Canva Edit
আলহামদুলিল্লাহ আবারও আপনাদের মাঝে চলে এসেছি আজকের ডায়েরি গেম নিয়ে, আশা করি সব বন্ধুরা, আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আমার আজকের নিউ পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।।
আগে মেয়ের মাদ্রাসা শুরু হতো সকাল আটটার সময় আর এখন শুরু হয় ভোর পাঁচটার সময়। তাই প্রতিদিন সকালে মেয়েকে উঠিয়ে দি এবং আমিও উঠে আমার কাজে লেগে পড়ি। তখন মেয়ে তাড়াহুড়ার কারণে কিছু খেয়ে যেতেও পারে না হালকা কিছু খাবার নিয়ে যায়। এরপর আমার নাস্তা বানানো হয়ে গেলে আমি আবার দিয়ে আসি।
আজকে সকালে নাস্তা বানালাম আলু ভাজি, আর রুটি, গতকাল রাতে আলু কুচি করে রেখেছিলাম তাই সকালে উঠে তাড়াতাড়ি আলু রান্না বসিয়ে দিয়ে রুটি বানাতে শুরু করি। এগুলো বানাতে এবং সব কাজ শেষ করতে প্রায় আমার এক ঘন্টা লেগে যায়। এরপর প্রতিদিনের মতো আর কি বলব ভাইয়াকে উঠিয়ে দিয়ে সে খেয়ে যায় আর বক্সে করে নিয়েও যায় সকাল সাড়ে ছয়টায় বের হয়।।
আমার সকালের নাস্তা বানানো হয়ে গেলে শুয়ে পড়ি। এত সকালে কিছুই খেতে মন চায় না তাই এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার শুয়ে থাকি। আজকে ঘুমাইনি শুয়ে মোবাইল ব্যবহার করেছি, এরপর যখন দেখি ৯ঃ০০ টা বেজেছে মেয়ের জন্য মাদ্রাসায় নাস্তা নিয়ে গেলাম।
ওখান থেকে এসে বাসার খুঁটিনাটি কাজে লেগে পরি এদিকে ছেলে এবং সাহেব তারা কেউ ঘুম থেকে উঠে না। যখন দেখি তাদের ঘুম থেকে ওঠার কোন নাম নাই তারপর আমি আস্তে আস্তে করে দুপুরের রান্না বসিয়ে দি।কিছুক্ষণ বাদেই সাহেব ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে আসে এবং গোসল করেও আসে। তাকে খেতে দেওয়ার পর ছেলেকেও খাওালাম তাও রান্নার ফাঁকে ফাঁকে দু মিনিট পরপর রান্নাঘরে যাচ্ছি আবার দু মিনিট পর ছেলের কাছে এসে ওকে মুখে তুলে খাওয়াচ্ছি। কি একটা অবস্থা যে, নিজের হাত দিয়ে কখন যে তুলে খাবে আর আমি কবে যে একটু স্বস্তি পাবো।।
সে নিজে থেকে হাত দিয়ে মুখে তুলে খাবে না আর ওর বাবার হাতেরও খাবেনা আমি যতক্ষণ না খাইয়ে দিবো। ছেলে ভাজি দিয়ে খেতে পারেনি তাই একটা ডিম বেজে রুটি খাইয়ে দিলাম । ওকে খাওয়াতে খাতে এদিকে আমার রান্না করা হয়ে গেল। রান্না শেষ হওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি এরপর জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়েই সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে খাওয়াতে বসি ওর খেতে এতটা লেট হচ্ছে যে এদিকে আমার ক্ষুধা পেট জলে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি করে ওকে সব ভাত খাওয়াতে পারেনি তারপর আমি খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খানা খেয়ে মা মেয়ে এবং ছেলে আমরা তিনজনে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠি, উঠে দেখি তখন ও সাহেব দুপুরে খাবার খেতে আসেনি। ইদানিং ধরে সাহেব দুপুরে খাবার খেতে আসে পাঁচটা নয়তো ছয়টা আর নয়তো খেতেই আসে না। এরপর আসরের নামাজ পড়ে শুয়ে রইলাম। মেয়েকে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম উঠে হাতমুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে মাদ্রাসায় চলে গেল।
কিছুক্ষণ বাদেই মাগরিবের আজান দিল আর ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল। ছেলে ঘুম থেকে উঠে কান্নায় যেন রোল পড়ে গেল থামছেই না এর কারণে মাগরিবের নামাজ পড়তেও পারিনি। কিছুক্ষণ বাদে কান্না থামলেও তারপর কয়েক পিস বিস্কি খাইয়ে দিয়ে মুখে মুখে কিছুক্ষণ পরালাম।
ওর পড়া শেষে আমি পোস্ট লিখতে বসি। পোস্টটা কোনরকম ভাবে লিখি ছেলেকে ছলে বলে কৌশলে রেখে তবে পোস্ট লেখাটা সম্পূর্ণ করি। এরপর এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দেই। যাইহোক এভাবেই করে আজকের দিনটা পার করি।।
আজকের লেখায় এখানেই শেষ করছি, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator06.
Good post here should be . . .
Curated by : @𝗁𝖾𝗋𝗂𝖺𝖽𝗂
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
thank you
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভোর পাঁচটার সময় মাদ্রাসায় যাওয়া খুবই কষ্টকর, বিশেষ করে বাচ্চারা এত সকালে ঘুম থেকে উঠতে চায় না, তাদেরকে জোরপূর্ব ঘুম থেকে উঠিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হয়, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এত সকালে গেলে খাওয়ার সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক আর ঘুম থেকে উঠেই খাবার খাওয়া কষ্টকর।। আর হ্যাঁ মেয়েদের সকালের কাজকর্ম একই রকম থাকে দুপুরে রান্না বান্না ও ছেলেমেয়েদের আদর্শ মায়ের মত যত্ন নেন।। প্রতিটি মাতা সন্তানের ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
"Great post! 👍 It's wonderful to see you balancing parenting responsibilities with writing and sharing experiences on Steemit. 😊 I'm sure many parents can relate to your stories about getting kids ready for school and managing their behavior. 🤣 Your honesty and humor are truly refreshing, and I appreciate the transparency in sharing how you balance work and family life.
I'd love to hear more from you about your writing experiences on Steemit! 💬 Have you considered joining any writing communities or groups within the platform? It would be great to connect with fellow writers and share ideas.
Also, as a reminder, voting for witnesses like xpilar.witness (https://steemitwallet.com/~witnesses) can help support their efforts in improving and expanding the ecosystem. Your vote matters! 💪 Keep up the great work on your blog, and I look forward to reading more from you!"
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit