মাথা গরম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।সবাই কেমন আছেন। আশা করি সকলে ভালো আছেন ।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি ।আমি আপনাদের মাঝে একটি সুন্দর গল্প বলব সবাই মনোযোগ দিয়া পড়বেন ।
একটি ছেলে একটি মেয়েকে বিয়ে করে তারা প্রেম করে বিয়ে করেছিল। কিন্তু তাদের মাঝে সব সময় অশান্তি লেগেই থাকে অর্থাৎ সবসময় তারা দুজনেই ঝগড়া করে ।তা একদিন দেখা গেল যে জামাই বাজার থেকে পচা মাছ কিনে নিয়ে আসছে মাছগুলো ভালো ছিল না, এজন্য বউ অনেক ঝগড়া শুরু করলো। জামাই উঠানে দাঁড়িয়েছিল বউ ঘর থেকে হাড়ি-পাতিল দিয়ে জামায়ের উপর মারতেছিল। এক পর্যায়ে বউ বলে আজকে আমি তোমার জন্য কোন কিছু রান্না করবো না দেখি তুমি কিভাবে খেতে পারো ।তখন জামাই বলে তুমি রান্না না করলে আমি ঠিকই খেতে পারব একথা বলে জামাই বাড়ি থেকে চলে যায়।
জামাই চলে যাওয়ার পর অল্প কিছুক্ষণ পরে কিস্তির লোক আসে। প্রতিদিন আসে বিভিন্ন বাহানা দিয়ে কিস্তির লোককে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ঐদিন যখন আসলো তখন তার বউ বলল যে আমার জামাই মারা গিয়েছে টাকা পয়সা দিতে পারব না। যে মারা গিয়েছে এখন তার কবরের কাছে গিয়ে আপনি টাকা চাইতে পারেন কিস্তির লোককে অনেক কথাবার্তা বলে। অবশেষে কিস্তির লোক বলে বাড়ি থেকে যাওয়ার পূর্বে যে, আমি এখনো বিয়ে করি নাই যদি আপনার মনে চায় তাহলে আপনি আমাকে বিয়ে করতে পারেন ।আমি আপনাকে অনেক শান্তিতে রাখব তখন বউ বলে আমার জামাই এখনো মরে নাই আর আপনি আমাকে এখনই বিয়ে করতে চাচ্ছেন। এ কথা শুনে কিস্তির লোককে ঝাড়ু দিয়ে একটি দৌড়ানি দেয় কিস্তির লোক তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে ওই মহিলার জামাই তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বলে, তার শাশুড়িকে বলে আম্মা এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম মন চাইলে আপনাদেরকে একটু দেখে যাই। তারপর তার শাশুড়ির খাবার বাড়তেছিল, তখন তার শাশুড়ি বলে আচ্ছা জামাইবাবুজি আসছো যখন খেয়ে যাও। তখন জামাই বলে না খাব না অনেক জোর করার পর জামাই খায় পেট ভরে। খেয়ে বাড়িতে চলে আসে এবং বাড়িতে আসার আগে তার শালিকে বলে তুমি আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে প্রতিদিন কলেজে যাও আমাদের বাড়িতে একটিবার বেড়াতে যেতে পারো না ।তখন তার শালী বলে কালকেই আপনাদের বাড়িতে বেড়াতে।
পরেরদিন যখন তার শালী আসে, এসে দেখে যে তারা ঝগড়াঝাটি করতেছে ।তখন তার শালী বলে আচ্ছা আপু তোমরা না অনেক শান্তিতে জীবন যাপন করতেছো দুলাভাই তো কালকে আমাদের বাড়িতে এগুলো বলে আসছে।তখন বলে তোদের বাড়িতে দুলাভাই গিয়েছে মানে তখন তার বোন বলে যে কালকে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল আম্মা তাকে জোর করে খাবার খাইয়ে দিয়েছে। তখন তার বউ বলে এই জন্যই তো বলি তার কেন ক্ষুধা নেই সে নিজে খেয়ে আসছে কিন্তু আমাকে সারারাত না খাইয়ে রেখেছে। তারপরে তার বোন বলে যে আজকে দুলাভাইকে একটা শিক্ষা দিব। তারপর তারা মুরগির গোস্ত রান্না করে অনেক ঝাল দিয়ে। জামাইকে যখন মুরগির গোস্ত খেতে দেয় তখন জামাই একটু খেয়ে ঝালে মরে যাওয়ার অবস্থা। তারপরে তার স্ত্রী কেউ জোর করে খাইয়ে দেয় এবং তার শালিকেও জোর করে খাইয়ে দেয় তারপর তারা হাঁপাতে হাঁপাতে থাকে।
তো এটা নিয়ে আবার তাদের স্ত্রীরদের মাঝে ঝগড়া হয়। তখন বাড়িতে একজন লোকজন আসে আসার পরে বউ যখন তার জামাইকে হাড়ি পাতিল মারতেছিল হঠাৎ করে একটি লোকের মাথায় লেগে যায় এবং ওই লোক গিয়ে চেয়ারম্যান এর কাছে বিচার দেয়। চেয়ারম্যান তাদের কে বলে যে এক হাজার টাকা দাও। তারপর চেয়ারম্যান সাহেব বলে তোমাদের এক এক সপ্তাহের সময় দিচ্ছি এর মধ্যে যদি তোমরা ভালোভাবে জীবন যাপন না করো তাহলে তোমরা একে অপরকে ডিভোর্স দিয়ে দিবা। এ কথা বলার পর চেয়ারম্যান সাহেব বাড়ি থেকে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর মেয়েটির জামাই একটি মেয়েকে নিয়ে আসে এবং বলে আমি যে তোমাকে এক সপ্তাহ পরে ডিভোর্স দিবো,আগের থেকে একজন মেয়েকে আনলাম সবকিছুই দেখুক কেমন। আমি তোমাকে ডিভোর্স দিতেছি ভালো করে জানোক যাতে করে তাকেও আবার পরবর্তী পরবর্তীতে ডিভোর্স না দিতে হয়। এ কথা শোনার পর তার বউ বলে তুমি শুধু আমার ঝগড়াটাই দেখলা আমার ভালোবাসাটা দেখলা না ।তারপর তার স্ত্রী বলে তুমি আমাকে মারো কাটো যা ইচ্ছা কর কিন্তু তারপরও তুমি অন্য মেয়েকে বিয়ে করো না। তখন তার জামাই বলে আমি জানি তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো। তখন তার জামাই বলে আরে এই মেয়েটিকে তুমি চিনতে পারছো সোনা এই মেয়েটি হল আমার মামাতো বোন ।আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসছে তারপর তারা রুমে চলে যায় এবং পরবর্তীতে আর কখনো ঝগড়াঝাটি করে না সুন্দরভাবে জীবন যাপন করে।