মায়া 😐

in hive-120823 •  2 days ago 

1000005072.jpgSource

"নমস্কার বন্ধুরা"! আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। গতদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক...

পৃথিবীর সব অনুভূতি গুলো একদিকে আর "মায়া" এই অনুভূতিটা একদিকে। তুমি যদি কারোর প্রেম এ পড়ো তবে তুমি তাকে তার ভালোর জন্য ছেড়ে দিতে পারবে কিন্তু তুমি যদি কারোর মায়াতে পড়ে যাও তবে তুমি কোনদিন ও তাকে ছাড়তে পারবে না। "মায়া" শুধুমাত্র একটি শব্দ নয়, এটি একটি অনুভূতি। যদি তুমি কারো মায়াতে পড়ে যাও তুমি শতচেষ্টা করেও সেই অনুভূতিটা থেকে বের হতে পারবে না।

কেউ কারোর মায়াতে পড়ে গেলে সেখান থেকে বের হওয়াটা খুব কঠিন।আর সেই মায়ার অনুভূতিটা যদি একতরফা হয়ে থাকে তবে অপর পাশের মানুষটা কখনোই জানতে পারে না যে অন্য একটি মানুষ তার জন্য রোজ মরে বেঁচে আছে। অনেক সম্পর্কে ভালোবাসা থাকে না তবে মায়া থেকে যায়। মায়া শুধু একটা শব্দ নয়, মায়া একটি অনুভূতি। এখন একটি ছোট গল্প বলি যে, মায়া ব্যপারটা আসলে কি..........

1000005073.jpgSource

মিম এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে। সে যখন কলেজে পড়তো তখন তার একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয়েছিল। পরিচয় ঠিক বলা যায় না, একটি ছেলেকে তার ভলো লেগিছিল। সেই ছেলেটিও মনে মনে মিমকে অনেক পছন্দ করতো। মিম এটা বুঝতে পারতো যে ঔ ছেলেটিও তাকে পছন্দ করতে শুরু করেছে। কিন্তু মিম তখন কোনো প্রকার সম্পর্কে জড়াতে চাইনি। সে তখন তার ভর্তি পরীক্ষার জন্য তৈরী হচ্ছিল।

বুঝতে পারতো যে ঐ ছেলেটা ওকে পছন্দ করতো কিন্তু মিম তাকে কোনো সুযোগ দেয়নি।কিন্তু মিম এখনো ছেলেটাকে এখনো ভুলতে পারি নি। মিমের জীবনে আরো অনেক ছেলে আসার চেষ্টা করেছে কিন্তু মিম সেই ছেলেটাকে ভুলে অন্যদের ডাকে সাড়া দিতে পারি নি। সবথেকে আশ্চর্যজনক কথা হলো সেই ছেলেটির সাথে মিম কোনো দিন কথাও বলেনি।

কিন্তু তারপরও মিম সেই ছেলেটিকে ভুলতে পারছে না৷ মিমের বন্ধু-বান্ধরা অনেক চেষ্টা করেও মিমের মন থেকে সেই ছেলেটিকে মুছে দিতে পারেনি। একেই হয়তো মায়াতে পড়া বলে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পরও মনে মনে মিম এখনো তাকে চেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অপর পাশের ছেলেটা হয়তো যানে না যে তাকেও কেউ এভাবে চায়। সে জানলে কি করতো জানি না কিন্তু মিম যেভাবে চায় সে সেভাবে তাকে চাইতে পারতো না।

1000005074.jpgSource

কারোর সাথে কোনো দিন কথা না বলে, তার থেকে হাজার মাইল দূরে থেকেও যে তাকে এভাবেও চাওয়া যায় যে তাকে কোনো দিন নিজের করে পাবে না জেনেও তাকে চেয়ে যাওয়া একেই মনে হয় "ভালোবাসা" বলে। শুধু ভালোবাসা না নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বলে। আবার এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকেই মায়ায় জড়িয়ে পড়া বলে। ভালোবাসতে দুটি মানুষের দরকার হয়। কিন্তু এই অনুভূতিটার ক্ষেত্রে মনে হয় শুধু একজনেরই দরকার হয়। ভালোবাসলে তাকে ছেড়ে যাওয়া যায়। কিন্তু কারোর "মায়া" তে পড়লে আর ফিরে আসা যায় না.............

আমি মনে করি, কারোর ভালোবাসায় পড়াটা অনেক সহজ ব্যাপার, কিন্তু কারোর "মায়া" তে পড়ার যে ব্যাপার সেটা আনেক কঠিন............

"ধন্যবাদ সবাইকে"

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@avishek93 আপনি একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার মানদণ্ডে মায়ার পরিভাষা ব্যক্ত করেছেন!
কিন্তু আমার এখানে আপনার সাথে কিয়দংশ তফাৎ আছে, ভেবে দেখুন বাড়িতে একটা কুকুর বিড়াল পুষলেও তার প্রতি মায়া তৈরি হয় সময়ের সাথে, তাই না?

এরপর আরেকটা বিষয়, মায়া বিষয়টা এমন একটি অব্যাক্ত টান যেটার জন্য কাউকে মনে রাখার প্রয়োজন পড়ে না, কারণ, আমরা সাধারণত মনে তাকেই করি, যাকে ভুলে যাই।

আর, মায়া শিখতে হলে পরিশ্রান্ত সেই মায়ের চোখের দিকে একবার তাকাবার প্রয়োজন আছে, যে বিনা বাক্যে সারাদিন ঘরের প্রতিটি ব্যাক্তির খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের দিকে তাকাবার প্রয়োজন বোধ করেন না!

ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর ভাবে মায়া অনুভূতিটা বুঝিয়ে দেবার জন্য। আপনার এতো সুন্দর মতামতের জন্য আমার ভালো হলো এটা জেনে যে মায়া অনুভূতিটা অন্য ভাবেও বর্ণনা করা যায়।

Loading...