Better Life With Steem || The Diary game || 27/10/2024

in hive-120823 •  25 days ago 
1000150754.jpg

হ্যালো বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার লেখা শুরু করি।


প্রথমে বলে রাখি আজকের দিনটা আমার খুব ব্যস্ত ভাবে এবং কাজের ভিতরে কেটে গেছে। সাহেব যদি অসুস্থ থাকি তাহলে সব কাজ বাদ দিয়ে তার কাছে সারাক্ষণ বসে থাকতে হয়। হয়তো হাত চেপে দাও মাথা টিপে দাও একটু চুল টেনে দাও এগুলো নিয়ে বসে থাকতে হয়। কালকে রাত আটটার সময় দোকান থেকে তাড়াতাড়ি চলে এসেছে প্রচুর জ্বর উঠেছে, বাসায় ঢুকে রুমে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুটো কম্বল এবং কাথা দিয়ে মুরো দিয়েছে।

এতটা পরিমাণে জ্বর উঠেছে যে সারা শরীর জ্বরে জিকে। সারা রাত তো তাকেই সময় দিলাম একটু শেষ রাতে ঘুমালাম তা আবার সকাল পাঁচটা বাজে উঠে গেলাম। আমি উঠে মুখ হাত ধুয়ে নিলাম তারপর মেয়ের জন্য ডিম সেদ্ধ দিয়ে ফজরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ডিমটা উঠিয়ে মেয়েকে দিলাম আর এক গ্লাস দুধ খাইয়ে গেল তারপর ওকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি।

1000150741.jpg

মেয়েকে দিয়ে আসার পর তারপর বাসায় এসে আমি প্রায় এক-দেড় ঘণ্টার মতো ঘুমাই। সেই ঘুম থেকে সকাল সাড়ে আটটায় উঠি, উঠে সঙ্গে সঙ্গে রান্না করার দিকে চলে যাই। রান্নাঘরে গিয়ে রুটি বানাতে শুরু করি তাও আজকে আটার ভিতরে অনেক পরিমাণ পানি বেশি পড়ে গেছে। তাও বেশি পানি পড়ে গেল কারণ তাড়াহুড়া কাজের কারণে এদিকে সাহেব ডাকতে ছেলে ডাকছে। তাদের দুজনের ডাকাডাকি তে এবং তাড়াতাড়ি কাজের কারণে এসব হলো। এরপর আর কি করবো ডোটে আরেকটু পরিমাণ আটা দিয়ে কয়েকটি রুটি বানালাম।

রুটি বানানোর সঙ্গে সঙ্গে আগে মেয়ের মাদ্রাসায় দিয়ে আসি। মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসে সাহেবকে জোর করে একটা রুটির অর্ধেক খাইয়ে দিয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলাম।তার খাওয়া শেষ হলে তারপর আমি খেলাম আর এদিকে ভাবিকে বলে রেখেছি আজকের রান্নাটা আপনি করে নিবেন হয়তো আমি রান্না ঘরে তেমন একটা সময় দিতে পারবো না। ভাবিকে এই কথা বলে আমি রুমে চলে গেলাম।

1000150746.jpg

অনেকক্ষণ হল ভাবী রান্নাঘরে যাচ্ছে না, সে খাচ্ছে এবং ছেলেকে খাওয়াচ্ছে তখন প্রায় বারোটা বেঁচে গেল তারপর আমি আর বসে থাকতে পারেনি, আমি আবার রান্না করে চলে গেলাম। আমি ভাতটা বসিয়ে দিয়ে তারপর মাছটা বাজতে শুরু করি তারপর ভাবি এসে বাকি তরকারি গুলো কেটে দেয়। সবজিগুলো কেটে ভাবি তার রুমে চলে যায় তার ছেলের ঘুম থেকে উঠেছে। তারপর আমি এদিকে আস্তে আস্তে রান্না করা গুলো শেষ করে নিলাম।

আমার রান্না বান্নার কাজগুলো শেষ করে তারপর সাহেবের সমস্ত শরীর পানি দিয়ে মুছে দিলাম। এসব কাজগুলো করে এরপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। গোসল করে এসে সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে বসি।

1000150752.jpg

ছেলের খাওয়া হয়ে গেছে তারপর আমি খেলাম। তারপর সাহেবকে কয়েক লোকমা জোর করে ভাত খাইয়ে দিয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলাম। আর এদিকে দুই দিন আগে ভাইয়া একটা পুটিন বানিয়ে ফ্রিজে রেখেছে তাই আজকে বের করে একটু খেলাম খেতে ভালো হয়েছে কিন্তু সেট করাটা তেমন ভালো হয়নি। ২ কেজি গরুর দুধ তিনটা ডিম সবকিছুই বেশি পরিমাণ দিয়েছে তারপরে জানিনা কি রকম জানি একটা দেখতে হয়েছে।

ভাত খাওয়ার পর অল্প একটু পুটিন খেয়ে তারপর ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। ছেলে ঘুমাতে চাইনি এক পর্যায়ে খুব জোর করে ঘুম করালাম এবং আমিও ঘুমিয়ে পরি । এরপর আবার বিকেল পাঁচটার সময় উঠি মেয়েকে উঠিয়ে দি মাদ্রাসায় চলে যায়।

1000150751.jpg

কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আযান দিলো অজু করে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে তারপর সাহেবকে খুব কড়া করে এক কাপ রং চা বানিয়ে দি। রং চা খাওয়ার আধা ঘন্টা পর আবার গরম গরম এক গ্লাস দুধ খেতে দি।সন্ধ্যা সব কাজ গুছিয়ে মোটামুটি একটু ফ্রি হয়ে তারপর আজকে ডাইরি গেম লিখতে শুরু করি। আজকের মতো এখানেই থাক সামনে আর লেখায় এগাবো না আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি (আল্লাহ হাফেজ)

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হঠাৎ করে সবার যেন জ্বর শুরু হয়েছে। আমার নিজেরও জ্বর হয়েছিলো তবে এখন সুস্থ। তবে আজ আবার আমার মায়ের জ্বর হয়েছে। আপনার হাসবেন্ডও জ্বরে আক্রান্ত আর জ্বর হলে সবার বায়না যেন বেড়ে যায়। আপনাকে সব সময় তার খেয়াল রাখতে হচ্ছে তার পাশাপাশি সংসারের সকল কাজ করতেও হচ্ছে। নিজের পরিবার সেটা একান্তই আপনার। ভালো থাকবেন।

Loading...