𝐁𝐞𝐭𝐭𝐞𝐫 𝐋𝐢𝐟𝐞 𝐖𝐢𝐭𝐡 𝐒𝐭𝐞𝐞𝐦 || 𝐓𝐡𝐞 𝐃𝐢𝐚𝐫𝐲 𝐠𝐚𝐦𝐞 || 𝟎𝟗/𝟏𝟏/𝟐𝟎𝟐𝟒

in hive-120823 •  9 days ago  (edited)
1000151541.jpg

হ্যালো বন্ধুরা!

আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি, আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজ আমি আমার নতুন পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাই। আশা করি, আমার পোস্টটি পড়ে আপনারা সকলেই ভালো লাগবে। চলুন, এবার লেখা শুরু করি।


সকাল শুরু।

সকাল পাঁচটার সময় সজাগ হই। সজাগ হয়ে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিই। মেয়ে মুখ হাত ধুয়ে বোরকা পরে রেডি হল। তারপর ওকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি। মনে হয়, আমি ঘুমের ঘরে হাঁটছি। ফিরে এসে দরজাটা লক করে সোজা রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ি, ভাবছি ১০ মিনিট পর আবার উঠে নামাজ পড়বো।

1000151493.jpg

কিন্তু শয়তানের চাপে আর উঠতে পারিনি। নামাজও পড়তে পারিনি, একদম সকাল সাড়ে সাতটা সময়ে উঠেছি। উঠে হাতমুখ ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে সোজা রান্নাঘরের দিকে চলে যাই। তারপর রুটি বানাতে শুরু করি। রুটি বানানোর পর ডিম ভাজি করি।

1000151502.jpg

এরপর আমি আর কি করব? কেউ উঠছে না, তাই সকালের নাস্তা করে বিশ্রাম নেইনি। একটু বাড়তি কাজে লেগে পড়লাম। সেই বাড়তি কাজটা হলো গাছ পরিচর্যা করা। অনেকদিন আগে একটা বড় বোতল কেটে এবং পানি দিয়ে তার ভিতর পাঁচটা পুইশাকের ডাটা রোপণ করেছিলাম।

1000151497.jpg

কাল রাতে দেখলাম, সাহেব কতগুলো মাটি এনেছে, যেটা গাছের জন্য খুব উপকারী। মাটি গুলো গুরা করে গাছের পানি ফেলে দিয়ে সুন্দর করে বোতলটির ভিতরে মাটি বসিয়ে দিলাম।

দুপুরের রান্নার আয়োজন।

বিশ্রামের সময়টুকু গাছ লাগানোর কাজে ব্যয় করে এরপর চলে যাই রান্নার আয়োজনে। ভাবিকে জিজ্ঞেস করি, আজকে কি রান্না করবো? সে বলে, "আমি কিছু জানি না, আপনার যা ইচ্ছা করে তাই রান্না করেন।" রান্নার প্যারাটা তার মাথায় উঠিয়ে দিতে গিয়ে সে উল্টো করে আমার মাথায় উঠিয়ে দিল।

1000151504.jpg

এরপরে আমি ডাল, আলু ভর্তা, আর মিষ্টি কুমড়ার রান্না করি। দুপুরের রান্নাবান্না শেষ হয়ে যায় ১২:৩০ টার সময়। ছেলেকে আগে গোসল করিয়ে জামা প্যান্ট পরিয়ে তারপর আমি গোসল করতে চলে যাই।

1000151510.jpg

গোসল শেষ করে জোহরের নামাজ পড়ি এবং ছেলেকে দুইটার মধ্যে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিই। মাঝের মধ্যে আমার ছেলে খাবার খেতে গেলে খুব ভদ্র হয়ে যায়। আজকে ১৫ মিনিটের মধ্যে খাওয়া শেষ হয়ে যায়।

বিকেলের ব্যস্ততা।

এরপর আমি খেয়ে শুয়ে পড়লাম। দুপুর আড়াইটা বেজেছে, তখনও সাহেব ঘুমায় । কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করেছি, দেখি উঠছে না। তারপর আর কিছু না বলে আমি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়লাম।

দুপুরে খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়েছি। তারপরও আসরের আযান শুনতে পাইনি। মাগরিবের আজান দিলে চোখের ঘুম ভেঙে যায়। তাড়াতাড়ি করে মেয়েটি উঠিয়ে দিলাম।

সন্ধ্যার নাস্তা।

মেয়ে উঠে উযু করে মাদ্রাসা চলে গেল। এরপর ছেলেকে উঠালাম। সন্ধ্যাটা পার হওয়ার কিছুক্ষণ পর বাবা ছেলেকে সন্ধ্যায় কিছু খেতে দেয়। আজকের পেয়ারাগুলো খেতে খুব মিষ্টি ছিল। মুখে দিলে চিবানোর পর একদম মোমের মত গুলে যায় খেতে খুব অসাধারণ ছিল। কয়েকটি পেয়ারা খেয়ে তারপর পোস্ট লিখতে বসি।

1000151515.jpg

কয়েকটি পেয়ার খেয়ে পোস্ট লিখতে বসি। আর হ্যাঁ, পোস্ট লিখতে বসার আগে ভাত রান্নাটা বসিয়ে দিই। আজকে পোস্ট লিখতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি। পোস্ট শেষ করে ভাত উঠিয়ে মার কাছে রেখে, পরে এশার নামাজ পড়ি।

নামাজ পড়া শেষে ছেলেকে রাতের খাবার নয়টার ভিতরে খাইয়ে দিই। ছেলের রাতের খাবার খেতে প্রায় এক ঘন্টার মত লেগে গেল। এদিকে মেয়ে মাদ্রাসা থেকে ফিরে কিছু একটা খেয়ে, তারপর রাতের খাবার খেয়ে ছেলেমেয়েকে নিয়ে দশটার মধ্যে শুয়ে পড়ি।


এভাবে আমার আজকের দিনটা পার হয়। আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত করতে চাই। (আল্লাহ হাফেজ)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আমি আর কি আর করব মাঝে মাঝে আপনার মত দশা আমারও হয়ে থাকে শয়তান পিছন থেকে এত পরিমাণ কাঠি মারে যে নামাজ পড়তে উঠতে পারি না ঘুম ভাঙলেও পাশে ফিরিয়ে আবার ঘুমাই।

পেয়ার খেয়ে এনার্জি বৃদ্ধি করে তারপর লিখতে বলছেন আপনার একটি দিনের কার্যক্রম যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে উপস্থাপনা করছেন এজন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন

Loading...

প্রতিদিন এক কাজ করতে করতে আমিও মাঝেমধ্যে হাঁপিয়ে উঠি। রান্না করতে আমিও একেবারেই পছন্দ করি না। তবুও সকালের দিকে রান্নার দায়িত্ব আমার উপরেই থাকে। তবে দুপুরের দায়িত্ব সম্পূর্ণ শাশুড়ির উপরে। রান্নাবান্না ছাড়াও আজ একটা বাড়তি কাজ করেছেন ঠিকই, তবে মাঝেমধ্যে এই ধরনের কাজগুলো আমাদের জীবনের একঘেয়েমি দূর করে। তাছাড়া নিজের হাতে কোনো গাছ লাগালে সেটা ফল, ফুল, সব্জি যাইহোক না কেন একটা অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। সেসব কাজ সেরে এসেও যথাসময়ে দুপুরে রান্না সেরে নিয়েছেন এবং ছেলে মেয়ের প্রতিও সব দায়িত্ব সামলে নিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে সারাদিন কর্মব্যস্ততা থাকলেও, দিনটি সুন্দরভাবেই কেটেছে। ভালো লাগলো আপনার সারাদিনের গল্প পড়ে। ভালো থাকবেন।

আপনার পুইশাকের গাছগুলো কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে,,, আমিও ঠিক আপনার মতনই আমার বারান্দায় কয়েকটা গাছ লাগিয়েছি,, তবে গাছ বললে ভুল হবে।।
হাজব্যান্ড বাজার থেকে পুঁইশাক কেটে এনেছিল আমি শাকগুলোকে ডাটা গুলো লাগিয়ে রেখেছিলাম তাতেই মাশাআল্লাহ ভিশন পাতা গজিয়েছে,,,
সত্যি মাঝেমধ্যে এরকম কাজের ভেতরে অন্যরকম কাজ করতেও ভালো লাগে।