হ্যালো বন্ধুরা, আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি। আবার আমি আপনাদের মাঝে আজকের ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার শুরু করি।।।
আলহামদুলিল্লাহ বৃষ্টির ভেজা খুব সুন্দর একটা সকাল পেলাম। মেয়ের মাদ্রাসার তিন দিন বন্ধ দিয়েছে তাই সকাল সকাল ওঠার একটা কোন তারা ছিল না। তবুও উঠতে হয়েছে, ভাবিকে উঠিয়ে দিলাম তার স্বামীর জন্য সকালে নাস্তা বানাতে। এরপর ভাইয়া সকালে নাস্তা খেয়ে সাড়ে ছয়টার ভিতরে গেল।
আমি বেশিক্ষণ শুয়ে না থেকে উঠে গেলাম তার সঙ্গে ছেলে এবং সাহেবকে উঠিয়ে দিলাম। সাহেব উঠে হাত মুখ ধুয়ে দোকানে গেল ছেলে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নুডুলস খাওয়ার কথা বলেছে। তাই সকাল সকাল দোকানে গিয়ে নুডুলস কিনে আনলো। নুডুলস নিয়ে আসার পর আমি রান্না করতে গেলাম তাড়াতাড়ি করে ৫ মিনিটে রান্না করি।
এই ৫ মিনিটের সাহেব ওয়েট করতে পারিনি রাগ করে না খেয়ে চলে গেল। এদিকে নুডুলস এনেছে দেরি করে তার ভিতরে 5 মিনিট আমি রান্না করে দিয়েছি এটাই নাকি তার অনেক লেট হয়েছে এরকম ভেবে চলে গেল। আমিও তার চেয়ে কম নাকি ছেলে মেয়েকে দিয়ে তার ভাগের টুকু রেখে দিয়েছি। হয়তো দুপুরবেলা ভাত খেতে আসলে তখন খেতে দিব না হয়তো রাতে আসলে রাতে দিব এরকম ভেবে রেখে দিয়েছি।
না খেয়ে যাওয়ার কারণে মনটা অনেকক্ষণ খারাপ ছিল। তারপর আবার ঠিক হয়ে গেল কাজের চাপে নানা কাজের ব্যস্ততে। বেশিক্ষণ না ভেবে এবং বসে না থেকে রান্নার কাজে লেগে পড়ি। দুপুরে রান্না করতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি সবকিছুই আগে থেকেই কুটে ধুয়ে গুছিয়ে রেখেছিলাম। তার জন্যই আজকে রান্নাটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেল।
রান্না করার কাজ গুলো শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে রেখে এরপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। গোসল করে দুপুর আড়াইটার ভিতরে ছেলেকে ভাত খাইয়ে দি। ছেলেকে ভাত খাওয়ানো শেষ করে তারপর আমু খেলাম, তিনটার ভিতরে খাওয়া শেষ করে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। সাহেব দুপুরে খেতে আসেনি হয়তো আজকে ও কাজে অনেক চাপ ছিলো।
আজকে সকাল থেকেই আবহাওয়া অনেক খারাপ ছিলো আর অনেক বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়া মাত্রই চোখে ঘুম এসে যায়। তিনটার সময় ঘুমিয়ে পাঁচটার সময় উঠেছি। আমি ওটার কিছুক্ষণ পর ছেলেকেও উঠালাম।
এরপর সন্ধ্যা হলো নামাজ পরে বসে রয়েছি ভাবি ওইদিকে রান্নাঘরে বসে একা পকোড়া বানাচ্ছে, তারপরে আমি তাকে পকোড়া বানাতে সাহায্য করছি। এরপরে পকোড়া বানানো হয়ে গেলে আমরা চার জনে খেতে থাকি। সস্ দিয়ে বেশ মজা করে পকোড়া খেয়েছি। এই রিমঝিম বৃষ্টিতে ভাজা পোড়া খেতে বেশ ভালোই লাগে আমার ছেলে আঙুল দিয়ে শুধু সস্ খাচ্ছে।
সন্ধ্যার নাস্তা করে এরপরে আমি পোস্ট লিখতে বসলাম। পোস্ট লিখতে গিয়ে মনে পরে খিচুড়ি রান্নার কথা, ভাইয়াকে দুপুরে ভাত খেতে দিয়েছি তখন সে বলে আজকে তো খিচুড়ি রান্না করলেও পারতে। তার এই কথা শোনার পর তাকে কথা দিয়েছে রাতে খিচুড়ি রান্না করে দিব। এরপরে ঠান্ডা মাথায় পোস্ট লিখে খিচুড়ি রান্নার কাজে লেগে পড়ি। এইতো এইরকম করে আজকের দিনটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সারাদিন আপনার অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই সময় কেটে যায়। বৃষ্টির সময় সন্ধ্যা বেলায় তেলেভাজা জিনিস খেতে সকলেরই খুব ভালো লাগে। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম গুলি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মেয়ের মাদ্রাসা বন্ধ তাই সকালের চাপ আপনার কমে গেছে আসলে ছেলে মেয়েদের জন্য বাবা-মায়েরা অনেক কষ্ট করে থাকে।। ঘুম থেকে উঠার পর সকালে নাস্তা তৈরি করেছেন এছাড়াও দুপুরের রান্না করেছে সবমিলিয়ে সুন্দর একটা দিন পার করেছেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন যেদিন মেয়ের মাদরাসা খোলা থাকে সেদিন সকাল থেকে একটা মাথায় প্যারা উঠে যায় কোন সময় উঠেই রান্না করব। তারপর নিত্যদিনের কাজ গুলো তো করতেই হয়। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit