"নমস্কার বন্ধুরা!"
আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আমি আবারও নতুন একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করে দেই.......
![]() |
---|
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে নিজের পার্সোনাল কিছু অপিনিয়ন এবং বাস্তব কিছু ঘটনা শেয়ার করব। আমি মনে করি, বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের জীবনের সকলেরই একটি চরম শত্রু। সে হোক কোন পরিবারের লোক বা অন্য কেউ আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করুক। বিশ্বাসঘাতকতা এমন একটি বিষয় যা কেউ না কেউ কোন না কোন সময় এর সম্মুখীন হয়েছে।
আমাদের চারপাশে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা প্রতিনিয়ত কারণ না কারোর কাছ থেকে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হচ্ছে। এর জন্য আমাদের সকলের উচিত আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে সাবধানে পা ফেলা। আমাদের সবাইকে চোখ বন্ধ করে কারোর উপর বিশ্বাস করা উচিত নয়। আবার সবাই যে আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে এমনটাও কিন্তু নয়।
এবার চলুন বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য ছোট্ট একটি কাহিনী আপনাদের মাঝে তুলে ধরি......
![]() |
---|
গভীর রাতে প্রীতম শেষ ট্রেনের জন্য স্টেশনে বসে আছে। রাত তখন ঘড়ির কাটায় ঠিক দশটা। প্রীতম এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল। ছুটি শেষ হওয়ায় সে আবারো শহরে চলে যাচ্ছে। অনেক বড় একটা আশা নিয়ে সে গ্রামে এসেছিল, কিন্তু এখন তাকে এক বুক হতাশা নিয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
প্রীতমের মা তার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক বছর আগে কিছু টাকা ধার হিসেবে নিয়েছিলো। তার বিনিময়ে প্রীতমের মামা তাদের জমি দখল করে নেয়। অভাবের কারণে প্রীতমের মা টাকাটা পরিশোধ করতে পারিনি তখন। তাই আর জমি ছাড়ানো হয়নি তাদের। প্রিতমের মা যখন অসুস্থ হয়েছিল তখন তার চিকিৎসা করাতে তাদের বাড়িতেও বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল। এখন শুধু মামা যতোটুকু নিয়েছিল ততটুকু বাদে আর কোন জমি অবশিষ্ট ছিল না তাদের।
![]() |
---|
অনেক বছর কেটে যাওয়ার পর প্রীতম এসেছিল সেই টাকা নিয়ে মামার কাছ থেকে জমিটুকু ফিরিয়ে নিতে। এবং সে ভেবেছিল সেখানে একটা বাড়ি বানাবে। কিন্তু তখন তার মামা জমিটা দিতে রাজি হয় না, কারণ এখন জমির দাম নাকি অনেক আর তার মামা সেখানে চাষাবাদ করে। প্রীতম তার মামার নিষেধ শুনে কিছু করতে পারল না।
কেননা, গ্রামের সকল মানুষ প্রীতমের মামাকে খুব ভয় পেত। সে ছিল গ্রামের খুবই প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি। এজন্য তার কথার উপর কেউ কথা বলতে পারতো না। প্রীতম তখন কোন জোর না করে হাসিমুখে চলে যায়। তার সাথে কোন সাপোর্ট নেই এজন্য মামার সাথে অযথা কথা বাড়ানো বৃথা, এই ভেবে সে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
![]() |
---|
প্রীতম তার মামার এমন কর্মকাণ্ডে খুব কষ্ট পায়। সে কখনোই ভাবতে পারিনি যে তার মামা এমব একটা কাজ করতে পারবে। তার নিজের ভাগ্নের কাছ থেকে জমিতে কেড়ে নেবে। তাদের সাথে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করবে সে কখনোই চিন্তা করতে পারিনি। প্রীতম একরাশ হতাশা নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তারপর ট্রেন আসলে সে তার শহরের উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠে পড়ে।
আমাদের সবার উচিত কোন কাজ করার আগে হাজারবার ভাবা। কাউকে সহজে বিশ্বাস করা উচিত নয়। আমাদের কাছের লোকরাই আমাদের সাথে বেশি এমন বিশ্বাসঘাতকতা করে করে থাকে। তারা আমাদের সহজ সরলতার সুযোগ নেয়। তারা ভালোভাবেই জানে আমরা কোথায় দুর্বল এজন্য তারা তাদের আধিপত্য আমাদের উপর চালিয়ে যায়। এই পৃথিবীতে কারোর উপর খুব বেশি নির্ভর হওয়া ঠিক নয়। কারণ আমি মনে করি, অন্ধকারে থাকলে নিজের ছায়াও ছেড়ে চলে যায়। এজন্য কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করা উচিত নয়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit