𝑩𝒆𝒕𝒕𝒆𝒓 𝑳𝒊𝒇𝒆 𝑾𝒊𝒕𝒉 𝑺𝒕𝒆𝒆𝒎 || 𝑻𝒉𝒆 𝑫𝒊𝒂𝒓𝒚 𝒈𝒂𝒎𝒆 || 29/11/2024

in hive-120823 •  last month 
1000152413.jpg

হ্যালো গায়েজ , সবাইকে আমার আজকের পোষ্টের স্বাগতম, প্রায় চার-পাঁচ দিন বাদে আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে; প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ,আমি অনেক ভালো আছি। আজকের দিনটা আমার ভালো ভাবেই কেটে গেছে, চলুন আর দেরি না করে আজকের দিনের মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি।।


এই দুই তিন দিন সপ্তাহ ধরে কাজের প্রতি কি হয়েছে আমি নিজেও জানিনা, একদিন পোস্টে গ্যাপ পড়লে ; পরের দিন পোস্ট লিখতে মনে হয় খুব কষ্ট হয়। আবার এমন সময় গেছে খুব ব্যস্ততা এবং খুব কাজ থাকার ভিতরেও আগে পোস্টটা লিখে ফেলেছি। কিন্তু ইদানিং ধরে সেটা হচ্ছে না। কি যে, একটা সমস্যা দিচ্ছে ওয়াই ফাইটা একদিন থাকলে দুদিন থাকে না। তার কারণে এরকম পোস্টে গ্যাপ পড়েছে।

1000152396.jpg

যাইহোক এবার চলে আসি মূল কথায়,প্রতিদিনের মতো আজকের সকালটা মোটামুটি খুব ভালোই কেটে যায়। ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে রান্নাঘরের দিকে চলে যাই, আজকে শুক্রবার ছিল এবং ভাইয়ার অফিসেও বন্ধ ছিল, তাই তাড়াতাড়ি করে সকালে নাস্তা টা বানিয়ে ফেলি। আজকের সকালেও রুটি আর ডিম ভাজি ছিলো আর ছেলের জন্য একটা চিনি পরোটা বানিয়ে দিলাম।

সবাই একসাথে টেবিলে বসে নাস্তা খেয়েছিলাম তখন আর আমাদের খাবারের ছবি তুলতে পারিনি, তাই ছেলের খাওয়ার পরোটার ছবি তুলে নিলাম।

1000152401.jpg

সকালের নাস্তা খেতে খেতে প্রায় দশটার মতন বেজে যায়। তারপরে বেশিক্ষণ আর বসে থাকেনি সোজা রান্নাঘরের দিকে চলে যাই। নাস্তা করার সময় আগেই ফ্রিজ থেকে হাঁসের মাংস বের করে রেখেছিলাম নাস্তা খেতে খেতে মাংসের বরফ ছেড়ে দিল। তাই আগে হাসের মাংস রান্নাটা বসিয়ে দিলাম তারপর আস্তে আস্তে করে বাকিগুলো রান্না করি। আজকে রান্না করেছি হাঁসের মাংস, ডাটা শাক, আর ডাল।

1000152412.jpg

সকালে ডিম রুটি দিয়ে নাস্তা করেছি, রান্নাবান্নার কাজ করতে করতে তা আমার পেট থেকে হজম হয়ে গেল; তাই রান্নার ফাঁকে অল্প কয়টা মুড়ি চানাচুর মেখে রান্নার ফাঁকে ফাঁকে খেয়ে নিলাম। অবশেষে সাড়ে বারটার ভিতরে আমার রান্নাবান্না হয়ে গেল। আর ছেলেকে রান্না করার ফাঁকে সাড়ে এগারোটার ভিতরে গোসল করিয়ে দিলাম কিছুটা কাজ এগিয়ে গেল আমার। একবার রান্না শেষ হলে আমি গা গোসল করে নিলাম।

1000152403.jpg

আমার গোসল করা হলে এরপর জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে আগে ছেলে-মেয়েকে ভাত খেতে দিলাম তারপর আমি খেলাম। দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে ছেলেমেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি এর মাঝে সাহেব এসে যায় তারপর তাকেও খেতে দিলাম।

খেয়ে আধা ঘন্টার মত বিশ্রাম নিলাম। এই আধা ঘন্টায় কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি। এরপরই আসরের আযান দিয়ে দিল । তারপর ফোনটা চার্জে লাগিয়ে আসরের নামাজ পড়ি। আসলে দিনের বেলাটা এত ছোট হয়েছে যে রান্নাবান্না করতে সময় চলে যায়। তারপর খাওয়া দাওয়া করে বেশিক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার সময় থাকে না ঘুমাবো তো দূরের কথা।

1000152408.jpg

এরপর কি করবো মাগরিবের আজান দিল নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসলাম। বসার আগে হাতে একটা ঝালমুড়ির প্যাকেট নিয়ে বসি। এই ঝাল মুড়িটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে, যেমনি ঝাল তেমনি আবার রসুনের জাজ ঝাল মুড়ি গুলো খেলে নাক দিয়ে রসুনের ঝাঁজ বের হচ্ছে এই জিনিসটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।

এরপর ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসাই, ছেলেকে পড়ানো শেষ করে রাতে খাবার খাইয়ে দি। আমিও এশার নামাজ পড়ে রাতের খাবার খেয়ে ছেলেমেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি।

যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

1000173922.png

thank you

Loading...

আপনার পোস্ট পড়ে মনে হলো যে আপনি ঝালমুড়ি খেতে অনেক ভালোবাসেন৷ কাজের ফাঁকে ঝালমুড়ি মেখে খেয়েছিলেন আর সন্ধ্যার সময় আবারও ঝালমুড়ি খপয়েছিলেন৷

যেকোনো কাজ করা বন্ধ করলে সেটা আবারও করতে মন বসে না৷ তাই তো আপনার পোস্টটি লিখতে মন বসছে না৷ যাই হোক, ভালো থাকবেন।