হ্যালো বন্ধুরা!
আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আজ আমি আমার নতুন পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাই। আশা করি, আমার পোস্টটি পরে আপনারা সকলেই খুব ভালো লাগবে। চলুন, এবার লেখা শুরু করি।
সকাল শুরু
সকালে ঘুম থেকে উঠেছি ঠিক, কিন্তু ফজরের নামাজ আদায় করতে পারিনি। ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা বেলা হয়ে যায়, তাই ঠিকঠাক মতো ফজরের নামাজটা পড়া হয় না। এরপর হাত-মুখ ধুয়ে বসে এক গ্লাস পানি খেয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি। তারপর আবার রান্নাঘরের দিকে চলে যাই।
সব রুটিগুলো বেলে রেখেছি, তারপর ভাজতে যাব। তিনটা রুটি ভেজে, তারপরে গ্যাস ফুরিয়ে গেল। তখন সকাল আটটা। এরপর কি করবো? সাহেবকে ঘুম থেকে উঠাই আর গ্যাসের কথা বলি।
সাহেব বলে, "তোমার কাছে তো গ্যাস ওয়ালার নাম্বার আছে, তুমি তাকে কল দিয়ে সিলিন্ডার নিয়ে আসতে বল।" এরপর আমি তাকে ফোন দিই এবং সে আমার ফোন পাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যেই সিলিন্ডার নিয়ে এসে যায়। এরপরে আস্তে আস্তে করে সকালে নাস্তা বানিয়ে ফেলি।
সকালের নাস্তা
আমাদের জন্য সকালে নাস্তা হিসেবে রুটি আর ডালভুনা করেছি এবং ছেলের জন্য নুডুলস রান্না করি। সবার সকালের নাস্তা খেতে খেতে প্রায় সাড়ে দশটার মতন বেজে যায়। এরপর আধা ঘন্টার মত বিশ্রাম নিয়ে আবার রান্নাঘরের দিকে চলে যাই।
রান্নার পরিকল্পনা
রান্নাঘরে গিয়ে ভাবতে থাকি, আজকে কি রান্না করবো ভেবেই পাচ্ছি না। রাতটা পড়ার পর সকাল হতে না হতেই রান্নায় প্যারা মাথায় উঠে যায়—কি রান্না করব কিছুই ভাবতে পারছি না। হয়তো আমার মতো এরকম অনেকেই আছে। বেশি চিন্তা না করে রান্না করতে চলে যাই। 😇 পরে দেখা যাবে, মাথায় এতটা প্যারা নিলে ভাতের সঙ্গে তারকারি দিয়ে রান্না করে নিবো।
দুপুরের আয়োজন
যাইহোক, আজকে দুপুরে রান্না করেছি কাতল মাছের মাথা ভুনা আর পেঁপে দিয়ে ডাল। দুপুরের রান্না একটার মধ্যেই শেষ হলো। সাহেব গোসল করে নামাজে গেল, আর আমি ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। এরপর জোহরের নামাজ পড়ে খাওয়া-দাওয়া করি।
দুপুরের খাবার শেষে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। ছেলে-মেয়ে ঘুমিয়ে যায়, আমি আর ঘুমাইনি; কিছুক্ষণ শুয়ে শুয়ে ফোন ব্যবহার করি। এরপরে আসরের আজান দিলো, ফোন রেখে নামাজ পড়ি।
সন্ধ্যার আয়োজন
নামাজ পড়ে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিই, মেয়ে মাদ্রাসা চলে যায়। এদিকে সাহেব ছেলেকে ঘুম থেকে উঠাচ্ছে, কিন্তু ছেলে উঠছে না। এপাশ ওপাশ ওলট-পালট খাচ্ছে। তাদের বাবা ছেলের নাটক দেখতে দেখতে মাগরিবের আজান দিলো। আমি আর তাদের দিকে না তাকিয়ে ওযু করে নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি, তারপর কিচেনের দিকে চলে যাই। সন্ধ্যার নাস্তা বানাতে আলু পকোড়া বানালাম। খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে পোস্ট লিখতে বসি।
সমাপ্তি
যাইহোক, এরকম করে আমার আজকের দিনটা আমি পার করি। আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত করতে চাই।
আল্লাহ হাফেজ!
আমি খুলনাতে থাকা অবস্থায় একদিন রাতের বেলায় রান্না করতে করতে মাঝপথে গ্যাস ফুরিয়ে গিয়েছিলো এবং তখন বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো। গ্যাসওয়ালাকে ফোন করলাম কিন্তু তারা বললো যে এই অবস্থায় গ্যাস দিতে আসতে পারবে না। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর বৃষ্টি থেকে গেলে তারপর নিজেরা গিয়ে গ্যাস নিয়ে আসি। আপনারও আজ রান্না করতে করতে গ্যাস ফুরিয়ে গিয়েছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit