হ্যালো বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার গতকালকে কাটানো দিনগুলো শেয়ার করতে চাই। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার লেখা শুরু করি।
সকালে ঘুম ভাঙলো ৫:৪০ মিনিটে আমার ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে মেয়েকে ঘুম থেকে ডেকে তুললাম।। মেয়ে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে মাদ্রাসায় চলে গেল আমি ওকে এগিয়ে দিয়ে আসলাম। মেয়েকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে তারপর আমি বাসায় এসে আবার দুই ঘণ্টার মতো ঘুমাই।
এরপর সেই ঘুম থেকে সকাল সাড়ে আটটায় উঠি,তারপর রান্না ঘরে গেলাম সকালের নাস্তা বানাতে । এরপর আস্তে আস্তে করে সকালের জন্য রুটি আর ডিম করলাম। সকালের নাস্তা বানানো হয়ে গেল এরপর মেয়ের জন্য আবার সকালে দশটার দিকে টিফিন নিয়ে যায়। ওকে দিয়ে এসে তারপর সকলে মিলে একসাথে সকালের নাস্তা করি।
সকালের নাস্তা পর্ব শেষ করে রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নেই,প্রায় আধা ঘন্টার মতো শুয়ে রইলাম । এরপর চলে আসি রান্না ঘরে, প্রথমে ফ্রিজ থেকে গরুর মাংস বের করে ভিজিয়ে রেখে তারপর বাকি রান্না করার কাজ গুলো গুছিয়ে নিলাম তারপর একে একে করে সব রান্না গুলো করে নিলাম।
রান্না ঘরের কাজগুলো শেষ করে সবকিছু রেখে তারপর সব রুম গুলো পানি দিয়ে মুছে নিলাম। কেন যেন জানিনা আজকে ঘর মুছতে গিয়ে অনেক পরিশ্রম লেগেছে অনেক হাপিয়ে উঠেছি। রুম গুলো মোছা শেষ করে তারপর ড্রয়িং রুমের ফ্যান টা ছেড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। যখন বুঝতে পারি শরীর এখন ভালো লাগছে এবং পরিশ্রমটা কেটে গেছে তারপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। গোসল শেষ করে জোহরের নামাজটা পড়ে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে তারপর বিকেলের দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। সাহেবের তো ইদানিং ধরে অনেক অসুস্থ ছিল, আলহামদুলিল্লাহ কালকে থেকে শরীরটা খুব ভালো লাগছে আর জ্বর কমে গেছে এখন মোটামুটি অনেকটাই সুস্থ আছে। যাইহোক বিকাল ৪:৫০ মিনিটে ঘুম ভাঙ্গে, ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে ভাবি ডাক দিলো। তারপর তার কাছে গেলাম, যাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে আমার হাতে একটা বলিথিনের ব্যাগ ধরিয়ে দিল। তারপর পলিথিনটা খুলে দেখি এর ভিতরে অনেক গুলো ফুচকা। ভাইয়া বাহির থেকে আসার সময় এসেছে । তারপর দুইজনে মিলে টেবিলে বসে তৃপ্তি সহকারে ফুচকা খেলাম।
ফুচকা খাওয়া দাওয়া শেষ করে এরপর আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে ভাইয়ার ছেলেকে নিয়ে রুমের ভিতরে হাঁটাহাঁটি ও দুষ্টুমি করি। এরপর মাগরিবের আজান দিল বাবুকে ওর মার কাছে রেখে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম খুব ক্লান্ত লাগছিল, শুয়ে থাকার পর ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল ভাইয়া তো পায়েস রান্না কথা বলছিল।
তারপর আবার এটা ভাবতেছিলাম আমি তো কখনো পায়েস রান্না করিনি আজকে এই প্রথম রান্না করব ভালো হবে না মন্দ হবে। তারপর ইউটিউব থেকে পায়েস রান্নার একটা ভিডিও দেখে, এরপর রান্না ঘরে গিয়ে আস্তে আস্তে মনোযোগ সহকারে রান্নাটা করতে লাগলাম। সর্বশেষে পায়েস রান্নাটা হয়ে গেলে সাহেবের কাছে একটা বাটিতে করে অল্প কিছু নিয়ে আসি চেক করার জন্য সবকিছু ঠিকঠাক হয়েছে কিনা।
সাহেব পায়েস মুখে দেওয়ার পর শুধু ওয়াও ওয়াও বলতে লাগলো। তার মানে বুঝতে পারলাম রান্নাটা পারফেক্ট হয়েছে। এরপর ভাবছি আজকের রান্নাটা যখন ঠিকঠাক মতন হয়েছে আর একদিন বেশি করে রান্না করবো। যাইহোক এরকম করে গত কালকে দিনটা আমি পার করি,
আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত কারতে চাই ( আল্লাহ হাফেজ)
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|