"নমস্কার বন্ধুরা"! আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। গতদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক.......
কারো কারো ভিতর অপ্রকাশিত কিছু প্রতিভা থাকে। সে প্রতিভা গুলো সম্পর্কে শুধু তার বন্ধরাই জেনে থাকে। যে ছেলেটা তার বাসায় সবথেকে শান্ত ও চাপা স্বভাবের, সেই ছেলেটা ও তার বন্ধুদের সাথে চায়ের দোকানের আড্ডায় তার লেখা কবিতা গুলো অবলীলায় বলে যায়। কিংবা তার প্রিয় গানের সেই পছন্দের কলিটা গাওয়ার সময় তার বন্ধুদের সাথে গলা মিলায়। সেই ছেলেটাই কোনো একদিন তার বান্ধবির জন্য একটি কবিতা লিখে তাকে উপহার দেয়...........তুলি........
মহাশূন্যের অন্ধ মনে, সজাই কথা প্রতি মনে মনে,
দিলবারা যে সে শহীদের আত্মত্যাগের বুলি,
তোমার স্পর্শে তার খুন হয়ে সত্য পাতায় দুলি।
সেই ছেলেটাই আবার ক্লাসের সবার প্রিয় পাত্র এমনটা কিন্তু নয়। সে সবার সাথে মিশতে চায়। সে তার মতো করে মিশতে চায় কিন্তু সবাই তার মতো করে মিশতে পারে না। তাই তার আর সবার সাথে মেশা হয়ে ওঠে না। ছেলেটি বাসায় খুবই চাপা স্বভাবের হলেও কলেজে আসলে তার প্রিয় বন্ধুদের সাথে থাকলে সে সম্পূর্ণ অন্য একটি মানুষে পরিণত হয়। সে তার নিজের ভিতরে থাকা আমিটাকে খুঁজে পায়। সে তার নিজের সত্ত্বাকে খুঁজে পায়।
তার ব্যক্তিত্তটা আপনাদের কাছে কেমন কেমন মনে হলেও এটাই বাস্তবতা। অনেকটা বাংলা সিনেমাতে যারা ডাবল রোলে অভিনয় করে তাদের মতো। সে মাঝে মাঝে এই বিষয়টা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে। সে মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করে যে কোনটা সে, বাসায় থাকা আমিটা , নাকি বন্ধুদের সাথে থাকা আমিটা সে। তারপর নিজের বিবেকটা হঠাৎ তাকে বলে ওঠে সবটাই সে। তার সব টুকুই তার।
এই ছেলেটা অনেকটা অন্যকে মন থেকে ভালোবাসার মতো। আমরা যাকে সত্যি কারের ভালোবাসি তার সবটাই আমরা ভালোবাসি। তার ভালো যেমন আমরা ভালোবাসি, তার খারাপটা আমরা ততোটাই ভালোবাসি। শুধুমাত্র আমাদের পছন্দের মানুষটার সাথে এমনটা হয় তেমন না। আমরা আমাদের বাবা-মা, ভাই-বোনদের যেমন ভালোবাসি এটা ঠিক তেমন।
তাদের সবটাই আমরা ভালোবাসি।তাদের ভলো-মন্দ, তাদের দোষ-গুন সবটাই আমাদের ভালো লাগে৷ এই ছেলেটাও ঠিক তেমন। তার সবটাই তার নিজের। তার সবটা জুড়ে শুধু সে আছে। সে যখন সবার সাথে থাকে সে তখন সবার কিন্তু সে যখন একা থাকে তখন সে আর কারোর না।
সেই ছেলেটা যে সবসময় হাসিখুশি থাকে এমনটাও কিন্তু সত্যি নয়৷ চায়ের দোকানে গল্প কিংবা গানের মাঝেখানে হঠাৎ তার প্রিয়জনের কথা মনে পড়লে তারও কিন্তু গলাটা ধরে আসে। হঠাৎই তার চোখ দুটি চিকচিক করে ওঠে। সেটা কেউ খেয়াল করে না সেটা আলাদা কথা। কিন্তু হঠাৎ সেই ছেলেটার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমন ছেলেরাও হয়। সব ছেলেরাই যে শক্ত কঠিন হবে এমনটা নয়। ছেলেরাও কাঁদে। তাদের প্রিয়জনের কথা মনে করে তাদের বুকের ভেতরটাও মোচড় দেয়। ছেলেদেরও একসময় কাঁদতে হয়.....
আপনার লেখাটি পড়ে সত্যি মন ছুঁয়ে গেল। এমন সহজ অথচ গভীর ভাবে ছেলেটির ব্যক্তিত্ব আর আবেগের দিকগুলো তুলে ধরার জন্য সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
মানুষের ভেতরে থাকা দ্বৈত সত্ত্বার দারুণ একটি প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। আমরা আসলে সবাই কিছুটা এমনই কখনো পরিবার আর নিজের মধ্যে একরকম, আবার বন্ধুদের মাঝে অন্যরকম। কিন্তু এই বৈচিত্র্যই আমাদের ব্যক্তিত্বকে পূর্ণতা দেয়।
ছেলেটির আবেগ, তার হঠাৎ হাসির ফাঁকে ভেতর থেকে ওঠে আসা কান্না, বা একাকীত্বের সেই গভীর মুহূর্তগুলো পড়ে মনে হলো, আমরা প্রত্যেকেই কোথাও না কোথাও এমন অনুভব করি। সমাজের চাপা ছকে বাঁধা থাকা শক্ত পুরুষ ধারণার বাইরেও যে ছেলেরা কাঁদে, ব্যথা পায়, সেটা খুব সুন্দর করে আপনি তুলে ধরেছেন।
এমন সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি, আপনি আমাদের আরও এমন হৃদয়ছোঁয়া লেখা উপহার দেবেন। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আপনাকে আমার লেখা কাহিনিটা পড়ে এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit