শেষটা সুখের। 😇

in hive-120823 •  7 days ago  (edited)

"নমস্কার বন্ধুরা!"
আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে আমি এক ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক.......

1000007080.png

Edit by canva

সুমি এখন চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী। সে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে সিনিয়ার আপু। সে তার জুনিয়ারদের সাথে খুবই আন্তরিক। ঠিক তেমন অন্যদের জন্য যম। এমনকি সময় ডিপার্টমেন্টের প্রধান পর্যন্ত সুমিকে মানিয়ে চলে। সুমি কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। সুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমনটা থাকে তেমনটা কিন্তু সে আসলেই নয়। তার বিয়ে হয়ে গেছে। সুমি একজন স্পষ্টভাষী মেয়ে। সুমির বিয়েটা পারিবারিকভাবে হলেও পরিবারের সবার মত ছিলো এমনটাও নয়।

সুমি যখন ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী, তখন থেকে ইমন এর সাথে তার সম্পর্ক। তাদের সম্পর্কটা এখনকার সম্পর্কের মত এতটা সহজ ছিল না। এমনকি তাদের দেখা করতে ও অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হতো। এমনই একদিনের একটি কাহিনী বলি, সুমি, ইমন একদিন বাইরে ঘুরতে বের হয়েছিলো। ঠিক তখনই সুমির কাকা সুমিকে দেখে ফেলেছিল যে কলেজ টাইমে সুমি কলেজে না গিয়ে বাইরে কি করছে।

1000007081.jpg

সুমির বাসায় যাওয়ার পর তার কাকা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল সে ওখানে কি করছিলো,কিন্তু সুৃমি কাকাকে বলেছিল সে নাকি ভুল দেখেছে সে ওখানে সেদিন ছিল না। সেদিন সুমিকে তার কাকা তাকে আর কিছু বলেনি। কিন্তু কিছুদিন পর যখন সুমি ইমনের সাথে শহরের বাইরে বাইকে করে ঘুরতে গিয়েছিল,ঠিক সেই সময় সুমির তার কাকার সাথে দেখা হয়েছিল। সুমির কাকা তার গাড়িতে ছিল। সুমি রাস্তার পাশে বাইকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এবং ইমন তার জন্য চা আনতে গিয়েছিল।

সেদিন সুমির কাকা গাড়ি থামিয়ে অনেকক্ষণ ধরে তাদেরকে দেখতেছিলো। হঠাৎ সুমির সাথে তার কাকার চোখাচোখি হয়ে যায়। সেদিন বাড়ি গিয়ে সুমির কাকা যখন ইমনের কথা জিজ্ঞাসা করলো, তখন সুমি আর অস্বীকার করতে পারলো না। সুমি তার পরিবারের সবাইকে ইমনের কথা জানালো। ইমনের পরিবারের সচ্ছলতা তেমন একটা ভালো ছিল না। অন্যদিকে সুমির পরিবারিক সচ্ছলতা অনেক ভালো ছিল। এজন্যই হয়তো সুমির পরিবারের সদস্যরা ইমনের পরিবারকে মেনে নিতে পারেনি।

1000007082.jpg

পরবর্তীতে সুমির বাবা সুমিকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেছিল সে কি চায়? বাবার কথায় সুমি উত্তর দেয়, বিয়ে যদি কাউকে করতেই হয় সে শুধুমাত্র ইমনকে বিয়ে করবে। অন্য কাউকে কোনদিন বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তারপর থেকে সুমির বাবা তাকে আর কিছু বলেনি। দু'বছর পর যখন ইমন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বল্প বেতনের চাকরি পায় তখন সুমি ইমনের সাথে তার বিয়ে দেওয়ার কথা তার বাবাকে বলেছিলো। তখন সুমির বাবা সুমিকে কিছু না বললেও তার মা তাকে অনেক বকেছিল।

কিন্তু তার কিছুদিন পর সুমির মার মতামত না থাকলেও সুমির বাবা সুমি এবং ইমনের বিয়ে দিয়ে দেয়। এখনো সুমির মায়ের মনে একটা কষ্ট আছে তবে সুমি এবং ইমন অনেক সুখে সংসার করছে। সুমি টিউশনি করে পড়ার ফাঁকে এবং ইমন এখনো সেই চাকরিটা করে চলেছে। এখানে সবকিছুর শেষ কথা হচ্ছে তারা দুজনেই এখন খুব সুখে ও শান্তিতে আছে। এতেই আমরা বলতে পারি, প্রথমটা কষ্টের হলেও শেষটা সুখের।

সমাপ্ত

"ধন্যবাদ সবাইকে"

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Loading...

এই ভালোবাসার গল্পের মত যদি প্রতিটা ভালোবাসার গল্প এরকম হতো তাহলে কতই না ভালো হতো তাই না অন্যায়কে কখনোই প্রশ্রয় দেয়নি এটা তো খুবই ভালো একটা বিষয় একটা মেয়ে ভার্সিটিতে পড়াও সময় নিজের সৎ সাহস নিয়ে বেঁচে থাকার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ আছে এতে করে দেখা যায় কোন ছেলের বা কেউ তাকে কিছু বলতেও দ্বিতীয়বার চিন্তা করে।

আমার মনে হয় সৎ ভাবে এই পৃথিবীর মধ্যে বেঁচে থাকার মধ্যে অন্যরকম একটা বিষয় রয়েছে সুমি যেহেতু ইমনের সাথে রিলেশন করেছিল এবং তার সাথে বিয়ে করার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাই তার বাবা কিছুটা সময় চুপ করে ভেবেছিলেন হয়তোবা তিনি যদি বিয়েটা না দেন পরবর্তীতে সুমি এবং ইমন অন্য কোন ব্যবস্থা করত তাই উনি উনার ওয়াইফের বিরুদ্ধে গিয়েও সুমি এবং ঈমানের বিয়েটা পরিয়ে দিয়েছিলেন।

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে হয়তো বা চিন্তা করে যে পরিবার কি বলবে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করলে কি হবে আর যদি পরিবার মেনে নেয় তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ আমার মনে হয় নিজের প্রিয় মানুষটাকে কাছে পাওয়ার জন্য কিছুটা সময় পরিবারের কাছ থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে নেয়া উচিত কেননা দিনশেষে পরিবার ঠিকই মেনে নেয় যদি একবার প্রিয় মানুষ হারিয়ে যায় তাকে আর পাওয়া যায় না ধন্যবাদ চমৎকার গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবে।

আমি মনে করি আমাদের প্রতিটা মানুষেরই সৎ সাহস থাকা দরকার। সৎ সাহস আমাদের মনের মনোবল বাড়ায়। আপু আপনি ঠিকই বলেছেন সৎ সাহস নিয়ে বেঁচে থাকার মধ্যে নিজের কাছে এক অন্যরকম আনন্দ কাজ করে। আমাদের উচিত কখনোই অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়া। প্রশ্রয় দিলে মানুষ মাথার উপর চড়ে বসে।

এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপু।