্দর একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম। তাই তো আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি। তাই আর দেরি না করে আজকের ডাইরি গেমটা লেখতে বসলাম।
শীতের সকাল বেলা ভোরে ঘুম থেকে উঠতে একটু কষ্ট হয়। বিছানা কম্বল ছাড়তে ইচ্ছা করে না মনে হয় ফুটবলের মতন গোল হয়ে কম্বলের ভিতরে থেকে যাই। তারপরও না উঠে পারা যায় না, সকাল সকাল উঠতে হয় উঠে ফজরের নামাজ আদায় করি।
এদিকে মেয়ে উঠে যায় সেই সকাল ছয়টার সময় মাদ্রাসায় চলে গেল। আমিও উঠে ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি তারপর নটার সময় উঠি। আজকে সকালে নাস্তা বাড়াতে ইচ্ছা করছিল না। তবে ঠিক আমি যদি একলা থাকলাম তাহলে না বানিয়ে পারতাম। তবে না বানিয়ে কোন উপায় নেই স্বামী মেয়ে -ছেলে তাদের জন্য তো কিছু না কিছু বানাইতেই হবে।
চিনি পরোটা বানিয়ে দিলাম, রুটি বানাতে গেলে সবজি নয় তো কোনো কিছু করতে হবে তাই তাড়াতাড়ি করে চিনি পরোটা বানিয়ে দিলাম ভাজি ছাড়াই খেতে পারবে।
তাদের জন্য পরোটা বানিয়ে রেখে তারপর আমি কিছু কাজ সেরে নিলাম। যেমন, বিছানার চাদর বালিশের কাভার সাহেবের কিছু শীতের পোশাক ধোয়ার জন্য বাথরুমে সেগুলো ভিজিয়ে রেখে তারপরে সব রুম গুলো ঝাড়ু দিয়ে পানি দিয়ে মুছে নিলাম।
ওই কাজগুলো করা শেষ হলে তারপর গেলাম রান্না ঘরে রান্না বসাতে। যা যা রান্না করো তা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একে একে সব কিছু রান্না করতে শুরু করে দিলাম। আজকের রান্নাটা বেশ তাড়াতাড়ি হয়ে গেল, রান্না শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। এরপর পেলাম আমি বাথরুমে প্রথমেই কাপড়চোপড় গুলো ধুয়ে নিলাম ধুতে বেশ সময় লেগেছে তারপর আমি গোসল করে নিলাম।
গোসল শেষ করে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর ছেলে মেয়েকে দুপুরে খাবার খেতে দিলাম। মেয়ে তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পরলো আর এদিকে ছেলেকে নিয়ে আমি বসি আছি। কোন ভাবে খাওয়াতে পারছি না এক লোকমা মুখে নিলে মুখ বন্ধ করে রাখে কোনভাবেই খাওয়াতে পারছিনা। ছেলের খাওয়ানো শেষ করতে অনেকটা সময় লেগেছে, এমন কি আমি খেয়ে উঠেছি আর আসরের আযান দিল।
আযান দেওয়ার পর আর শুয়ে পরেনি, ওযু ছিল তাই নামাজটাও পড়ে নিলাম। নামাজ শেষ করে তারপর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি আর ফোন ব্যবহার করি। এদিকে দেখি সাহেব এসেছে আজকে খুব লেট করে বাসায় ফিরেছে। তারপর তাকে খেতে দিলাম সে খেয়ে উঠতে না উঠতেই মাগরিবের আজান দিল সে রুমে চলে গেল, তারপর আমি ওজু করে রুমের দিকে চলে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ি।
মাগরিবের নামাজ পড়ে উঠেছি তারপর দেখি কারেন্ট টাও চলে গেল ; আর এদিক আবার ছেলে বলছে ক্ষুধা লেগেছে সে নুডুলস খাবে। তারপর ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে ঝোল রেখে নুডুলস রান্না করে দিলাম। ইদানিং ধরে ছেলে ঝোল নুডুলস টা বেশি একটা পছন্দ করে।
ছেলেকে নুডুলস খাওয়াতে কারেন্ট টা এসে গেল। এরপরে ওর খাওয়া শেষ হলে আমি পোস্ট লিখতে বসি। পোস্ট লেখাটা সম্পূর্ণ করে ভাত রান্না বসিয়ে দিলাম এদিকে আমি এশার নামাজ পড়তে যাই। নামাজ পড়া শেষ হলে ভাত রান্না হয়ে গেলে তারপর ছেলে-মেয়েকে রাতের খাবার খাইয়ে দি। এইতো এরকম করে আজকের দিনটি অতিবাহিত করলাম এবং আপনাদের সাথে তা সম্পূর্ণরূপে শেয়ার করেছি।
আজকের মত লেখা এখানেই শেষ করতে চাই, আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের খুব ভালো লাগবে। (আল্লাহ হাফেজ)
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্টে মাধ্যমে জানতে পারলাম , সেই সকাল বেলা থেকে সংসারের কাজ করছেন এশার নামাজের পর্যন্ত। একটি মায়ের অনেক দায়িত্ব থাকে এই দায়িত্বগুলো আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। সারাদিন ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের সাথে সময় দেওয়া, এটা অনেক কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাশাআল্লাহ, আপনার দিনের প্রতিটি মুহূর্ত এত সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন! আল্লাহর রহমতে আপনার দিনটি ভালোভাবে কেটেছে এবং সব কাজ সুন্দর ভাবে শেষ করেছেন।
আপনার পরিবারে এমন শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু পরিবেশ দেখে খুব ভালো লাগলো। আল্লাহ আপনাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন এবং প্রতিটি দিন যেন আরও ভালো হয়। আমিন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে একা থাকলেও চুপচাপ বসে থাকা যায় না সকালবেলা নাস্তা হিসেবে কোন কিছু অবশ্যই বানাতে হয়। তবে যেহেতু পরিবার সঙ্গে রয়েছে তাদের জন্য কিছু না কিছু তো অবশ্যই করতে হবে। তবে আমি এই প্রথম আপনার পোস্টে চিনি দিয়ে তৈরি করা পরোটা দেখলাম। কিভাবে তৈরি করতে হয় অবশ্যই পরবর্তীতে একটা সময় একটা রেসিপি দিবেন।
বর্তমান সময়ে আপনার মেয়ের মতো করেই আমার ছেলে ছয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে মাদ্রাসায় চলে যায়। সকালে আরবি পড়ার জন্য আসলে তাদের জন্য আবার নাস্তা তৈরি করতে গেলে, সকালবেলা অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যায়। তারপরও আমরা মা তাদের জন্য অবশ্যই কিছু না কিছু তৈরি করতে হবে না করলে তাদের আবার সমস্যা হয়ে যাবে।
এই ধরনের নুডুলস অনেকেই তাদের বাচ্চাদের কে খাইয়ে থাকে। তবে আমার বাচ্চারা পানি থাকলে নুডুলস খেতে চায় না। তারা শুধুমাত্র তেলের উপর ভেজে দিলে খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। এটা আমিও পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit