আলহামদুলিল্লাহ নতুন একটা সকালের আলো দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ভোর পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি চারদিকে গুটগুটে কিছুটা অন্ধকার। এরপর হাতমুখ ধুয়ে অজু করে ফজরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দি, হাত মুখ ধুয়ে মাদ্রাসা চলে যায় ওখানে গিয়ে ফজরের নামাজ পড়ে।
এরপর আমি নামাজ পড়ে রান্নাঘরে গিয়ে সকালে নাস্তা বানাই। নাস্তা বানানো হয়ে গেলে ভাইয়াকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিই সে খেয়ে চলে যায়। ভাইয়া যাওয়ার পর আমি দরজা লক করে শুয়ে পড়ি। এই কয়েকদিন ধরে সকাল বেলা একটু তাড়াতাড়ি উঠে, সকালে কাজ শেষ করে আবার শুতে যায় কিন্তু কোন ভাবেই ঘুম আসে না। ঘুম না আসার কারণে ফোন ব্যবহার করে আটটা নয়টা পর্যন্ত পার করি।
এদিকে সাহেবের কান সজাগ চোখে ঘুম কম তাও ঘুম থেকে উঠছে না শুধু এপাশ-ওপাশ উলট পালট খাচ্ছে। আর ছেলেটাও এত ঘুমাতে পারে যে, উঠে বসে থাকবে এবং কথাও বলবে আবার সেই গভীর ঘুমে চলে যায়। ঘুমাতে গিয়ে এতটা মোরামুরি করে যে একেক জনের একেকটা বিছানায় দরকার হয়। যাইহোক মোরাতে মোরাতে দশটার সময় ঘুম থেকে উঠে যায়। ছেলেকে হাত-মুখ ধুয়ে এনে সকালে নাস্তা খাইয়ে দি, আর সাহেব নাস্তা খেয়ে বাজারে চলে যায়।
ছেলেকে খাওয়াতে খাওয়াতে সাহেব বাজার থেকে এসে যায়। এরপর সেই গোসল করে মার্কেটে চলে যায়। ছেলেকে সকালে নাস্তা ঠিকঠাক মতন খাইয়ে দিয়ে এরপর আমি রান্না ঘরের দিতে যাই। রান্না ঘরে গিয়ে হাতের কাছে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে তারপর রান্না করতে শুরু করে দি। রান্নাঘর সামলিয়ে আসতে প্রায় দুপুর ১ টা বেজে যায়।
এরপর গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ি তারপর ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দি। আজকে দুপুরে রান্না করেছি মুরগির মাংস, কচুর মুখি, আর আমার ফেবারেট টমেটোর সালাদ, ছেলের খাওয়া শেষ করতে না করতে ওর বাবা এসে যায় তারপর আর ছেলেকে খাওয়াতে পারিনি, ওর বাবাকে পেলে মনে হয় পুরো পৃথিবীটা ওর কাছে এসেছে। প্রতিনিয়ত বাসা থেকে বের হলে ছেলেকে বলে বের হতে হবে। না হয় সারা দিন কান্নার পানিতে বাসার ভিতরে পদ্মা সেতু হয়।
যাইহোক সাহেবকে দুপুরে খাবার খেতে দিয়ে তারপর আমি খেলাম। দুপুরে খাবার খেয়ে প্রতিদিনের মতো ঘুমাবার চেষ্টা করি এবং ঘুমিয়ে পরি। এরপর বিকেল পাঁচটার সময় উঠে আসরের নামাজ পড়ি আর মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিই তারপর মাদ্রাসায় চলে যায়। আসরের নামাজ পড়ে বাসায় ভিতরে হাঁটাহাঁটি করে বিকেলে সময়টা পার করি এরপর মাগরিবের আজান দিলো।
মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম, তারপরে ছেলে বলে আম্মু চকো চকো খাবে। ওর বাবার কাছে কয়েকবার বলেছ আর সে বাইরের খাবার সহজে কিছুতেই খাওয়াতে চায় না। কতটুকু সম্ভব বাহিরে এসব খাবার থেকে দূরে রাখে। তারপরও ছেলের বাহানা গুলো সহ্য করতে না পারে এনে দিতেই হয়। তারপর আমি নামাজ পড়ে নিচে গিয়ে দাঁড়ালাম এবং একটা ছেলের কাছে টাকা দিয়ে দিলাম এরপর এগুলো নিয়ে আসলো ।
ছেলে ওগুলো খেতে লাগলো এরপর আমি পোস্ট লিখতে বসি। পোস্ট লিখতে লিখতে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। এর ভিতর আবার আমার খালাতো ননদ ফোন দিল। ওর সাথে আধা ঘন্টার মত কথা বললাম তারপর এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম। এই ছিল আমার আজকের ডাইরি গেম,সবাইকে ধন্যবাদ ।।
আজকের লেখায় এখানেই শেষ করছি, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
It looks so delicious I like it
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ফজরের নামাজের আগে ঘুম থেকে মাদ্রাসায় যাওয়া অনেক কষ্টকর, যেটা আপনি আপনার মেয়েকে অভ্যস্ত করে তুলেছেন, অনেক ভালো একটা বিষয়, বাচ্চারা অনেক সময় অনেক কিছুর আবদার করে, যেটা আমাদের পূরণ করতে হয়, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা করে না এবং ভাই ও ছেলে মেয়েদেরও খাইয়ে দেয়।। আর হ্যাঁ ছোট বাচ্চারা বাইরের খাবার খাওয়ার জন্য পাগল হয়ে থাকে অনেকেই সচেতন থাকার জন্য বাইরে খাবার খাওয়াতে চায় না এটি অনেক ভালো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
"Wow, what a wonderful post! 😊 It's great to see you sharing your daily life experiences in such an engaging way. I'm loving the little anecdotes about your son and the snacks, it's like we're right there with you! 🤗 The effort you put into writing this diary-style post is truly appreciated.
I'd love to hear more about what inspired this format of posting, and if you have any other fun experiences or stories to share. Let's keep the conversation going in the comments below!
Also, don't forget to show your support for the Steem community by voting for our witness @xpilar.witness at https://steemitwallet.com/~witnesses. Your vote will help us continue improving and growing the ecosystem that we all love! 💪"
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit