"নমস্কার বন্ধুরা!"
আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আমি আবারও নতুন একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করে দেই.......
সেল নাম্বার সিক্সটি নাইন। কারাগারের পশ্চিম পাশে এই সেলের অবস্থান। এখন সময় সকাল এগারোটা একান্ন মিনিট। কিন্তু এই কারাগারে সময় বোঝা খুব কঠিন। কারণ চারিদিকে কংক্রিট এর শক্ত দেয়াল। দেয়ালে দেয়ালে প্রতিধ্বনি হয় কারাবন্দিদের আত্মচিৎকার। কংক্রিটের মজবুত দেয়াল ভেদ করে কারাগারের ভেতর সূর্যের আলো আসতে পারে না।
কারাবন্দি মানুষজন জানতে পারে না এখন আকাশে কি দেখা যাচ্ছে। তারা এই খোলা আকাশটা দেখতে পায় না। দেখতে পায় না চন্দ্র, সূর্য। সবটাই আঁধারে ঢাকা। ঠিক তাদের জীবনের মতো। কালো রংয়ের অদৃশ্য চাদরে মোড়ানো এই কারাগারে প্রত্যেকটা সেলের আলাদা আলাদা গল্প আছে। সেই গল্প পড়তে কেউ ইচ্ছুক না। সাদাকালো পোশাকে জড়ানো এই মানুষদের পরিচয় একটাই তারা আসামি।
তবে এত বন্ধির ভিড়ে একজন ছিল ভীষণ অন্যরকম। যাকে খুব সহজে অন্য চার-পাঁচ জন আসামিদের মধ্যে খুব সহজে আলাদা করা যেত। তার সব কিছুই ছিল বাকিদের চেয়ে ভিন্ন। কারাগারের বন্ধ দেয়ালের মাঝে আপন মনে সে ছবি আঁকতে ব্যস্ত থাকে। সে মনে করে সেই যেন সেখানকার রাজা, বাকি সবাই দাস।
হঠাৎ একদিন কারাগারের সাব ইন্সপেক্টর খুব ব্যস্ততার সাথে টহোল দিচ্ছিল। সেল নাম্বার সিক্সটি নাইনের সামনে আসতেই তিনি থমকে গেলেন। ওই সেলের আসামি খড়খড়ে মেঝেতে কিছু একটা দিয়ে আপন মনে আঁকাআঁকি করছে। তার আঁকা ছবি থেকে ইন্সপেক্টর বাবু অবাক দৃষ্টিতে তার আঁকা ছবিটি দেখতে লাগলো।
সিক্সটি নাইন সেলের পাশে একজন ভয়ংকর আসামি ছিল। তাকে দেখে সবাই ভয় পেত। সে দেখতে ছিল দানবের মতো। সে কোনভাবেই মানুষ হতে পারেনা। সে কোন অস্ত্র ছাড়াই একটি মানুষকে নিমিষেই মেরে ফেলতে পারতো। তাকে কারাগারে রাখা কারাগারের বাকিদের জন্য ছিল বিপদজনক। এজন্য কারাগার কর্তৃপক্ষ তাকে বেশিরভাগ সময় কনডম সেলে রাখতো। আর কিছুদিনের জন্য এখানে রাখত।
কিছুদিন পর সেল নাম্বার সিক্সটি নাইনের আসামির জামিন মঞ্জুর হলো। জামিন শব্দটা প্রত্যেক আসামির কাছে অত্যন্ত আনন্দের। কারাগারের লোহার শিকের ভেতরে থাকা প্রত্যেকটা মানুষ এই কথা শুনতে মরিয়া। ইন্সপেক্টর সেল নাম্বার সিক্সটি নাইনের আসামির কাছে এসে বললো, আপনি এখন থেকে মুক্ত, আপনি বেরিয়ে আসুন। আপনার পরিবারের লোক আপনার জামিন নিয়ে এসেছে। আপনার জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত, প্রত্যেকটা আসামি যে খারাপ এমনটা নয়। কিছু কিছু মানুষ জীবনের তাগিদে অপরাধের জগতে চলে আসে। আমাদের জীবন সত্যিই অনেক নির্মম। কখন যে আমাদের জীবনে কি ঘটে যায় আমরা কেউই বলতে পারি না। তবে আমাদের সবার খেয়াল রাখা উচিত আমরা যেন কোন খারাপ কাজের ফাঁকে লিপ্ত না হয়। কখনো খারাপ কাজের সাথে লিপ্ত না হলে আমাদের এই কারাগারের নির্মম যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit